মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, শুধু বিয়েবাড়ি নয়, মৃত্তিকা ভবনের একটা অংশ সবরকম অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। ভাড়া মেটালেই পাওয়া যাবে মৃত্তিকা ভবন। এখানে কী কী করা যাবে না তা আবেদনপত্রে পরিষ্কার করে লিখে দেওয়া হয়েছে।
পর্যটন কেন্দ্র সঙ্গে মৃৎশিল্পীদের প্রসারের জন্য তৈরি হয়েছিল কৃষ্ণনগরের মৃত্তিকা। সংগ্রাহশালাও হওয়ার কথাও ছিল সেখানে। ঠিক ছিল, মৃৎশিল্পীরা সেখানে তৈরি স্টল থেকে মাটির মূর্তিও বিক্রি করবেন। সম্প্রতি সেই জায়গায় বিয়েবাড়ি ভাড়া দেওয়া নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিয়েবাড়ির জন্য স্থায়ী ছাদনাতলা করা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
পর্যটন দপ্তর ঘূর্ণির মৃত্তিকা ভবন তৈরির জন্য টাকা খরচ করলেও বর্তমানে সমস্ত দায়ভার রয়েছে নদীয়া জেলা পরিষদের হাতে। গত রবিবার সেখানে একটি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান হয়। বিষয়টি নিয়ে ঘূর্ণির শিল্পীরাও অসন্তুষ্ট। যদিও জেলা পরিষদের কর্তাদের দাবি, আমাদের কাছে লিখিতভাবে কেউ আপত্তির কথা জানায়নি।
নদীয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু বলেন, কৃষ্ণনগরবাসী মৃত্তিকায় বিয়েবাড়ি করা নিয়ে কোনও আপত্তি করেছে বলেছে আমাদের জানা নেই। উল্টে সেখানে প্রথম অনুষ্ঠান হওয়ার পর অনেকেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আমরা সেখানে একটি স্থায়ী ছাদনাতলা করছি। এর থেকে যেটুকু আয় হবে ‘মৃত্তিকা’র কাজেই লাগানো হবে। আগামী দিনে সেখানে বাগানটা আরও গুছিয়ে দেওয়া হবে। বোটিং চালু করারও ইচ্ছা রয়েছে।
কৃষ্ণনগরের কাছেই অবস্থিত ঘূর্ণির মৃৎশিল্প জগৎবিখ্যাত। রাজ্যের এবং দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে তো বটেই, বিদেশ থেকেও বহু পর্যটক এখানে আসেন। তাই পর্যটন শিল্পের উন্নতির কথা ভেবে এবং শিল্পী, বিক্রেতা ও পর্যটকদের জন্য এখানে সংগ্রহশালা ও বিপণন কেন্দ্রের কথা ভাবা হয়েছিল। সেইমতো ২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন। মিউজিয়াম, ক্যাফেটেরিয়া, গেস্ট হাউস ও অডিটোরিয়াম তৈরি হয়ে যায়। পর্যটন দপ্তর এই কাজ করে। কারু ও হস্তশিল্প সংগ্রহশালার উদ্বোধনও হয়ে যায়। ২০১৫ সালে তৎকালীন পর্যটনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু উদ্বোধন করেন। কিন্তু তা চালু করা হয়নি।
জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, প্রস্তাব পাশ করে ৩০ হাজার টাকা ভাড়ার বিনিময়ে অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হয়েছে। কৃষ্ণনগরে এরকম জায়গা আর নেই। জেলা পরিষদের এক কর্তা বলেন, অনেকেই জায়গাটি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া নেন। এতে অন্তত জায়গাটি রক্ষণাবেক্ষণের খরচ উঠে আসবে। পর্যটন দপ্তরের টাকার অপেক্ষায় বসে থাকলে সেটা করা যাবে না। জেলা পরিষদের সচিব সৌমেন দত্ত বলেন, যা করার নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। মৃত্তিকা ভবন আমরা দ্রুত চালু করে দেব। কিন্তু একটা অনুষ্ঠান করতে গেলে ন্যূনতম যেটুকু ব্যবস্থাপনা থাকা উচিত তা করা হবে বলে ঠিক হয়েছে। মৃত্তিকার পরিবেশ কোনওভাবেই নষ্ট হবে না, সেটা আমরা দেখছি। রাষ্ট্রপতি পুরষ্কারপ্রাপ্ত মৃৎশিল্পী সুবীর পাল হতাশার সঙ্গে বলেন, মিউজিয়াম তো আর হল না! আসল কাজই যখন হল না, তখন বিয়েবাড়িই হোক। আমার আর কিছু বলার নেই।