ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
রামশাই বনবিভাগের রেঞ্জার বিশ্বজ্যোতি দে বলেন, ঘটনাস্থলে আমরা আছি। চিতাবাঘ কে দেখলেই ঘুমপাড়ানি গুলি করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপিন রায় হেলাপাকড়ির সরকারপাড়া চা বাগানে এদিন সকালে কাজ করার সময়ে একটি চিতাবাঘ হামলা চালায়। তাঁর চিৎকারে আশেপাশের কয়েকজন ছুটে আসে। সেখানে উপস্থিত হতেই তাপস মণ্ডলের উপর চিতাবাঘ আক্রমণ করে। তাঁকে জখম করে বাঘটি দেব ঋষিকেও জখম করে চা বাগানের জঙ্গল ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছাড়ায়। গ্রাম এলাকা থেকে খবর দেওয়া হয় ময়নাগুড়ি থানায়। সেখান থেকেই বনদপ্তরে জানানো হয়। ময়নাগুড়ি থানার পুলিস ও বনকর্মীরা চলে আসেন। অনেক্ষণ পরে বনকর্মীরা ঘুম পাড়ানি গুলি নিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে তাঁদের বচসা শুরু হয়ে যায়। যদিও পুলিসের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে খাঁচার ভিতর ঢুকে ঘুমপাড়ানি বন্দুক নিয়ে বনকর্মীরা চা বাগানে প্রবেশ করেন। বনদপ্তরের শুটার চিতাবাঘটিকে দেখতে পেলেও সেটি জঙ্গলে ঢুকে পড়ায় তিনি ঘুমপাড়ানি গুলি করতে পারেননি। মুহূর্তের মধ্যেই বাঘটি লাফ দিয়ে চা বাগানের ঝোপে আশ্রয় নেয়। ময়নাগুড়ি পুলিস প্রশাসন থেকে ড্রোন নিয়ে আসা হয়। চা বাগানের উপর দিয়ে ড্রোন ওড়ানো হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ ওড়ার পর সেটির ব্যাটারির পাওয়ার কমে আসায় নামিয়ে আনতে হয়। এতেই বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এই করতে গিয়ে সন্ধ্যা হয়ে আসে। পরে পুলিস ও বনকর্মীরা এলাকা ছাড়তে গেলে তাঁদের ঘিরে বাসিন্দা তুমুল বিক্ষোভ দেখান। শুক্রবার ফের এলাকায় চিতাবাঘ খোঁজা হবে বলায় তাঁরা ছাড়া পান। রাতে গ্রামে বনকর্মীরা রয়েছেন।