বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
কামাখ্যাগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক প্রাণকৃষ্ণ সাহা বলেন, উড়ালপুল তৈরির জন্য প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে শুনেছি। এটা আমাদের অনেক দিনের দাবি রয়েছে। উড়ালপুল তৈরি হলে কামাখ্যাগুড়ির ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নতি হবে।
তৃণমূল কংগ্রেসের কামাখ্যাগুড়ির অঞ্চল সভাপতি অনিরুদ্ধ বিশ্বাস বলেন, উড়ালপুল তৈরির বিষয় নিয়ে আমরা দলগতভাবে ভেবেছি। সরকারিভাবে এখনও ঘোষণা না করা হলেও জমির মাপজোক শুরু হয়েছে। উড়ালপুল তৈরি হলে বাসিন্দাদের সুবিধা হবে। ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নতি হবে।
বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব সরকার বলেন, শাসক দলের নেতারা কামাখ্যাগুড়িতে উড়ালপুল তৈরি এবং রাস্তা সম্প্রসারণের বিষয় নিয়ে এতদিন ভাবেনি। যার ফলে কামাখ্যাগুড়ির উন্নয়ন একেবারেই থমকে রয়েছে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, কামাখ্যাগুড়ি রেল স্টেশনের পাশে লেভেল ক্রসিংয়ের উপর উড়ালপুল তৈরির কাজ শুরু করার বিষয়ে রাজ্য সরকারকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সমীক্ষার রিপোর্ট এলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পূর্তদপ্তরের কামাখ্যাগুড়ির অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার প্রেমনাথ মণ্ডল বলেন, উড়ালপুল তৈরির জন্য ঘোড়ামারা রেল গেটের দু’পাশে কতটা জমি রয়েছে তার মাপজোক করে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা ওপর মহলে রিপোর্ট পাঠাচ্ছি।
জাতীয় সড়ক থেকে কামাখ্যাগুড়ি শহরের ঢোকার মুখে দু’টি লেভেল ক্রসিং রয়েছে। প্রতিদিন ওই রুটে দিনভর প্রচুর ট্রেন চলাচল করে। সারাদিন ধরে ওই লেভেল ক্রসিং দু’টি একটু পরপর বন্ধ হয়। যারফলে কামাখ্যাগুড়িতে যেতে যানবাহনের গতি থমকে যায়। প্রতিদিনই কিছুক্ষণ পর পর যানজট লেগে থাকে। কামাখ্যাগুড়ির বাসিন্দারা ওই দু’টি লেভেল ক্রসিংয়ের মধ্যে একটির উপর উড়ালপুল তৈরির দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছিলেন।
সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জীব রায় কামাখ্যাগুড়ি রেল স্টেশন পরিদর্শন করে যান। ওই সময়েই তিনি বলেছিলেন, রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিলেই রেল তাদের সঙ্গে যৌথভাবে উড়ালপুল তৈরি করবে। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারকে প্রাথমিক কাজগুলি করার উদ্যোগ নিতে হবে। রেলের জেনারেল ম্যানেজার এই কথা বলে যাওয়ার পরেই কুমারগ্রাম ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্ব এই কাজ শুরু করার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে।