পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
সম্প্রতি ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি চীনা-হ্যাকারদের নিয়ে সতর্ক করেছিল। গলওয়ানে সীমান্ত সংঘাতের প্রেক্ষিতে তা বাড়তি মাত্রা পায়। এরই মধ্যে কমিউনিস্ট শাসক দেশের হ্যাকারদের টাকা দিয়ে ওয়েবসাইট বাঁচানো ভারতের প্রথম সারির একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার খবর সামনে আসে। তাতে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয় দেশজুড়ে। কিন্তু ঘটনা হল, থাইসার্টের দাবি অনুযায়ী চীনের হ্যাকারদের আর্থিক কেলেঙ্কারি ঘটানোর ক্ষেত্রে খুব বেশি মন নেই। তুলনায় তাদের বেশি নজর বিভিন্ন দেশের সামরিক তথ্যে। যেনতেনপ্রকারেণ সেই হাতানোর চেষ্টা চালিয়ে যায় তারা। চীন ছাড়াও রাশিয়া, আমেরিকা, পশ্চিম-দক্ষিণ এশিয়া এবং পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতেও রয়েছে ভিন্ন নামের বহু হ্যাকারদল। কিন্তু চীনের আধিপত্য আলাদা করে চোখে পড়ার মতো। থাইল্যান্ডের সঙ্গেও চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এখন ভালো নয়। যদিও থাইসার্টের দাবি, ‘কোনও দেশকে দোষারোপ করা তাদের উদ্দেশ্য নয়। তালিকা তৈরিতে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রেখেছে তারা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই দাবির সঙ্গে ভারতীয় গোয়েন্দাদের সতর্কবার্তাও মিলে যাচ্ছে। এরাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতকে তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবার সুপার পাওয়ার বলা হয় ঠিকই। কিন্তু হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে নিজেদের অন্য ‘উচ্চতায়’ নিয়ে গিয়েছে চীন। সরকারি সহায়তার সঙ্গে যোগ হয়েছে উগ্র কমিউনিস্ট ভাবধারায় দীক্ষিত পিঙ্ক আর্মির একগুঁয়ে মনোভাব। যে দেশই চীনের সঙ্গে বিবাদে জড়ায়, তাদের উপর বেশি করে ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা। তাই ভারতের আশঙ্কার যথেষ্টই কারণ রয়েছে। অন্তত গলওয়ানে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে। কলকাতার এক এথিক্যাল হ্যাকিং সংস্থার কর্ণধার বলেন, ‘অন্যান্য চীনা অ্যাপের সঙ্গে ফ্ল্যাশলাইট অ্যাপগুলিও নিষিদ্ধ করতে হবে। এগুলি সাইবার নিরাপত্তায় বড় হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’