কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
এদিকে শুক্রবার মহারাষ্ট্রের থানে থেকে বিকাশের আরও দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী অরবিন্দ ত্রিবেদি এবং তার গাড়ির চালক সোনু তিওয়ারিকে গ্রেপ্তার করেছে জুহু এটিএস। গত সপ্তাহে চৌবেপুরে আট পুলিস হত্যাকাণ্ডে এই দু’জনও বিকাশের সঙ্গে ছিল। এটিএসের জুহু শাখার অফিসারদের কাছে খবর ছিল, তারা থানেতে লুকিয়ে রয়েছে। সেইমতো শনিবার এটিএস অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। অরবিন্দের বিরুদ্ধে বহু মামলা রয়েছে। ২০০১ সালে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী সন্তোষ শুক্লা খুনে বিকাশের সহযোগী ছিল সে।
শুক্রবার উজ্জয়িনী থেকে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে আসার পথে পুলিস হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করে বিকাশ। তখনই এনকাউন্টারে তাকে ঝাঁঝরা করে দেয় পুলিস। এই ঘটনার পর থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সংবাদমাধ্যম রাজ্য পুলিসের বিরুদ্ধে ভুয়ো এনকাউন্টারের জল্পনা শুরু করেছে। শনিবার এই ধরনের নানা জল্পনাকে নস্যাৎ করে গোটা ঘটনায় পুলিসের ভূমিকার পক্ষে সওয়াল করেছেন এডিজি। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, এনকাউন্টারে যদি পারিপার্শ্বিক ক্ষতি হয়ে থাকে, তাহলে সেটা দুঃখজনক। কিন্তু অপরাধীকে খতম করতে গেলে এই ধরনের ঘটনা এড়ানো যায় না। মিরাট জোনের এডিজি প্রশান্ত কুমারের পরিচিতি অপরাধীদের ত্রাস হিসেবে। কর্মজীবনে তিনি ২ হাজার ২৭৩টি এনকাউন্টার অভিযান চালিয়েছেন। তার মধ্যে ৬৫ জন ওয়ান্টেড অপরাধীকে খতম করেছেন। ধরা পড়েছে ৪ হাজার ২৫৬ জন। কুমার বলেন, ‘আমার একমাত্র লক্ষ্য হল অপরাধ ও অপরাধীদের জিরো টলারেন্স। তাই আমাদের যথাযথ ব্যবস্থা নিতেই হবে। আর আমাদের উপর যদি গুলি চালানো হয়, তাহলে আইনত আমরা আত্মরক্ষা করতে গুলি চালাতেই পারি। তাতে যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে সেটা পারিপার্শ্বিক ক্ষতি।’
বিকাশ দুবের ক্ষেত্রেও তাই-ই হয়েছে। পুলিস আত্মরক্ষা করতে গুলি চালিয়েছে। এবং ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় কুখ্যাত ওই গ্যংস্টার। নব্বইয়ের গোড়ায় উত্থান হওয়া বিকাশ দুবের ত্রিশ বছরের রাজত্ব শুক্রবারের এক এনকাউন্টারেই শেষ। শনিবার কড়া পুলিসি নিরাপত্তায় ভৈরোঘাটে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। তবে এই করুণ পরিণতিই যে বিকাশের জন্য অপেক্ষা করছিল, এমনটাই ধারণা তার পরিবারের। এদিন শেষকৃত্যে হাজির ছিলেন স্ত্রী রিচা। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী এটারই যোগ্য ছিল।’