কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, বিষয়টি নজরে আছে। পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে। জেলা রেজিস্ট্রার অনিন্দ্যসুন্দর প্রধান বলেন, কিছু ফাইল পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা এই নিয়ে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের করিনি। কি কি ফাইল পাওয়া যাচ্ছে না, তার একটা তালিকা তৈরি করে আমরা আগামীতে পদক্ষেপ গ্রহণ করব। অবশ্যই ফাইল না পাওয়া গেলে সমস্যা হবে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।
বালুরঘাট বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক তথা আইনজীবী বিদ্যুৎ রায় বলেন, রেজিস্ট্রার অফিস থেকে ফাইল খোয়া গেলে অনেকরকম সমস্যা হতে পারে। কারও জমির দলিল হারিয়ে গিয়ে থাকলে নতুন করতে গেলে ঝামেলায় পড়তে হবে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরেই রয়েছে জেলা রেজিস্ট্রার অফিস। এই অফিসে মূলত জমি, বিয়ের রেজিস্ট্রি সহ একাধিক কাজ হয়ে থাকে। জমি কেনা বেচার পরে এই অফিসে রেকর্ড করতে আসতে হয়। জেলাবাসীর জমির যাবতীয় তথ্য রেজিস্ট্রার অফিসে ভলিউম আকারে সংরক্ষিত রাখা হয়। হঠাৎ সেই অফিস থেকে বহু ভলিউম অথাৎ ফাইল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। তার ফলে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে জেলা প্রশাসনে। দপ্তরের ভেতরে যেভাবে এই ফাইলগুলি রেখে দেওয়া হয়, তার ফলে সেসব দপ্তরের কর্মী ছাড়া সাধারণ মানুষের হাতে আসার সম্ভাবনা নেই। এই অবস্থায় কয়েকশ’ বছরের পুরনো জমির রেকর্ড সহ একাধিক তথ্য দপ্তরের সংরক্ষিত রয়েছে। সেই তথ্য কিভাবে লোপাট হয়ে গেল, তা নিয়ে চক্ষু চড়কগাছ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মীরাও। জানা গিয়েছে, জমির দলিল নষ্ট হয়ে গেলে নতুন করে দলিল পেতে চাইলে রেজিস্ট্রার অফিসে আবেদন করতে হয়। সেই দলিল দিতে হলে ভলিউম থেকে তথ্য নিয়ে নতুন করে জমির মালিককে দলিল প্রদান করা হয়। এখন বহু ভলিউম লোপাট হয়ে গেলে বিপাকে পড়তে হবে জেলাবাসীকেই। সেই জমির দলিল হারিয়ে গেলে নতুন করে জমির দলিল পেতে অনেক সমস্যা হতে পারে। তথ্য হারিয়ে যাবার কারণে সেই জমি অন্যের দখলে যেতে পারে। এনআরসি ও সিএএ নিয়ে হইচইয়ের মধ্যে যখন সাধারণ মানুষকে জমির রেকর্ড সহ পুরনো তথ্য জোগাড় করতে কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে, সেই সময়ে এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা আধিকারিকরা।