কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
শুক্রবারের ওই বৈঠকের বিষয়ে এদিন মমতাকে ফোন করেন সোনিয়া গান্ধীর ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল। জানা গিয়েছে, তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে কথা হয়েছে সোনিয়া গান্ধী এবং শারদ পাওয়ারের। আগামী শুক্রবার বিকেল তিনটের সময় কলকাতা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই বৈঠকে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি জানানোর কথা এদিন নিজেই জানিয়েছেন মমতা। নবান্নে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা তো চলছেই। এবার আমরা বিরোধীরাও বসে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নেব। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে আরও কীভাবে ভালো কাজ করা যায় এবং এই মুহূর্তে উদ্ভূত পরিস্থিতির মোকাবিলা কোন পথে, আলোচনা হবে তা নিয়েও।
তবে সূত্রের খবর, লকডাউন পর্বে চরম আর্থিক সঙ্কটে শুধু গালভরা নয়, প্রকৃত আর্থিক প্যাকেজের দাবি, দেশজুড়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের অবর্ণনীয় অবস্থা দেখেও সরকারের চরম উদাসীনতা এবং শ্রম আইনে পরিবর্তন আনার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলা নিয়েও বিরোধীদের মধ্যে কথা হবে।
গত লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতাই বিজেপি বিরোধীদলগুলিকে একত্রিত করার মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছিলেন। গত বছরের শেষ দিকে সিএএ এবং এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের আবর্তেও সমস্ত বিরোধীদলকে একযোগে আন্দোলন করার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সে সময় এ রাজ্যে বাম ও কংগ্রেসের তরফে বিজেপি বিরোধিতার বদলে শুরু হয় মমতার সঙ্গেই চরম অসহযোগিতার পালা। এই পর্বে গত জানুয়ারি মাসে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ফের চেষ্টা চালান সমস্ত বিরোধী দলকে একত্রিত করার। ১৩ জানুয়ারি তিনি একটি বৈঠকও ডাকেন। কিন্তু মমতা এবং মায়াবতীর মতো বিরোধী নেত্রীরা তাতে অংশ না নেওয়ায়, সেই চেষ্টা ফলপ্রসূ হয়নি। এবার করোনা পর্বে সোনিয়ার ডাকে ফের বৈঠকের আয়োজন এবং তাতে মমতার অংশগ্রহণ তাই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।