কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দনাথ প্রধান বলেন, কি কারণে ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে তা জানতে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। তাদের তদন্তেই জানা যাবে সেক্ষেত্রে চিকিৎসার কোনও গাফিলতি ছিল কি না। হাসপাতালে ভাঙচুর হয়েছে বলে শুনেছি। সেই বিষয়টিও আমরা দেখছি।
ইসলামপুর হাসপাতাল সুপার নারায়ণ মিদ্যা বলেন, চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি হয়নি। আমাদের পক্ষ থেকে সমস্ত রকম চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে। আরও ভাল চিকিৎসার জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিন। কিন্তু রোগীরা পরিজনেরা তাঁকে মেডিক্যালে না নিয়ে গিয়ে নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়েছিলেন বলে শুনেছি। সেখান থেকে রোগীকে ফিরিয়ে দেয়। পরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আমি বর্তমানে একটি কাজে রায়গঞ্জে রয়েছি। ওই ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় এফআইআর করতে বলেছি।
মৃতার আত্মীয় মুজিব রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে রুবিকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। রাতে স্বাভাবিকভাবেই সে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেয়। তার পরে রোগী স্বাভাবিক ছিল। রাতে হঠাৎ করে রক্তের প্রয়োজন হয়। তার ব্যবস্থাও করা হয়। গভীর রাতে হাসপাতাল থেকে জানানো হয় যে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল হাসপালে রেফার করা হয়। চিকিৎসার গাফিলতির কারণেই হঠাৎ করে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। তারপরে তাঁর মৃত্যু হয়। কিন্তু হাসপাতালে আমরা কাউকেই মারধর বা ভাঙচুর করিনি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে রোগী সন্তান প্রসব করেন। এর পরে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে মেডিক্যালে রেফার করা হয়। অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও করা হয়। কিন্তু তারপরেও দীর্ঘক্ষণ রোগীকে মেডিক্যালে না নিয়ে ইসলামপুরের বিভিন্ন নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়ে সময় নষ্ট করা হয়েছে। রাস্তায় মৃত্যুর পরে হাসপাতালে এসে বিক্ষোভ দেখান তাঁর বাড়ির লোকজন। হাসপাতাল কর্মীদের মারধর করা হয়। জানালার কাচ ভাঙা হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ইসলামপুরে নতুন কিছু নয়। নার্সিংহোম, মহকুমা হাসপাতাল ও সুপার স্পেশালিটিতে এর আগেও রোগীর মৃত্যুতে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। একাধিক ক্ষেত্রেই হাসপাতাল কর্মীদের মারধর, ভাঙচুরের মতো ঘটনাও ঘটেছে। রাজ্য সরকার প্রতিষ্ঠানিক প্রসবের হার বৃদ্ধির জন্য প্রসূতিদের বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা প্রদান থেকে শুরু করে আরও নানা সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করেছে। চিকিৎসা পরিষেবারও মান উন্নয়ন করেছে। তারপরেও এধরনের ঘটনা কমছে না।