যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অমল কিস্কু বলেন, হবিবপুরে বিভাজনের রাজনীতি করে লাভ হবে না তা বিজেপি বুঝে গিয়েছে। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গে থাকবেন। অপসংস্কৃতি ও বিভাজনের বিরুদ্ধে সুস্থ সংস্কৃতি, আদিবাসী মানুষের মর্যাদা ও উন্নয়নের লড়াই হবে এই উপনির্বাচনে। বিজেপি’র প্রার্থী তথা জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা জয়েল মুর্মু বলেন, তৃণমূলের উন্নয়ন মানে তো ব্যক্তিগত উন্নয়ন। মানুষ বুঝে গিয়েছে। দীর্ঘদিন বামেদের হাতে নিপীড়িত আদিবাসী-রাজবংশী মানুষ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে ভরসা পেয়েছেন। সেই ভরসারই প্রতিফলন তাঁরা করবেন মোদিজি’র দলকে জিতিয়ে। সিপিএমের প্রার্থী তথা প্রবীণ নেতা সাধু টুডু বলেন, একদল বিভাজনকামী আর অন্যদল জবরদখলের রাজনীতি করে। বিজেপি ও তৃণমূলের এই রাজনীতির বিরুদ্ধে হবিবপুরের মানুষের প্রতিরোধ শুরু হয়ে গিয়েছে। গরিব মানুষের লড়াইয়ের সাথী বামেদেরই তারা বেছে নেবে। আমরাই এখানে নির্ণায়ক। কংগ্রেসের প্রার্থী তথা হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি রেজিনা মুর্মু বলেন, এখানকার মানুষ সবদলের কাজ দেখে নিয়েছেন। তাই এবার কংগ্রেসকে নির্বাচিত করার জন্যে মানুষ মুখিয়ে আছে।
প্রায় অর্ধদশক ধরে মালদহের হবিবপুরের মাটিতে বামেদের অবিসংবাদিত কর্তৃত্ব ছিল। গত বিধানসভা নির্বাচনেও এখান থেকে বামপ্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু সার্বিকভাবে বামেদের অবক্ষয়ের ধারা থেকে হবিবপুরও যে ব্যতিক্রম নয় তা গত বিধানসভাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কোনও রকমে দু’হাজারের কিছু বেশি ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট থাকার সুবাদে সিপিএম এখানে জিতেছিল। তারপর থেকেই ক্ষয়ের বিপুল দাপট নিজভূমেই বামেদের পরবাসী করে দিতে শুরু করে। বামেদের এই অবক্ষয়ের সমানুপাতিক হারে বিজেপি এই অঞ্চলে উঠে আসতে শুরু করে। যা এবারের নির্বাচনের আগে বিজেপি’কে অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বীর আসনে বসিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে, ২০১১ সাল থেকে বিজেপি’র থেকেও দ্রুতগতিতে এই অঞ্চলে প্রধান শক্তি হিসাবে উঠে এসেছে তৃণমূল। গত বিধানসভায় কানের পাশ ঘেঁষে হেরে যাওয়া তৃণমূল উপনির্বাচনের পড়ে পাওয়া সুযোগকে কাজে লাগাতে এবার মরিয়া হয়ে ময়দানে নেমেছিল। যে কারণে নির্বাচনের ঠিক মুখে দাঁড়িয়ে শাসকদল সবচেয়ে বেশি আত্মবিশ্বাসী।