বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
গত প্রায় তিন মাস সন্দেশখালি ইস্যুতে জেরবার তৃণমূল কংগ্রেস। গরিব মানুষের জমিদখল থেকে নারী নির্যাতন—একের পর একে অপরাধে নাম জড়ায় স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের। সরকারি শিবির খুলে জমি ফেরানোর কাজ শুরু হয়। সেই সঙ্গে নারী নির্যাতনের ঘটনায় নাম জড়ানো তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার, শিবপ্রসাদ হাজরা ও শেখ শাহজাহানকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁদের গ্রেপ্তার করে রাজ্য পুলিস। তৃণমূল শনিবার সন্দেশখালির ১ ও ২ বিজেপির মণ্ডল সভাপতির বিস্ফোরক ভিডিওকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমে পড়ে। সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বলেন, ‘তৃণমূলকে অপমান করতে গিয়ে বাংলাকে অপমান করেছে বিজেপি। ২০০০ টাকার বিনিময়ে বাংলার মায়েদের সম্মান দিল্লির কাছে বিক্রি করেছে বিজেপি। এর ফল ওদের পেতে হবে। ২০২১ সালের থেকেও খারাপ পরিণতি হবে বিজেপির। হুমকি, সিবিআই, ইডি দিয়ে বাংলায় রাজনীতি চলবে না। আমি একজন বাঙালি হয়ে বিজেপির এই চক্রান্তে লজ্জিত। তাই বাংলার আপামর মানুষকে এক হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে হবে।’ বিজেপির টাকা দিয়ে সন্দেশখালি ইস্যু জিইয়ে রাখতে চাইছে বলে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বুথে ৫ হাজার টাকার মদ খরচ করেছে। তাহলে তো নির্বাচনে বিজেপির মদের বাজেটই তো ৪০ কোটিতে গিয়ে দাঁড়াবে।’ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে ভয় দেখানোর গেরুয়া রাজনীতির বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিয়ে অভিষেক বলেন, ‘আমাদের দলের সবাইকে জেলে পুরে দিলেও বাংলা মাথা নত করবে না।’
নির্বাচনী প্রচারে সন্দেশখালিকে হাতিয়ার করে বারবার সোচ্চার হয়েছেন মোদি-শাহ। এদিন স্টিং অপারেশনের ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর অভিষেকের হুঁশিয়ারি, ‘এরপর বিজেপি নেতারা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যদি ক্ষমা না চান, তাহলে ধরে নিতে হবে, তাঁদের অঙ্গুলিহেলনেই যাবতীয় ষড়যন্ত্র হয়েছে।’