যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
পরে তিনি বলেন, ত্রিপুরা, বিশাখাপত্তনম, অসম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টিং হয়েছিল আমার স্বামীর। ১৯ বছর দেশের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। আগামী আগস্ট মাসে তাঁর এই চাকরিতে ২০ বছর পূর্ণ হতো। সেসময় তিনি ভিআরএস নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তার আগেই পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় অন্যান্য জওয়ানদের সঙ্গে আমার স্বামীও প্রাণ হারান। আমার স্বামী দেশের সুরক্ষায় নিজের প্রাণ দিয়েছেন এটা ভেবে গর্ববোধ করি। আমার মতো অনেকেই স্বামীহারা হয়েছেন। ভোটপর্ব শেষে যে রাজনৈতিক দলই কেন্দ্রে সরকার গঠন করুক না কেন সেই সরকার যেন সীমান্তে কর্তব্যরত জওয়ানদের সুরক্ষার বিষয়ে আরও বেশি করে ভাবে। তাহলে দেশের সুরক্ষা আরও মজবুত হবে।
১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামার অবন্তীপোড়ায় জঙ্গি হামলায় একযোগে ৪২ জন সিআরপিএফ জওয়ান প্রাণ হারিয়েছিলেন। ওই ৪২ জন শহিদের মধ্যে ছিলেন হাওড়ার বাসিন্দা বাবলু সাঁতরা এবং নদীয়ার বাসিন্দা সুদীপ বিশ্বাস। তাঁদের মধ্যে বাবলু সাঁতরা হেড কনস্টেবল এবং সুদীপ বিশ্বাস কনস্টেবল পদে নিযুক্ত ছিলেন। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি বাকি ৪০ জন শহিদ জওয়ানদেরও এদিন শ্রদ্ধা জানানো হয় শিলিগুড়ি ট্যাক্সেশন বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। এই অনুষ্ঠানেই অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বাবলু সাঁতরা ও সুদীপ বিশ্বাসের পরিবারকে নগদ এক লক্ষ এক হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। তবে সুদীপ বিশ্বাসের পরিবারের লোকেরা অনুপস্থিত থাকায় ওই চেক সিআরপিএফের ডিআইজি (শিলিগুড়ি) অনিল কুমার মিশ্রর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
শিলিগুড়ি ট্যাক্সেশন বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম সাহা বলেন, আমরা শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি প্রত্যেক শহিদের পরিবারের হাতেই আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়ার বিষয়ে চিন্তভাবনা শুরু করেছিলাম। তবে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আর এটা শুধু আর্থিক সাহায্য নয়। আমরা সব সময় সেনা জওয়ানদের পাশে রয়েছি। বীর শহিদদের আত্মবলিদান আমরা কখনই ভুলতে পারব না। সিআরপিএফের ডিআইজি (শিলিগুড়ি) অনিল কুমার মিশ্র বলেন, নিরাপত্তার বিষয় আমার বলার কথা নয়। তবে কর্তব্যরত জওয়ানদের নিরাপত্তা যথেষ্ট রয়েছে। পাশাপাশি জওয়ানদের পরিবারে সদস্যদেরও ক্যাম্পাসে যথেষ্ট নিরাপত্তা থাকে। অন্যদিকে পুলওয়ামা ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করা উচিত নয় আমার। উচ্চপর্যায়ে তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে সবটাই প্রকাশ পাবে।