কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
শনিবার সকাল আটটায় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫১৯ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৯ হাজার ৮৭৩ জন। করোনাজয়ীদের সংখ্যা ৫ লক্ষ ছাড়িয়েছে। মোট আক্রান্তের ৬২.৭৮ শতাংশ মানুষ সুস্থ হয়ে উঠছেন। দেশে এদিন পর্যন্ত সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৮৩ হাজার ৪০৭ জন। পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে সংক্রামিতের সংখ্যা এক লক্ষ পৌঁছতে সময় লেগেছিল ১১০ দিন। সেখানে বাকি ৭ লক্ষ ছাড়িয়েছে মাত্র ৫৩ দিন। দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষস্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এরপর রয়েছে তামিলনাড়ু, দিল্লি, গুজরাত ও উত্তরপ্রদেশ।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশার কথা শুনিয়েছে। জেনিভাতে এক ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে ‘হু’ প্রধান আধানম বলেন, গত ছ’সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু বিশ্বে অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে সংক্রমণ বাড়লেও কড়া পদক্ষেপের জন্য তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। এমনই কিছু দেশ হল, ইতালি, স্পেন ও দক্ষিণ কোরিয়া। এছাড়া মুম্বই সংলগ্ন ঘনবসতিপূর্ণ ধারাভিতেও তা দেখা গিয়েছে। যেখানে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা করা হয়েছিল, সেখানে নমুনা পরীক্ষা, সংক্রমণের উৎস খুঁজে বের করা, আক্রান্তদের পৃথক রাখা এবং চিকিৎসার মাধ্যমে ভাইরাসের শৃঙ্খল ভাঙা সম্ভব হয়েছে। ফলে করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকানো গিয়েছে।
আড়াই বর্গ কিলোমিটারের এই ধারাভি বস্তিতে ন’লক্ষেরও বেশি মানুষের বসবাস। জুন মাসের গোড়ায় ধারাভিতে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু, সরকার ও পুরসভার দ্রুত পদক্ষেপে আটকানো সম্ভব হয়েছে। গত শুক্রবার ধারাভিতে নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ১২ জন। এদিকে, বৃহস্পতিবারই স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছিল, রাজধানী দিল্লির পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। এদিন দেশের করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি দিল্লিতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্র, রাজ্য ও স্থানীয় প্রশাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে এনসিআর এলাকায় সংক্রমণ আটকাতে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে একই পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
অন্যদিকে, সিকিমে যতজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তার বেশিরভাগই নিরাপত্তারক্ষী। তাঁদের মাধ্যমেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। তাই একমাত্র করোনা নেগেটিভ সেনা জওয়ানদেরই সেই রাজ্যে ঢুকতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। তাই পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তসংলগ্ন রংপো চেকপোষ্টে সেনাকর্মীদের র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হয়েছে।