গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
গত বছরের ডিসেম্বরে এনপিআর চালুর জন্য সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দে অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। তার আগে থেকেই অবশ্য এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠে দেশ। বিভিন্ন বিরোধী দল একযোগে এনআরসি, এনপিআর ও সিএএ বাতিলের দাবিতে সরব হয়। তৃণমূল কংগ্রেস সংসদের ভিতরে ও বাইরে এই বিষয়ে জোরালো আওয়াজ তোলে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টই জানিয়ে দেন, রাজ্যে এসব চালু করা হবে না। তা যে স্রেফ ফাঁকা বুলি নয়, তা কাজেও প্রমাণ করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্র বলা সত্ত্বেও এনপিআর নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি রাজ্য সরকার। অন্যদিকে, সিপিএম শাসিত কেরল সরকারও প্রথম থেকে এনপিআর নিয়ে সরব। দেশের একমাত্র রাজ্য হিসেবে বিধানসভায় প্রস্তাবনা পাশ থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে আইনি পথেও হেঁটেছে পিনারাই বিজয়ন সরকার। প্রত্যাশামতোই এনপিআর নিয়ে তাই কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি কেরল সরকার।
কিন্তু কংগ্রেস বা অন্য বিরোধী দল এনপিআর নিয়ে বিরোধিতা করলেও, কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলি কিন্তু বিজ্ঞপ্তি জারি বন্ধ রাখেনি। ফলে কংগ্রেসের এনপিআর বিরোধিতা লোকদেখানো কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এনপিআর নিয়ে আবার সকলকে ধন্দে রেখেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তাঁর দলের সহ সভাপতি প্রশান্ত কিশোর প্রথম থেকেই নাগরিকত্ব আইন ও এনপিআর নিয়ে কট্টর অবস্থান নিয়েছিলেন। কিন্তু মুখ খোলেননি নীতীশ। পরে বিধানসভায় তিনি ওই আইন নিয়ে বিতর্ক হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেন। তারপরেই নাগরিকত্ব আইন নিয়ে নীতীশের দলের অবস্থান বদলের কথা চাউর হয়। কিন্তু নীতীশ ঘনিষ্ঠ আর এক মন্ত্রী গতকালই জানিয়ে দেন, দলের অবস্থান বদলের কোনও প্রশ্নই নেই। আর এদিন এসব নিয়ে প্রশ্ন করলে মুচকি হেসে উত্তর এড়িয়ে যান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, মকর সংক্রান্তির দিন এসব প্রশ্ন নয়। একইভাবে সিএএ বা এনআরসি বা এনপিআর নিয়ে চুপ রয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকও।