মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
জাতীয় সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের ক্ষেত্রে টোল সংগ্রহে গতি বাড়াতে আগেই এই স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা রূপায়ণ করতে চেয়েছিল কেন্দ্র। সেই মতো গত ১ ডিসেম্বর থেকে ফাস্ট্যাগের মাধ্যমে টোল আদায়ের কথা ছিল। অধিকাংশ যানবাহনই যাতে এই ব্যবস্থার সুবিধা নিতে পারে, তার জন্য এর রূপায়ণ আরও ১৫ দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। তাতেও পরিস্থিতির যে খুব একটা বদল হয়নি, তা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কলকাতা অফিসের দেওয়া তথ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
ওই অফিসের এক কর্তা বলেন, গত নভেম্বর মাসের শেষের দিকে এ রাজ্যের মধ্যে থাকা জাতীয় সড়ক দিতে চলাচলকারী যানবাহনের মাত্র ১৬ থেকে ১৭ শতাংশ গাড়ি ফাস্ট্যাগের মাধ্যমে টোল মেটাত। গত কিছু দিনে সেই সংখ্যা খুব বেশি বাড়েনি। বর্তমানে তা ২৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। নয়া ব্যবস্থায় ফাস্ট্যাগ ছাড়া নগদে টোল সংগ্রহের জন্য কেবলমাত্র একটি করে লেন খোলা থাকবে। টোল প্লাজার বাকি লেনগুলি থাকবে কেবলমাত্র ফাস্ট্যাগ লাগানো গাড়ির জন্য। এই পরিস্থিতিতে নগদে টোল দেওয়ার লেনে গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যেতে পারে। তাতে টোল পর্ব মেটাতে অন্তত ১৫ মিনিট সময় তো লাগবেই।
কেন যানবাহনে ফ্যাস্ট্যাগ লাগাচ্ছেন না মালিকরা? এ প্রশ্নে মালিকদের মধ্য থেকে যে উত্তরটি প্রথমেই এসেছে, তা হল, বিষয়টি নিয়ে প্রচারের অভাব রয়েছে। এখনও মালিকরা ফাস্ট্যাগ নিয়ে ওয়াকিবহাল নন। জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ফাস্ট্যাগ জিনিসটি ঠিক কী, কীভাবে তা পাওয়া যাবে, তা নিয়ে এখনও অনেকে ঠিক মতো জানেন না। আমরা চাই, এ নিয়ে আলোচনা করা হোক। সুবিধা মিললে ফাস্ট্যাগ লাগাতে কোনও সমস্যা হবে না। ইন্টার অ্যান্ড ইন্ট্রা রিজিয়ন বাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক পল্লব মজুমদার বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন টোলে কিছু ব্যবসায়িক সুবিধা পাওয়া যায়। নয়া ব্যবস্থায় সেটা কি পাওয়া যাবে? লাক্স্যারি ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন (পশ্চিমবঙ্গ)-এর সম্পাদক সৈকত পাল বলেন, আমরা চাইছি ফাস্ট্যাগ বাধ্যতামূলক করার আগে আরও কিছুটা সময় দেওয়া হোক। এতে কী সুবিধা মিলবে, তা স্পষ্ট করে জানানো হোক। তা না হলে আখেরে দুর্ভোগে পড়তে হবে যাত্রীদেরই।