গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
২০১৯ সাল। বিধানসভা ভোটের দামামা বেজে গিয়েছিল রাজ্যে। মিছিল-প্রচারের প্রস্তুতির মধ্যেই ১৫ মার্চ রাতে পুলিভেন্দুলায় নিজের বাড়িতে উদ্ধার হয় কাডাপার সাংসদ ৬৮ বছরের ওয়াই এস বিবেকানন্দ রেড্ডির রক্তাক্ত দেহ। তাঁর আরও একটা পরিচয় রয়েছে, অবিভক্ত অন্ধ্রের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস রাজাশেখর রেড্ডির ভাই। ভোটের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগের এই ঘটনা এক লহমায় বদলে দিল অন্ধ্র রাজনীতির অভিমুখ। সহানুভূতির আবেগে ভেসে ক্ষমতায় আসে জগনমোহনের ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি (ওয়াইএসআরসিপি)। তারপর গত পাঁচ বছরে পেন্না নদীতে বয়ে গিয়েছে বহু জল। বিবেকানন্দ হত্যা-কাণ্ডে জড়িয়েছে একাধিক প্রভাবশালীর নাম। স্বয়ং জগনের কাকা ওয়াই এস ভাস্কর রেড্ডিকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। কাডাপার বিদায়ী সাংসদ অবিনাশ রেড্ডি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়লেও তেলেঙ্গানা হাইকোর্টের রক্ষাকবচে গ্রেপ্তারি বাঁচিয়েছেন। চলতি লোকসভা নির্বাচনে তাঁকেই আবার প্রার্থী করেছে ওয়াইএসআরসিপি।
তাতে ফের উস্কে গিয়েছে ‘বিবেকানন্দ হত্যা রহস্য’ বিতর্ক। মেয়ে সুনীতার হাত ধরে। বাবার হত্যায় অবিযুক্ত একজনকে প্রার্থী করার জন্য ঝাঁঝালো ভাষায় তিনি নিশানা করেছেন জগনকে। সেই আক্রমণ নতুন মাত্রা পেয়েছে কাডাপার ক্যানভাসে ওয়াই এস আর-কন্যা শর্মিলার প্রবেশে। তাঁকে এবার প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। সঙ্গে দিয়েছে গোটা রাজ্যের ভার। রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জনসভা-প্রচারে নিয়ম করে ‘বিবেকানন্দ হত্যা’ পর্বকে টেনে আনছেন অন্ধ্র কংগ্রেসের পোস্টার গার্ল। বিবেকানন্দ-কন্যা সুনীতাও দাঁড়িয়েছেন তাঁর পাশে।
কাডাপা স্টেশনের বাইরে, সরকারি অতিথিশালার উল্টোদিকে ঠেলাগাড়িতে ইডলি বিক্রি করেন আনন্দ। বছর পঁয়ষট্টির এই ওয়াই এস আর-ভক্তও চান, ন্যায়বিচার পান সুনীতা। কথায় কথায় জানালেন, ‘বিবেকানন্দ রেড্ডির খুনটা খুব রহস্যের। প্রথমে শুনেছিলাম টিডিপি দায়ী। পরে দেখা গেল, শত্রু আসলে ঘরেরই লোক।’ অবিনাশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সুনীতাকে পাশে পাওয়াটা শর্মিলার বাড়তি অ্যাডভান্টেজ বলে মানছেন স্থানীয় কংগ্রেস নেতা শঙ্কর রেড্ডি।
স্থানীয় হাওয়া বুঝতে ভরসা আম জনতাই। হোটেলে ফেরার সময় বিবেকানন্দ নিয়ে জানতে চাইলাম অটোচালক বাবুর কাছে। সরাসরি উত্তর দিলেন না তিনি। বললেন, ‘কিছুদিন আগে বিবেকম বলে একটা সিনেমা রিলিজ করেছিল। সময় করে দেখবেন। পুরোটাই সিবিআই তদন্তের উপর ভিত্তি করে। আপনার প্রশ্নের উত্তরও পেয়ে যেতে পারেন।’