সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
একইভাবে শ্রমিকদের বোনাস নিষ্পত্তি না হওয়া ও ব্যাঙ্কের অনিশ্চয়তার জেরে ডুয়ার্সের চা বলয়ের মধ্যে থাকা ছোট ছোট হাট, বাজারের ক্ষুদ্র কাপড় ব্যবসায়ীরা মনমরা হয়ে পড়েছেন। কারণ বোনাস হলেই ডুয়ার্সের হাটগুলিতে শ্রমিকদের পুজোর জামা কাপড় কেনার ধুম পড়ে যায়। কিন্তু এবার সেই ছবি উধাও।
প্রসঙ্গত, শ্রমিকদের বোনাসের দিকে তাকিয়েই একমাস আগে থেকেই ডুয়ার্সের হাটগুলির কাপড় ব্যবসায়ীরা দোকানে আগাম কাপড় কিনে মজুত করেন। এবার এখনও বোনাস নিষ্পত্তি না হওয়ায় ও ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের জেরে শ্রমিকদের পুজোর বাজার অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
নাগরাকাটা ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য নরেন্দ্র আগরওয়াল বলেন, শ্রমিকদের বোনাস হলেই ডুয়ার্সের হাটগুলিতে চা শ্রমিকদের পুজোর কেনাকাটা শুরু হয়। কিন্তু এবার কি হবে বুঝতে পারছি না।
কালচিনির হ্যামিল্টনগঞ্জ হাটের কাপড় ব্যবসায়ী রতন দাস বলেন, শ্রমিকদের বোনাসের দিকে তাকিয়ে একমাস আগেই দোকানে পুজোর জামা কাপড় মজুত করেছি। এখনও শ্রমিকদের বোনাসের নিষ্পত্তি হল না। এই অবস্থায় টানা ব্যাঙ্ক বন্ধের জেরে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে। আমরা ক্ষতির মুখে পড়েছি।
একই বক্তব্য বানারহাট, বিন্নাগুড়ি হাট, মঙ্গলাহাট, দলসিংপাড়া হাট, কলাবাড়ি হাট থেকে শুরু করে চা বলয়ের অন্যান্য হাটের কাপড় ব্যবসায়ীদেরও। শ্রমিকদের পুজোর বাজার শুরু না হওয়ায় ডুয়ার্সের হাটগুলির ব্যবসায়ীদের মধ্যে সর্বত্রই হাহাকার অবস্থা।
উত্তরবঙ্গে ২৭৫টি চা বাগান আছে। তার মধ্যে ১৭৫ টি বাগান বোনাসের আওতায় পড়ে। বোনাসের আওতায় থাকা বাগানগুলির বেশিরভাগই পড়েছে ডুয়ার্সে। কলকাতায় ইতিমধ্যেই শ্রমিকদের বোনাস নিয়ে দু’বার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু মালিকপক্ষ ১৭ শতাংশ হারের বেশি বোনাস দিতে রাজি না হওয়ায় চা শ্রমিকদের বোনাস বৈঠকের এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। কাল, রবিবার চা শ্রমিকদের পুজো বোনাসের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হতে পারে।
চা বাগান তৃণমূল কংগ্রেস মজদুর ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি প্রভাত মুখোপাধ্যায় বলেন, আশা করছি ২২ তারিখই শ্রমিকদের বোনাসের নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। কিন্তু টানা ব্যাঙ্ক বন্ধের জেরে শ্রমিকদের পুজোর বাজার কি হবে বলতে পারছি না।