বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
ইন্দোরের জেলাশাসক আশিস সিং বলেন, কংগ্রেস প্রার্থী বাম সহ তিন বিরোধী প্রার্থী নিয়ম মেনেই প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নেন। গোটা প্রক্রিয়াটি ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এদিন সকালেই বিজেপি বিধায়ক রমেশ মেন্ডলার সঙ্গে গিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন অক্ষয়। উল্লেখ্য, স্ক্রুটিনির দিনই তথ্য গোপনের অভিযোগে অক্ষয় বামের মনোনয়নপত্র বাতিলের দাবি জানিয়েছিল বিজেপির আইনজীবী সেল। ১৭ বছরের পুরনো জমিবিবাদ মামলায় খুনের চেষ্টার অভিযোগে বামের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করে পুলিস। কিন্তু মনোনয়ন পেশের দিন এই মামলা দায়ের হওয়ায় বিজেপির অভিযোগ খারিজ করেছিলেন রিটার্নিং অফিসার।
ইন্দোরের বিজেপি সাংসদ শঙ্কর লালওয়ানির বিরুদ্ধে ৪৫ বছরের বামকে দাঁড় করিয়েছিল হাতশিবির। এদিন তিনি বিজেপিতে যোগ দিতেই দলীয় নেতৃত্বের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। স্থানীয় এক কংগ্রেস কর্মী বলেন, অক্ষয় বামের মতো পয়সাওয়ালা কাউকে প্রার্থী করতে বারণ করেছিলাম। তার বদলে কোনও বিশ্বস্ত কর্মীকে প্রার্থী করার দাবিও করেছিলাম। এমনকী, সে যে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারে, তাও জানিয়েছিলাম। কর্মীরাই কংগ্রেসের কাছে সম্পদ। বছরের পর বছর নিষ্ঠার সঙ্গে দলটা করছি। তা সত্ত্বেও এমন লোকজনকে প্রার্থীপদ দেওয়া হলে খারাপ লাগে। কংগ্রেস যদি আমাদের বিশ্বাস না করে, তাহলে তো হারবেই।
এপ্রসঙ্গে কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনেত। তিনি বলেন, এধরনের ঘটনায় বিপন্ন হচ্ছে গণতন্ত্র। একের পর এক প্রার্থীকে ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারের ঘটনার পরও নির্বাচন কমিশন যখন মুখ ফিরিয়ে থাকে, তখন আদৌ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। ছবি: পিটিআই