কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, নিহত দুই পরিবারের সঙ্গে আমি সবসময়ে আছি। ওদের প্রতিদিনের লড়াইয়ের সঙ্গে আমি আছি। ওরাই আমাকে লড়াই করার অনুপ্রেরণা দিয়েছে। এই দুই ছাত্রের মা যেভাবে সত্যের জন্য লড়াই করেছেন এমন মায়ের উদাহরণ খুবই কমই আছে। ছেলেদের মৃত্যুর ন্যায় বিচার চেয়ে যেভাবে লড়াই করে যাচ্ছে তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকছে। ওদের লড়াইয়ে সঙ্গে বিজেপি প্রথমদিন থেকে আছে। আজকে ওরা আমাদের পরিবারের অঙ্গ। ভোটে জেতার পর শুক্রবারই প্রথম জেলায় এলাম। আমি প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে সিবিআই তদন্তর বিষয়ে কথা বলেছি। জেলাশাসকের সঙ্গেও কথা হয়েছে। সিবিআই’কে তদন্তভার দিতে কী সমস্যা আছে সেবিষয়ে প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছি। যতক্ষণ ওই দুই ছাত্রের মৃত্যুর বিষয়ে সিবিআই তদন্ত না হবে ততক্ষণ লড়াই শেষ হবে না। পুলিস সুপার বাইরে ছিলেন তাই ওঁর সঙ্গে কথা হয়নি।
অন্যদিকে উত্তর দিনাজপুর জেলার উন্নয়ন প্রসঙ্গে এদিন এমপি বলেন, বারবার বলেছি জেলার যোগাযোগ ব্যাবস্থাকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে। বারসই-রায়গঞ্জের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা হবে, দু’টি বাইপাসের কাজ দ্রুত শেষ করা, চিকিৎসা পরিষেবার উন্নয়ন এসব কিছুই আমার মাথায় আছে। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে বিজয় মিছিল বন্ধের যে নির্দেশ দিয়েছেন সেপ্রসঙ্গে দেবশ্রীদেবী বলেন, কর্মীরা যেভাবে পারবেন সেভাবেই তাঁরা তাঁদের উৎসাহ প্রকাশ করবেন। কারও ব্যক্তিগত উৎসাহ উদ্দীপনা তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার। এটাকে কেউ কোনও নির্দেশ দিয়ে আটকাতে পারে না। তবে এটা ঠিক যেহেতু আমি কেন্দ্রীয় সরকারের একজন মন্ত্রী তাই আমি মিছিলে থাকব না।
দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের মাস্টারপাড়ার মেয়ে দেবশ্রী চৌধুরী মন্ত্রী হওয়ার পরে নিজের শহরে কবে যাচ্ছেন, সেপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, বালুরঘাটে এখনই যাওয়ার পরিকল্পন নেই। কারণ ফের দিল্লি যেতে হবে। দপ্তরের কাজ বুঝে নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী কাজ বোঝেন সংবর্ধনা বোঝেন না। উনি বলেই দিয়েছিলেন সংবর্ধনা বিজয় মিছিল নয়, আগে কাজ বুঝুন, দপ্তর বুঝুন।
২০২১’র আগেই কি রাজ্যে সরকার পরিবর্তন আসবে? সেই প্রসঙ্গে দেবশ্রীদেবী বলেন, রাজ্য যেভাবে চলছে তা নিয়ে কি আরও দু’বছর টানা অসম্ভব।
নিহত রাজেশ সরকারের বাবা নীলকমল সরকার বলেন, এতদিনেও বিচার পাইনি। এখন মনে হচ্ছে বিচার পাব। সিবিআই তদন্তের দাবি আগেও জানিয়েছি এখনও সেই দাবি আমাদের আছে।
এদিন দাড়িভিট থেকে ফিরে মন্ত্রী সার্কেট হাউসে বিশ্রাম করেন। পরে ইসলামপুর বাস টার্মিনাসে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ওই সংবর্ধনা সভায় বিজেপির বিভিন্ন মণ্ডল কমিটি, তাদের বিভিন্ন শাখা সংগঠন ছাড়াও শহরের অরাজনৈতিক কয়েকটি সংগঠন তাঁকে সংবর্ধনা জানান। রাতে ইসলামপুর মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে মন্ত্রী বৈঠক করেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে এলাকার উন্নয়নের জন্য একগুচ্ছ প্রস্তাব দেওয়া হয়। এদিন বিজেপির পক্ষ থেকেও এলাকার উন্নয়নে মন্ত্রীর হাতে একগুচ্ছ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।