সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
নাথুয়ার তৃণমূল নেতা মনসুর আলি বলেন, আমরা ওই রাস্তা নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করছি। যখন সমীক্ষা হয়েছিল তখন ভেবেছিলাম রাস্তাটি এবার হবে। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে কোনও মহলই এখন এনিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
মধ্য ডুয়ার্স উন্নয়ন মঞ্চের সম্পাদক বীরেন্দ্রনাথ সোম বলেন, গয়েরকাটা থেকে এই রাস্তা চালু হলে আলিপুরদুয়ার হয়ে শিলিগুড়ি যাওয়া অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। খুব কম সময়ের মধ্যে শিলিগুড়ি পৌঁছে যাওয়া যাবে। পর্যটন ব্যবসার প্রসার ঘটবে। এলাকায় অর্থনৈতিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে।
জাতীয় সড়কের মালের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার বলেন, আমি শুধু সমীক্ষা করেছি। আমি পজিটিভ রিপোর্ট কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। পরিবহণ দপ্তরে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
জলপাইগুড়ির সংসদ সদস্য বিজেপির জয়ন্ত রায় বলেন, আমি এই রাস্তার বিষয়টা জানতাম না। আমি নিজে রাস্তার ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে বিভিন্ন মহলে কথা বলব।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের মালের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সুব্রতবাবু এলাকাটি সমীক্ষা করেছিলেন। এই রাস্তার প্রয়োজনীয়তা কি, কোন দিক দিয়ে গেলে খুব কম সময়ে গয়েরকাটা থেকে শিলিগুড়ি পৌঁছে যাওয়া যেতে পারে সেসব ওই সমীক্ষায় উঠে এসেছিল। এর জন্য কোন কোন নদীর উপরে সেতু করতে হবে, এই রাস্তা করলে কত গাড়ি যাতায়াত করবে এই সমস্ত নানা বিষয় নিয়ে একটি সমীক্ষা রিপোর্ট ওই আধিকারিক তৈরি করেছিলেন। পরবর্তীতে ওই রিপোর্টটি তিনি দপ্তরের মাধ্যমে পরিবহণ মন্ত্রকের কাছে জমাও দেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রিপোর্টে সুব্রতবাবু রাস্তাটির প্রয়োজনীয়তার কথা পরিষ্কার করে উল্লেখ করেছিলেন। এমনকি রাস্তাটি তৈরি করা হলে কয়েক লক্ষ মানুষ উপকৃত হবে সেটাও ওই রিপোর্টে উল্লেখ ছিল। পর্যটন ব্যবসার জন্য তৃতীয় ওই রাস্তা নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই রিপোর্ট পাঠানোর একবছর পেরিয়ে গেলেও তা নিয়ে ওপর মহল থেকে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেতে শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার জন্য বর্তমানে দু’টি রাস্তা রয়েছে। এর একটি গয়েরকাটা হয়ে ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি, জলপাইগুড়ি হয়ে শিলিগুড়ি যাওয়া যায়। এজন্য মোট ৮৯ কিমি যেতে হয়। অন্যদিকে ডুয়ার্সের তেলিপাড়া, বিন্নাগুড়ি, বানারহাট, মালবাজার হয়ে ৯৪ কিমি ঘুরে শিলিগুড়ি যাওয়া যায়। যদি গয়েরকাটা থেকে নাথুয়া, ঝাড় মাঝিয়ালি হয়ে জলঢাকা-ডায়না নদীর মিলন স্থলে একটি সেতু তৈরি করে দেওয়া হয় তাহলে রাস্তাটি লাটাগুড়ি ক্রান্তি মোড় থেকে গজলডোবা হয়ে শিলিগুড়ি যাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে ৬৬ কিমি পাড়ি দিলেই শিলিগুড়ি পৌঁছে যাওয়া যাবে।