মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
শুক্রবার কাকভোরে পুলিসের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছিল চার অভিযুক্তের। এর পরই পুলিসি এনকাউন্টারের ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্তকারী দল পাঠানোর কথা ঘোষণা করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কমিশন জানায়, এনকাউন্টারের এই ঘটনা উদ্বেগজনক। সতর্কভাবে তা নিয়ে তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। সেই মতো সাত সদস্যের একটি তদন্তকারী দলকে পাঠানো হয়। এই দলে রয়েছেন এক ফরেন্সিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞও। মেহবুবনগর জেলার যে সরকারি হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর চার অভিযুক্তের দেহ রাখা হয়েছে, শনিবার তার মর্গে যান তদন্তকারীরা। দেহগুলি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। পাশাপাশি হায়দরাবাদ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে যে জায়গা থেকে নির্যাতিতা পশু চিকিৎসকের অগ্নিদগ্ন দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেখানেও যান কমিশনের তদন্তকারীরা। যেখান থেকে নির্যাতিতার দেহ উদ্ধার হয়েছিল, তার কাছেই শুক্রবার ভোরে পুলিসি এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। পুলিসের দাবি, ঘটনার পুনর্নির্মাণের লক্ষ্যে শুক্রবার ভোরে ওই জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অভিযুক্তরা। সেই সময় পুলিসের আগ্নেয়ান্ত্র ছিনতাই করে পালানোর চেষ্টা করে তারা। পুলিসের উপর হামলাও চালায়। আত্মরক্ষার স্বার্থে পুলিস পাল্টা গুলি চালায়। তাতেই মৃত্যু হয় চার অভিযুক্তের। তদন্তের অঙ্গ হিসেবে গতকাল এনকাউন্টারের স্থানটিও খতিয়ে দেখে কমিশনের পাঠানো দলটি। সরকারি সূত্রে খবর, মেহবুবনগর জেলা হাসপাতালে অভিযুক্তদের দেহের ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া ভিডিওগ্রাফ করে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল, অভিযুক্তদের দেহ ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত পর্যন্ত সৎকার করা যাবে না। সংরক্ষিত রাখতে হবে। ৯ ডিসেম্বর অর্থাৎ সোমবার বিষয়টি নিয়ে ফের শুনানি হবে। হাইকোর্টে পেশ হওয়া একটি আবেদনে অভিযোগ করা হয়েছিল, এনকাউন্টারের অজুহাতে অভিযুক্তদের বিচার বহির্ভূতভাবে খুন করা হয়েছে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই রাজ্য সরকারকে সোমবার সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত দেহগুলি সংরক্ষণ করে রাখতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ওই আবেদনে পুলিসি এনকাউন্টারের এই ঘটনা নিয়ে আদালতের হস্তক্ষেপের আর্জি জানানো হয়েছিল।