বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
স্থানীয়রা জানিয়েছে, ভোররাত সাড়ে ৩টের নাগাদ বাড়ির বাইরে রাখা গাড়িতে কেউ বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয়। বাড়ির লোকজন বাইরে রেরিয়ে দেখেন একাধিক গাড়ি জ্বলছে, দোকানঘরগুলিও পুড়ছে। বাসিন্দারা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। পরে মালবাজার থেকে দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। মেটেলি থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এমন ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মেটেলির বাসিন্দা সুশীল সরকার, রাজা আলি বলেন, ভোররাতে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি গাড়ি, দোকান দাউ দাউ করে জ্বলছে। কে কি উদ্দেশ্য নিয়ে এমনটা করল জানি না। তবে এলাকায় রাতে সমাজ বিরোধীরা নেশার আসর বসায়। আমরা মাঝেমধ্যেই এনিয়ে প্রতিবাদ করি। হয়তো এসব ওদেরই কাজ। পুলিস গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখুক।
মেটেলি বাজারের বাসিন্দা সুধাংশু মণ্ডল বলেন, আমরা ভোররাতে আগুনের ঘটনার পর তিন যুবককে তীব্র গতিতে মোটর বাইক ছুটিয়ে পালিয়ে যেতে দেখেছি। সম্ভবত ওরাই পেট্রল ঢেলে সব পুড়িয়ে দিয়েছে।
মেটেলি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক দিলীপ গুহ রায় বলেন, থানার কাছেই গাড়ি ও দোকান আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছে। দোকনঘর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। আমরা প্রতিবাদে এদিন মেটেলি বাজারে বন্ধ পালন করি।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলির মধ্যে মুদিখানা, টায়ার, কসমেটিক্স, মোবাইল ফোনের দোকান ছিল। একটি বিলাস বহুল গাড়ি সহ মোট ছ’টি গাড়ি পুড়ে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মুদিখানা দোকানের মালিক চন্দ্রশেখর রায় বলেন, খবর পেয়ে দোকানে পৌঁছে যতটা পেরেছি আগুন নিভিয়েছি। কিন্তু কোনও কিছুই রক্ষা করা যায়নি।
জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের মেটেলির সদস্য আশ্রিতা লাকরা বলেন, থানার এতো কাছে দুষ্কৃতীরা এমনটা করল, ভাবই যায় না। রাতে পুলিসের যে টহল হয় না সেটা এর প্রমাণ। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিসকে বলব।
মালের এসডিপিও দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, আমরা ঘটনার তদন্তে নেমে একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। আশা করি, শীঘ্রই বাকিরা গ্রেপ্তার হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন ধরেই রাত বাড়তে এলাকায় দুষ্কৃতীদের দাপট শুরু হয়েছে। এনিয়ে বাসিন্দারা এর আগে পুলিসকে জানিয়েছিল। পরবর্তীতে পুলিসের অভিযান শুরু হতে কয়েক দিন সমাজবিরোধীদের দৌরত্ম্য কমে। কিন্তু ফের দুষ্কৃতীদের আনাগোনা এলাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে। রাতে স্থানীয় কয়েকজন বাড়ির সামনে গাড়ি রেখে দেন। দুষ্কৃতীরা ওসব গাড়িতেই আগুন ধরিয়ে দেয়। দোকানগুলিতেও আগুন ধরায়। স্থানীয়রা টের পেয়ে বাড়ির বাইরে বেরতেই তারা মোটর বাইক ছুটিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিস জানিয়েছে, একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।