বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ হবে। প্রথমটির সঙ্গে পরের ডোজের সময়ের ব্যবধান হবে ২৮ দিনের। অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের মানব শরীরে শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল রিপোর্টের বিস্তারিত ডেটা আগামী মাসেই ব্রিটেনে প্রকাশ করা হবে। সেই তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের ভারতীয় নির্মাতা অগ্রসর হবে। আর ঠিক তখনই ভারতের ড্রাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে আপৎকালীন বা জরুরিভিত্তিক লাইসেন্সের জন্য আবেদন জানাবে সিরাম। জরুরি ভিত্তিতে যাতে ভ্যাকসিন দেওয়া যায়, সেই লক্ষ্যেই এই ইমার্জেন্সি লাইসেন্স ব্যবস্থা নিতে চলেছে বিভিন্ন দেশ। ইতিমধ্যে আমেরিকার ফাইজার সংস্থা জানিয়েছে, তারা ডিসেম্বর মাসেই ইমার্জেন্সি লাইসেন্স পেয়ে যাবে বলে আশা করছে। আর ডিসেম্বর মাসে জরুরিকালীন ভিত্তিতে ফাইজার ও মডার্না সংস্থা ভ্যাকসিনের বিলি-বণ্টন শুরু করবে। একইভাবে সেই পন্থাই নেবে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। পুনাওয়ালা বলেছেন, ডিসেম্বর মাসে ভারতবাসীর জন্য ভ্যাকসিন তৈরি এবং তারপর সাধারণ মানুষের উপর ব্যবহারের জন্য বাজারে আসা... সবটাই নির্ভর করছে দু’টি শর্তের উপর। প্রথমত, ইমার্জেন্সি লাইসেন্স দিতে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া কতদিন সময় নেবে। এটাই এই মুহূর্তে বড়সড় একটা ফ্যাক্টর। আর দ্বিতীয়ত, ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল রিপোর্টের বিস্তারিত ডেটা কতটা ত্রুটিহীন হবে। তবে এখনও পর্যন্ত ইতিবাচক বার্তা হল, এই দু’টি ক্ষেত্রেই সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। অর্থাৎ ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন প্রয়োগের ডেটায় কোনও জটিলতা এখনও পর্যন্ত থাকার সম্ভাবনা নেই। তাই আগামী মাসের ডেটা রিপোর্ট প্রকাশ যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক হতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর একইসঙ্গে ভারতের ড্রাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থাও দ্রুত অনুমতি দেবে। পুনাওয়ালা বলেছেন, ভারত সরকার নিজেই চাইছে দ্রুত বাজারে ভ্যাকসিন নিয়ে আসতে। প্রাথমিকভাবে ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ১০ কোটি ভ্যাকসিন তৈরি তো হবেই, বাজারে সাপ্লাইয়ের জন্য প্রস্তুতও হয়ে যাবে। সিরাম ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এরপর জানুয়ারি মাসে সম্পূর্ণভাবে সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য সাপ্লাই শুরুর পরিকাঠামো এবং কোল্ড স্টোরেজে চেইন নিয়ে আলোচনা হবে। ভ্যাকসিনের কি কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকবে? এই প্রশ্নের উত্তরে আদার পুনাওয়ালা বলেছেন, সামগ্রিকভাবে তার বিস্তারিত রিপোর্ট পেতে অন্তত এক-দেড় বছর সময় লেগে যাবে। তবে মানব শরীরে প্রয়োগ-পরীক্ষায় কোনও জটিল উপসর্গ অথবা প্রতিক্রিয়া আপাতত হয়নি। তাই আশা করা হচ্ছে, ভ্যাকসিন হবে নিরাপদই।