সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: ১৯৯৩ সালের ভয়াবহ বন্যায় হারিয়ে গিয়েছে জমির দলিল, ভোটার কার্ড ও স্কুল সার্টিফিকেটসহ গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। এনআরসি’র গুঁতোয় হারানো সেই নথি জোগাড় করতে এখন নাকাল অবস্থা আলিপুরদুয়ার পুর এলাকাসহ শহরের সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের। এই নথিপত্র জোগাড়ে সাহায্য করতে সরকারি অফিসগুলির বাইরে টেবিল পেতে বসেছে তৃণমূলের স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী। এদিকে, যৌথভাবে এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে নামার জন্য অসমের বেঙ্গলি ফেডারেশনের নেতারা ২৫ তারিখ আলিপুরদুয়ারে আসছেন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করতে।
গত মঙ্গলবার থেকে আলিপুরদুয়ার-১ ও ২ নম্বর ব্লকের সরকারি অফিসগুলির বাইরে টেবিল পেতে এই হেল্প ডেস্ক বসিয়েছে তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সেল। এনআরসি আতঙ্কে বিভিন্ন নথি জোগাড়ে সাহায্য করার জন্য তৃণমূলের ওই প্রাথমিক শিক্ষক সেলের হেল্প ডেস্কগুলিতে উপচে পড়েছে নাকাল হওয়া সাধারণ মানুষের ভিড়।
পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি কৌশিক সরকার বলেন, আমাদের দল এনআরসি’র বিরুদ্ধে। অসমে এনআরসি’র জেরে এরাজ্যে গণআতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ১৯৯৩ সালের বন্যায় আলিপুরদুয়ারের বহু মানুষের গুরুত্বপূর্ণ বহু নথি হারিয়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য সেই নথি জোগাড়ে সাহায্য করতেই আমরা এই হেল্প ডেস্ক খুলেছি সরকারি অফিসগুলির বাইরে।
নথি জোগাড়ে সাহায্য করার পাশাপাশি ওই হেল্প ডেস্কগুলি থেকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে এনআরসি’র বিরুদ্ধে জোর প্রচারও চলছে। তৃণমূলের আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী দলের প্রাথমিক শিক্ষক সেলের হেল্প ডেস্কগুলিতে ঘুরে ঘুরে ‘দিদিকে বলো’ ফোন নম্বরের কার্ডও বিলি করছেন।
বন্যায় বাপ-ঠাকুর্দার নামের একটি জমির দলিল নষ্ট হওয়ায় এনআরসি’র চিন্তায় ঘুম হচ্ছে না আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের চকোয়াখেতির বাসিন্দা বৃদ্ধ দাখিলউদ্দিন মিঁয়ার। চকোয়াখেতির ওই বৃদ্ধও বন্যায় হারানো দলিল খুঁজে পেতে দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূলের শিক্ষক সেলের ওই হেল্প ডেস্কে।
দাখিলউদ্দিন সাহেব জানান, এতদিন ওই দলিলের কোনও দরকার হয়নি। এখন এনআরসি’র জন্য ওই দলিলটির প্রয়োজন। তৃণমূলের লোকজন ওই দলিল খুঁজে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। ওই দলিল পাওয়া না গেলে কী হবে, বুঝতে পারছি না।
শুধু দাখিলউদ্দিন সাহেবই নয়। আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের শালকুমারহাটের মহেশ রায়, ঘরঘরিয়ার বিশাদু বর্মন, তপসিখাতার শ্যামল দাসরা বন্যায় নিজেদের হারিয়ে যাওয়া নথির খোঁজে সাহায্যের জন্য এখন তৃণমূলের হেল্প ডেস্কে ছুটছেন।
এদিকে, শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী জানান, এনআরসি বিরোধী যৌথ আন্দোলনের জন্য অসমের বেঙ্গলি ফেডারেশনের নেতারা ২৫ তারিখ আলিপুরদুয়ারে আসছেন। তাঁরা অসমের বঙ্গাইগাঁওয়ে এনআরসি বিরোধী সমাবেশে আমাকে বক্তব্য রাখার আমন্ত্রণ জানাতে আলিপুরদুয়ারে আসছেন। বিষয়টি দলনেত্রীকে জানাব। দল অনুমতি দিলে অসমের ওই সমাবেশে নিশ্চয়ই যাব।
বিজেপি’র জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা অবশ্য বলেন, তৃণমূল অযথা এনআরসি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
গত মঙ্গলবার থেকে আলিপুরদুয়ার-১ ও ২ নম্বর ব্লকের সরকারি অফিসগুলির বাইরে টেবিল পেতে এই হেল্প ডেস্ক বসিয়েছে তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সেল। এনআরসি আতঙ্কে বিভিন্ন নথি জোগাড়ে সাহায্য করার জন্য তৃণমূলের ওই প্রাথমিক শিক্ষক সেলের হেল্প ডেস্কগুলিতে উপচে পড়েছে নাকাল হওয়া সাধারণ মানুষের ভিড়।
পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি কৌশিক সরকার বলেন, আমাদের দল এনআরসি’র বিরুদ্ধে। অসমে এনআরসি’র জেরে এরাজ্যে গণআতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ১৯৯৩ সালের বন্যায় আলিপুরদুয়ারের বহু মানুষের গুরুত্বপূর্ণ বহু নথি হারিয়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য সেই নথি জোগাড়ে সাহায্য করতেই আমরা এই হেল্প ডেস্ক খুলেছি সরকারি অফিসগুলির বাইরে।
নথি জোগাড়ে সাহায্য করার পাশাপাশি ওই হেল্প ডেস্কগুলি থেকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে এনআরসি’র বিরুদ্ধে জোর প্রচারও চলছে। তৃণমূলের আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী দলের প্রাথমিক শিক্ষক সেলের হেল্প ডেস্কগুলিতে ঘুরে ঘুরে ‘দিদিকে বলো’ ফোন নম্বরের কার্ডও বিলি করছেন।
বন্যায় বাপ-ঠাকুর্দার নামের একটি জমির দলিল নষ্ট হওয়ায় এনআরসি’র চিন্তায় ঘুম হচ্ছে না আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের চকোয়াখেতির বাসিন্দা বৃদ্ধ দাখিলউদ্দিন মিঁয়ার। চকোয়াখেতির ওই বৃদ্ধও বন্যায় হারানো দলিল খুঁজে পেতে দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূলের শিক্ষক সেলের ওই হেল্প ডেস্কে।
দাখিলউদ্দিন সাহেব জানান, এতদিন ওই দলিলের কোনও দরকার হয়নি। এখন এনআরসি’র জন্য ওই দলিলটির প্রয়োজন। তৃণমূলের লোকজন ওই দলিল খুঁজে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। ওই দলিল পাওয়া না গেলে কী হবে, বুঝতে পারছি না।
শুধু দাখিলউদ্দিন সাহেবই নয়। আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের শালকুমারহাটের মহেশ রায়, ঘরঘরিয়ার বিশাদু বর্মন, তপসিখাতার শ্যামল দাসরা বন্যায় নিজেদের হারিয়ে যাওয়া নথির খোঁজে সাহায্যের জন্য এখন তৃণমূলের হেল্প ডেস্কে ছুটছেন।
এদিকে, শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী জানান, এনআরসি বিরোধী যৌথ আন্দোলনের জন্য অসমের বেঙ্গলি ফেডারেশনের নেতারা ২৫ তারিখ আলিপুরদুয়ারে আসছেন। তাঁরা অসমের বঙ্গাইগাঁওয়ে এনআরসি বিরোধী সমাবেশে আমাকে বক্তব্য রাখার আমন্ত্রণ জানাতে আলিপুরদুয়ারে আসছেন। বিষয়টি দলনেত্রীকে জানাব। দল অনুমতি দিলে অসমের ওই সমাবেশে নিশ্চয়ই যাব।
বিজেপি’র জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা অবশ্য বলেন, তৃণমূল অযথা এনআরসি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
