কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
দেবেনবাবু বলেন, আমি দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। সেখান থেকে এসে এখনও পর্যন্ত দলের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও বৈঠক হয়নি। দলের বিজয় মিছিলের দিন রায়গঞ্জে গিয়েছিলাম। সেখানে অনেক জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তবে আমি অতি দ্রুত দলের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বসব। দল আমাকে আগামী দিনে কী দায়িত্ব দেবে সেটা পুরোপুরি দলের ব্যাপার। বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দাম বলেন, বিজয় মিছিলের দিন দেবেনবাবুর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তিনি তো দিল্লিতে গিয়ে দলে যোগ দিয়েছেন। দলের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে পরামর্শ না করে এই যোগদানের কারণে দলের একাংশ নেতৃত্ব ক্ষুব্ধ আছে। সেটা মেটানোর চেষ্টা চলছে। সেটা মিটলেই দেবেনবাবুর সঙ্গে বসা হবে।
হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেনবাবু দীর্ঘ দিন ধরেই বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জেলা রাজনীতিতে তিনি পরিচিত নাম। তাঁর দাবি, ১৯৮৮ সাল থেকে তিনি বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ১৯৯৩ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি সেচ ও সমবায় স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। এরপর ১৯৯৮ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে হেমতাবাদ থেকে সিপিএম তাঁকে প্রার্থী করে। তিনি তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সবিতা ক্ষেত্রীকে পরাজিত করে ওই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। দীর্ঘ দিনের বাম রাজনীতি করা দেবেনবাবু হঠাৎ করেই এই লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর বিজেপিতে যোগদানের বিষয়টি সামনে আসতেই একই সঙ্গে বিজেপি ও বাম শিবিরে তীব্র আলোড়ন পড়ে। দেবেনবাবুর দলত্যাগে জেলা সিপিএমের শিবরাত্রির শেষ সলতেও নিভে যায়। বামেরা তাদের এই বিধায়ক চলে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে তেমন উদ্বেগ প্রকাশ না করলেও এর আকস্মিকতায় হতচকিত হয়ে যান। দেবেনবাবুর এই যোগদান পর্বটি সর্ম্পকে সিপিএমের জেলা নেতারা একেবারেই অন্ধকারে ছিলেন। রাজনৈতিক মহলের খবর, দেবেনবাবু সদ্য কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে আসা এক নেতার হাত ধরে দিল্লি গিয়ে নতুন দলে দলে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু এই বিষয়টি জেলার পুরনো বিজেপি নেতারা মেনে নিতে পারেননি। তাঁদের দাবি, দলে যোগদান করার ব্যাপারে তাঁদের কোনও ক্ষোভ নেই। কিন্তু তার আগে জেলার শীর্ষ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানানো উচিত ছিল। সেটা না হওয়াতেই বিষয়টি নিয়ে দলের অন্দরে গোল বেঁধেছে।
গত লোকসভা নির্বাচনে হেমতাবাদে বিজেপি যথেষ্ট ভালো ভোট পেয়েছে। সেখানে তাদের সংগঠনও রয়েছে। এখন হেমতাবাদের বিধায়ক সিপিএম থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। হেমতাবাদের বিধায়ক হওয়া ও দীর্ঘ দিন ওই এলাকায় বাম রাজনীতি করার কারণে ওই এলাকা দেবেনবাবুর হাতে তালুর মতো পরিচিত। এখন বিজেপি আগামী দিনে সদ্য দলে আসা এই নেতাকে কীভাবে কাজে লাগায় সেটা দেখার অপেক্ষাতেই রয়েছে রাজনৈতিক মহল। তবে নবাগত দেবেনবাবুকে বিজেপিতে সাইড লাইনে রেখে দেওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজনৈতিক মহল।