বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
লালু-পুত্র তেজস্বীর গত কয়েকটি সমাবেশে ভিড় ভালোই হয়েছিল। সেই ভিড়ই উৎসাহ বাড়িয়েছে আরজেডির। আর পাল্টা নীতীশের দল প্রচারে নেমেছে ভিড় হলেই ভোট বাড়ে না। কিন্তু তেজস্বীর জনপ্রিয়তা নিয়ে যে টেনশনে রয়েছে এনডিএ, তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ স্বভাববিরুদ্ধভাবে ব্যক্তি আক্রমণ করেছেন তেজস্বীকে। আর এবার লালু-পুত্রকে নিশানা করলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। আর তেজস্বীকে আক্রমণ করতে গিয়ে টেনে আনলেন তাঁর বাবা ও মায়ের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়কালের বিহার প্রসঙ্গ। তাঁদের ১৫ বছরের শাসনের ‘কালো দিনে’র কথা স্মরণ করিয়ে দেন। বলেন, এই সময়েই অপরাধের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছেছিল বিহার। আর তারপরেই আক্রমণ করেন তেজস্বীকে। মোদির কথায়, জঙ্গলরাজের যুবরাজের কাছে মানুষের কোনও প্রত্যাশা থাকতে পারে না। মাস্ক পরে যেমন কোভিড-১৯ থেকে আপনারা নিজেদের রক্ষা করেন, তেমনি একটি ভোট রোগাক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে বিহারকে রক্ষা করবে। এনডিএ সরকারই বিহারকে অন্ধকার থেকে আলোয় ফিরিয়েছে বলে মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর।
দ্বারভাঙার সমাবেশে রামমন্দির প্রসঙ্গও টেনে আনেন প্রধানমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে পাশে বসিয়েই কার্যত তাঁকে কটাক্ষ করেন মোদি। যদিও রামমন্দির নিয়ে সেই কটাক্ষ করার আগে নীতীশের কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। কিন্তু রামমন্দির প্রসঙ্গে মোদি বলেন, অনেকেই প্রশ্ন করেছিলেন, কবে ওই মন্দির তৈরি হবে? তারিখটা জানিয়ে দিন। আজ তাঁরাই প্রশংসা করছেন। এটাই এনডিএ। যা প্রতিশ্রুতি দেয়, তা রক্ষা করে। প্রসঙ্গত, নীতীশ যখন মহাজোটের সঙ্গে ছিলেন, তখন ২০১৫ সালে বিজেপির সমালোচনা করে বলেছিলেন, মন্দির ওহি বানায়েঙ্গে, পর তারিখ নেহি বাতায়েঙ্গে। দ্বারভাঙার সমাবেশে মোদি স্পষ্টই জানিয়ে দেন, চিরাগ পাসোয়ানের এলজেপি এবার এনডিএ জোটে নেই।
এদিন বিহারের চম্পারণে ভোট প্রচারে আসেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সেখানে তিনি কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মোদিকে। বলেন, শেষবার প্রধানমন্ত্রী মোদি এখানে এসে চিনিকল তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি সকলের সঙ্গে বসে চা খাওয়ার কথা বলেছিলেন। আপনাদের সেই কথা মনে আছে? তিনি কি আপনাদের সঙ্গে চা খেয়েছেন? কর্মসংস্থানের প্রশ্নেও মোদি-নীতীশকে একযোগে আক্রমণ করেন কংগ্রেস নেতা। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন বিহারের ভাই-বোনকে রাজ্য ছেড়ে অন্যত্র চাকরির জন্য যেতে হয়? তাঁদের কি কোনও খামতি আছে? বিহারবাসীর কোনও খামতি নেই। খামতি রয়েছে প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর। মোদিকে মিথ্যেবাদী আখ্যা দিয়ে রাহুল বলেন, কংগ্রেস দীর্ঘদিন দেশ শাসন করেছে। আমরা জানি, কীভাবে দেশ চালাতে হয়। আমরা কৃষকদের পাশে থাকি। কর্মসংস্থান কংগ্রেসই করেছে। তবে একটা ব্যাপারে আমাদের ঘাটতি রয়েছে। সেটা হল মিথ্যা বলতে না পারা। মিথ্যা বলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আমরা প্রতিযোগিতায় নামতে পারব না। পাঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়ানোকে অবশ্য সমর্থন করেননি রাহুল। বিষয়টি ঠিক হয়নি বললেও রাহুলের কথায়, এটা অত্যন্ত দুঃখের যে মানুষ প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়াচ্ছেন।