বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া বলেন, আমরা ছাত্র-যুব উৎসব করছি। কিন্তু সেই মঞ্চে বিবেকানন্দের কোনও ফটো নেই। দিনহাটা-১ ব্লক প্রশাসন ও ব্লক যুব অফিসার এত উদাসীনভাবে একটা সরকারি অনুষ্ঠান দায়সারাভাবে করছেন। এটা চলতে পারে না। এভাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটা উৎসব মানুষের সামনে খেলো করার জন্য দিনহাটা-১ ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা বিডিও থেকে শুরু করে কেউই এখানে উপস্থিত নেই। এটা কখনও মেনে নেওয়া যায় না। এটা চরম অসভত্যা। এটা হতে পারে না। মন্ত্রীও এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এসব ঠিক হচ্ছে না।
এই বিষয়ে দিনহাটা-১ ব্লকের যুব ও ক্রীড়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সমুজ্জ্বল সান্যাল বলেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমি ছিলাম না ঠিকই। কারণ আগামী ২৪ ও ২৫ জানুয়ারি পুরসভার যুব উৎসব আছে। সেজন্য দিনহাটা পুরসভার চেয়ারম্যানের চেম্বারে আয়োজন বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম। সেই বৈঠক সেরে আসার পর মন্ত্রী ও বিধায়কের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে আমার কথাও হয়েছে।
এই বিষয়ে দিনহাটা-১’র বিডিও শৌভিক দত্তের সঙ্গে টেলিফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের যুব ও ক্রীড়া দপ্তরের উদ্যোগে দিনহাটা-১ ব্লকের বড় আঁটিয়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অনুষ্ঠিত ব্লক ছাত্র-যুব উৎসবের উদ্বোধন করতে আসেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া, দিনহাটা-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোফিজুল হক। বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়াকে সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করতে পৌঁছন মন্ত্রী। ব্লক পর্যায়ের ছাত্র যুব-উৎসবের সরকারি সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না বিডিও, ব্লক যুব আধিকারি সহ ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা।