উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, লস্কর-ই-তোইবা, হিজবুল মুজাহিদিন এবং জয়েশ-ই-মহম্মদের জঙ্গিদের কাশ্মীরে নাশকতার জন্য তৈরি করা হচ্ছে। যার পুরো পরিকল্পনাটাই করেছে আইএসআই। গত এপ্রিল মাসে পাঞ্জাব প্রদেশে জয়েশ, লস্কর কমান্ডারদের সঙ্গে আইএসআইয়ের প্রথম বৈঠকটি হয়। পরের মাসে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোটলি জেলায় আইএসআইয়ের দপ্তরে দ্বিতীয় বৈঠকটি হয়। সেখানে লস্কর প্রধান জাকিউর রহমান লকভি, জয়েশ প্রধান রউফ আসগর, আমির হামজা সহ প্রথমসারির সন্ত্রাসবাদীরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সিদ্ধান্ত হয়, ড্রোনের মাধ্যমে অস্ত্রপাচার সহ হামলার প্রস্তুতি নেবে জঙ্গিরা। সেই মতো জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়াও শুরু করে পাকিস্তান। তিন কিলোমিটার রেঞ্জের কোয়াডকপ্টার ব্যবহার করে পাঁচ কেজি পর্যন্ত বিস্ফোরকের সাহায্যে হামলা চালানোর পরিকল্পনা হয় ওই বৈঠকে। জানা গিয়েছে, এই পরিকল্পনার বিষয়টি ফাঁস হয়ে যেতেই ভারতও সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং সেনাদের এই ধরনের হামলা রুখতে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়। গত সেপ্টেম্বর মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি জেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তিন লস্কর জঙ্গিকে। তাদের কাছ থেকে গোলাবারুদ সহ বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল। ওই অস্ত্রগুলি ড্রোনের মাধ্যমে পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে সরবরাহ করা হচ্ছিল। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে ছিল দু’টি একে-৫৬ রাইফেল, ১৮০ রাউন্ড কার্তুজ, ৬টি একে-ম্যাগাজিন, দু’টি চিনা পিস্তল, ৩০ রাউন্ড কার্তুজ সহ তিনটি পিস্তল ম্যাগাজিন, চারটি গ্রেনেড।
জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় জঙ্গিদের হেলিকপ্টার এবং ড্রোনের ব্যবহারের আশঙ্কা বাড়তে থাকায় এই রিপোর্ট সম্প্রতি ভারতীয় সেনার হাতে তুলে দেন গোয়েন্দারা। মোকাবিলায় সেনাদের বিশেষ প্রশিক্ষণও শুরু হয়েছে। জওয়ানদের ড্রোন নিয়ন্ত্রণ এবং ধ্বংস করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। উপত্যকার ১৫ কর্পস ব্যাটেল স্কুলে তাঁদের প্রশিক্ষণ চলছে।