কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকায় নিজেদের ওয়ার্ডে কোনও পরিবর্তন না হওয়া কাউন্সিলাররা জনসংযোগের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছেন। জলপাইগুড়ি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তৃণমূলের সন্দীপ মাহাতো বলেন, সারা বছর মানুষের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ থাকে। খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হওয়ার কথা। নির্বাচনে দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও ওয়ার্ডে জনসংযোগ আরও নিবিড় করতে ময়দানে নেমেছি।
পুরসভায় ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার কংগ্রেসের অম্লান মুন্সি বলেন, আমি ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছি। সাধারণ মানুষের আর্শীবাদ নিচ্ছি। পুরসভায় বিরোধী কাউন্সিলার হলেও যেভাবে সারা বছর মানুষের পাশে থেকেছি তাতে সাধারণ মানুষ নির্বাচনে আমাদেরকেই ভোট দেবে।
পুরসভা ভোটের চূড়ান্ত দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। তবে নির্বাচনী প্রচারে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসন জলপাইগুড়ি পুরসভার আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে। ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও আপত্তি থাকলে জানানো যাবে। ১০ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে। তারপরেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করলেই নির্বাচন বিধি লাগু হয়ে যাবে। কার্যত খসড়া তালিকাই চূড়ান্ত তালিকা ধরে কাউন্সিলাররা নির্বাচনের জোর প্রস্তুতি শুরু করেছেন। কেউ কেউ আসন সংরক্ষণের গেরোয় আটকে গিয়েছেন। সেই আসনে নিজেদের স্ত্রীকে কিংবা পরিজনকে দাঁড় করানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যাঁরা আসন সংরক্ষণ তালিকার বাইরে রয়েছেন তাঁরাও জনসংযোগে জোর দিয়েছেন।
রাজনৈতিক মহলের মতে, পুরনির্বাচনে কাউন্সিলারের ভাবমূর্তি অনেকটা কাজ করে। ওয়ার্ডবাসীর সুখে দুঃখে যাঁরা পাশে থাকেন তাঁদেরই পুরসভা ভোটে জেতার সম্ভবনা বেড়ে যায়। প্রতিটি ওয়ার্ডই একটি বা দু’টি পাড়া নিয়ে তৈরি হয়। তাই পাড়ার মধ্যে পরিচিতি থাকলেও ফের একবার তা ঝালিয়ে নিতে এখন থেকেই কাউন্সিলাররা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হলে প্রচারে আরও গতি আসবে বলেই নেতারা জানিয়েছেন।