উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
বিহারে মোট ২৪৩টি আসনের ভোট হবে তিন দফায়। আজ প্রথম পর্যায়ে থাকছে ৭১টি আসন। কোন দলের ঝুলিতে আসবে সিংহভাগ আসন, তা নিয়ে কৌতূহল তুঙ্গে। বিহারের ভোট-রাজনীতিও এবার অন্য খাতে বইছে। সেদিকেও বাড়তি নজর থাকছে রাজনৈতিক মহলের। ভোট-ময়দানে জাতীয় স্তরের দুই যুযুধান দল কংগ্রেস-বিজেপি রয়েছে দুই শিবিরে। মূল লড়াইটা অবশ্য নীতীশ কুমারের সঙ্গে লালু-পাসোয়ানের উত্তরসূরিদের। প্রবীণ বনাম নবীনের। সেই অঙ্কে বিহারের ভোট এবার যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন দলিত নেতা রামবিলাস পাসোয়ান। জেলবন্দি থাকায় ময়দানে নেই লালুপ্রসাদ যাদবও। তাঁর মতো আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব না থাকায় বিহার নির্বাচনের রঙ অনেকটাই ফিকে। লালুপ্রসাদের ‘ইমেজ’ নিয়ে চষে বেড়াচ্ছেন পুত্র তেজস্বী যাদব। শুধু প্রথম দফার ভোটের জন্য তিনি সেরেছেন ৬০টি সভা। সেয়ানে সেয়ানে টক্কর দিচ্ছেন পাসোয়ান পুত্র চিরাগও। তাঁর সংকল্প, ক্ষমতায় এসে নীতীশ কুমারকে জেলে পুরবেন। সেই মতো ‘সাত নিশ্চয়’ নামে বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছেন।
বিহারের দলিত ভোট রামবিলাস-পুত্র কতটা কব্জায় রাখতে পারবেন, তা নিয়ে অবশ্য রাজনৈতিক মহলের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। কারণ, নির্বাচনী মঞ্চে লোক জনশক্তি পার্টির অবস্থান খুব একটা স্পষ্ট নয়। একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্তুতি, আবার একইসঙ্গে নীতীশ কুমারের প্রবল সমালোচক চিরাগ। ভোটের পর তিনি আরজেডি’র হাত ধরবেন নাকি বিজেপি’তে ফিরবেন, তা নিয়েও জনমানসে প্রশ্ন রয়েছে। তা সত্ত্বেও দিনের শেষে তেজস্বী আর চিরাগের নীতীশ-বিরোধী লড়াই বিহার ভোটে বাড়তি মাত্রা জোগাচ্ছে।
নীতীশ কুমার বিজেপির ভরসায় ফের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। সেই মতো ভোটের রণকৌশলও ঠিক করেছেন। কিন্তু কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর দাবি, ‘বিহারে এবার পরিবর্তন হচ্ছেই। ক্ষমতায় আসছে মহাজোট (আরজেডি-কংগ্রেস ও বাম)-এর সরকার। কারণ, সব জায়গাতেই বিজেপি আসলে সর্বনাশের সরকার চালাচ্ছে। কাজ নেই, উন্নয়ন নেই। রয়েছে কেবল অহঙ্কার। তাই এবার বদল হবেই।’
বিহারে পরের দু’দফার ভোট আগামী ৩ এবং ৭ নভেম্বর। আজকের ভোটে লড়াইয়ে নামছেন মোট ১ হাজার ৬৬ জন প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে মহিলার সংখ্যা ১১৪ জন। ছ’জন মন্ত্রীরও ভাগ্য পরীক্ষা আজই। নীতীশ কুমারকে সামনে রেখে বিজেপি ক্ষমতায় আসতে রামমন্দির গড়ার উদ্যোগ থেকে কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের বিষয় প্রচারে এনে বিহারে আম জনতার মন জয়ের চেষ্টা করেছে। অন্যদিকে, তেজস্বী তুলে ধরছেন কর্মসংস্থানের কথা। বলছেন পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার কথা। মহাজোটের প্রচারক হিসেবে তেজস্বীর সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। কোভিড পরিস্থিতিতে এই প্রথম ভোট হচ্ছে বিহারে। ফলে সেভাবে বিশাল জনসভা করতে পারেনি কোনও দলই। ভোট প্রচারের এই চিরাচরিত প্রথা ভেঙে কে কতটা বিহারবাসীর মন জয় করতে পারবে, সেটাই এখন দেখার।