বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
১৯৬২ সালে গঠিত হয় রাজগড় লোকসভা। কেন্দ্রে মোট বিধানসভার সংখ্যা আট। গত বছর বিধানসভা ভোটে দু’টি আসন গিয়েছিল কংগ্ৰেসের দখলে। বাকি ছয় কেন্দ্রে জয় পেয়েছিল বিজেপি। তাই লোকসভায় ভালো ফলাফল করতে মরিয়া হাত শিবির। সিং পরিবারের ‘গড়’ হিসেবে পরিচিত রাজগড়। দিগ্বিজয় ছাড়াও এই আসনে একাধিকবার জয়ী হয়েছেন তাঁর ভাই লক্ষ্মণ।
শুরু থেকেই জনসংযোগে মন দিয়েছেন কংগ্ৰেস প্রার্থী। দায়িত্ব পাওয়ার পরেই হেঁটে ১০০ কিমি চষে ফেলেছেন তিনি। প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫টি গ্ৰামে যাচ্ছেন। কথা বলছেন স্থানীয়দের সঙ্গে। এই কাজে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন পুত্র জয়বর্ধন। ১৯৯৩ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন দিগ্বিজয়। কিন্তু গদি হারানোর পর আর মানুষের সঙ্গে নাকি তেমন সম্পর্ক রাখেননি তিনি। এবিষয় চাচৌরার এক কৃষক বলছিলেন, ‘বয়স্করা প্রত্যেকেই রাজা সাহেবের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কিন্তু নবীন প্রজন্ম তাঁর সম্বন্ধে কিছুই জানে না।’ এবারের ভোটে সেই অঙ্ক বদলাতে চাইছেন এই হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা। শুরু থেকেই বেকারত্ব, খাদ্যপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি, কৃষকদের সমস্যা সহ একাধিক ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন দিগ্বিজয়। অন্যদিকে সাম্প্রদায়িকতা সহ বিভিন্ন বিষয়ে দিগ্বিজয়ের বিতর্কিত মন্তব্যকে হাতিয়ার করেছে গেরুয়া শিবির। একইসঙ্গে ‘রাজা সাহেব’-এর শাসনকালের দুর্নীতির কথা মনে করিয়ে দিতে চাইছে মোদি ব্রিগেড।
রাজগড়ের মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ লক্ষের বেশি। ২০১৯ সালে রোদমালের পক্ষে গিয়েছিল ৬৫ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে কংগ্ৰেস প্রার্থী মোনা সুস্তানি পেয়েছিলেন ৩১ শতাংশ ভোট। স্থানীয়দের অবশ্য বক্তব্য, এতদিন মোদির জনপ্রিয়তার উপর ভর করেই জিতেছেন রোদমাল। হেভিওয়েট প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় সহজে জয় পেয়েছেন তিনি। কিন্তু এবার আর তেমনটা হচ্ছে না। চাচৌরার জয়সিংপুরা গ্ৰামের এক বাসিন্দা বলছিলেন, ‘ভোটে জেতার পর একবারও উনি এখানে আসেননি। গ্ৰামে প্রচার করেননি। দিগ্বিজয় সিং প্রার্থী হওয়ার আগে পর্যন্ত নিশ্চিন্তে বসেছিলেন।’