বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অম্লানবাবু বলেন, আমার ওয়ার্ডে পুরসভা রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করেছে। কিন্তু যিনি কাজ শুরু করেছেন তিনি ওয়ার্ক অর্ডার দেখাতে পারেননি। তাই আমি প্রতিবাদ করেছি। টেন্ডার না ডেকে অবৈধভাবে কাজ হচ্ছে। পুরসভার চেয়্যারমানকে সবটা জানিয়ে চিঠি দিয়েছি। ওই কাজের বরাত থেকে পুরসভার কেউ কাটমানি খেয়েছে বলে আমার সন্দেহ হচ্ছে। চেয়ারম্যান চিঠি পেয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
পুরসভার সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র যশোপ্রকাশ দেবদাস বলেন, রাস্তার কাজ শুরু করতেই কাউন্সিলার ঠিকদার সংস্থাকে বাধা দেন। ওই সংস্থা এনিয়ে অভিযোগ করেছে। ঘটনার পর থেকে ঠিকাদার সংস্থাও কাজ বন্ধ রেখেছে। পুরসভার চেয়্যারমান বলেন, ওই কাজের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
জলের পাইপ বসানোর জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে সম্প্রতি রাস্তা খোঁড়া হয়। ফলে রাস্তাগুলি বেহাল হয়ে পড়েছে। অনেক রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে ওয়ার্ডের রাস্তা খোঁড়া থাকায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। তাই পুরসভা ভোটের মুখে রাস্তা সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমদফায় এরজন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কয়েকটি জায়গায় কাজ শুরু হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের গৌড়ীয় মঠ থেকে নতুন ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার করার কাজ শুরু হয়। সেই রাস্তা সংস্কারের কাজ টেন্ডার ছাড়াই চেয়্যারমান ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারকে দিয়েছেন, এমনটাই অভিযোগ কাউন্সিলারের। ওয়ার্ডে কাজ শুরু করলে সেই কাজের ওয়ার্ক অর্ডার স্থানীয় কাউন্সিলারকে দেখানোই নিয়ম। কিন্তু সেই কাগজ নির্মাণকারী সংস্থা দেখাতে পারেনি বলে কাউন্সিলারের দাবি। টেন্ডার ছাড়া কাজ করার জন্য চেয়্যারমানকে অম্লানবাবু প্রতিবাদপত্র লেখেন। তারপরই কাজ বন্ধ হয়। যদিও পুরসভার দাবি, নিয়মানুয়ায়ী কাজ করা হচ্ছিল। কিন্তু কাউন্সিলার কাজে বাধা দেওয়ায় কাজ বন্ধ করা হয়। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার রাজু মাহাত বলেন, আমি এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করব না।