Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আর ক’জন ধর্ষিতা হলে রামরাজ্য পাব
সন্দীপন বিশ্বাস 

রাত অনেক হল। মেয়েটি এখনো বাড়ি ফেরেনি। কোথাও আটকে গিয়েছে। অনেক লড়াই করে, পুরুষের সঙ্গে পাশাপাশি ঘাম ঝরিয়ে তাকে বেঁচে থাকতে হয়। বাড়িতে বাবা-মা অস্থির হয়ে ওঠেন। এই রাতে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে পশুদের নখের আঘাত এড়িয়ে তাঁদের মেয়েটা কি কোনওক্রমে বাড়ি ফিরতে পারবে? কোনও কোনও মেয়ের কিন্তু বাড়ি ফেরা হয় না। দুর্ভাগ্যক্রমে তারা পড়ে যায় হায়নার ফাঁদে। সারা শরীর রক্তাক্ত হয়। হায়নার দাঁতের ফাঁকে আটকে যায় মেয়েটির শরীরের রক্ত-মাংস। এমন ধরনের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। রাত কিংবা দিন, এই দেশে যে মেয়েরা আর নিরাপদ নয়, তা প্রতিদিনের ঘটনাই প্রমাণ করে দিচ্ছে। ছাড় পাচ্ছে না অবোধ এক বছরের শিশুকন্যা থেকে ৮০ বছরের বৃদ্ধা পর্যন্ত। সেই হতভাগিনী নির্ভয়ার গল্প এখন আরও প্রসারিত। বেঙ্গালুরু, মুম্বই, কাঠুয়া, হায়দরাবাদ, উন্নাও, কামদুনি, মধ্যমগ্রাম। তারপর, তারপর...। অজস্র নারীর যন্ত্রণা আর কান্না মিশে যাচ্ছে আমাদের সভ্যতার উজ্জ্বল আলোয়। আমরা বুঝতেও পারছি না, আলোর নীচেই গাঢ় হচ্ছে ঘন অন্ধকার। ক্রমেই অবণ্যের আতঙ্ক আমাদের গ্রাস করছে। হাড়হিম করা অনুভূতি তৈরি হচ্ছে। প্রত্যেক বাবা তাঁর কন্যাসন্তানের দিকে তাকিয়ে আতঙ্কে ভাবছেন, এই সমাজে আমার মেয়েটা নিরাপদ তো?
ঘটনার পর অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হবে। তারপর চলবে তার বিচার। কবে সে বিচার শেষ হবে, কেউ জানে না। উল্টে বিচারের সময় মেয়েটিকে নানা ধরনের প্রশ্নে প্রকাশ্য কোর্টে আরও একবার অপমানিত হতে হবে। আমরা তার নমুনা দেখেছি তপন সিংহের সাহসী ছবি ‘আদালত ও একটি মেয়ে’তে। এখনও সেরকমই চলছে। এখনও কত প্রশ্ন ওঠে। মেয়েটির বয়স কত, ধর্ম কী, মেয়েটির স্বভাবচরিত্র ঠিক ছিল কিনা! বিচার চলবে, চলবে, চলবে। আর মেয়েটার উপর হুমকি আসতেই থাকবে। তাকে কখনো গাড়িতে ধাক্কা মেরে খুন করার চেষ্টা হবে। কখনো পুড়িয়ে মারারও চেষ্টা হবে। এসব দেখে বিচারপ্রক্রিয়ার উপর মানুষের বিশ্বাস ক্রমে ক্রমে টলে যাচ্ছে। এটা একটা বিপজ্জনক দিক। হায়দরাবাদের ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনকে পুলিশ যখন এনকাউন্টারে মেরে ফেলল, তখন সারা দেশ উল্লাসে বলে উঠেছিল, ঠিক হয়েছে। এতেই বোঝা যায় সাধারণ মানুষের ভিতরে কতটা আগুন ধিক ধিক করে জ্বলছিল। এভাবে নিশ্চয়ই অপরাধীদের শাস্তি হতে পারে না। কিন্তু মানুষের সমর্থন দেখে একটাই কথা মনে হয়েছে, বিচারের বাণী এভাবে নীরবে নিভৃতে কাঁদুক, এটাও মানুষের পছন্দ নয়। পছন্দ নয় দীর্ঘমেয়াদি বিচার প্রক্রিয়াও। তাই বিচারের বাইরে এই ধরনের শাস্তিতে প্রায় সকলের উল্লসিত মানসিকতাই প্রকাশ পেয়েছে। সভ্য মন বলছে, এটা নিশ্চয়ই কাম্য নয়। কিন্তু ভিতরের রোষ বলছে, চাই এনকাউন্টার। এটাই তো গণরোষ। আইন যখন দুর্বল হয়, গণরোষ তখন প্রবল শক্তি ধারণ করে। একটা কথা বলতেই হয় যে, হায়দরাবাদ পুলিশের এই এনকাউন্টার নিশ্চয়ই অপরাধপ্রবণতা কমাবে। বিচারব্যবস্থা যে ভয় অপরাধীদের দেখাতে পারেনি, এই এনকাউন্টার কিছুটা হলেও সেই ভয় তৈরি করতে সক্ষম হবে। এখানেই এই এনকাউন্টরের সার্থকতা বলে সকলের মনে হয়েছে। অর্থাৎ আইন তাদের এত তাড়াতাড়ি শাস্তি দিতে পারত না। সারা দেশে উল্লাসের মধ্য দিয়ে কার্যত সেই মনস্তত্ত্বই প্রকাশ পেয়েছে।
কিন্তু এই এনকাউন্টার শেষ কথা হতে পারে না। এই ক্ষমতা পুলিসের হাতে চলে গেলে সমস্ত ব্যবস্থা লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে। কত ফেক এনকাউন্টারে পুলিস কত যে নিরীহ মানুষকে মেরে ফেলেছে, তার হিসাব নেই। আমাদের রাজ্যে ১৯৭১ সালের ঘটনা আমরা ভুলে যাইনি। সেদিন কত যে নিরীহ, মেধাবী ছেলেকে পুলিস নকশাল বলে তুলে নিয়ে গিয়ে গুলি করে মেরে দিয়েছিল, তার হিসাব নেই। আমাদের দেশে আইনরক্ষক পুলিসের ভূমিকা খুবই বিতর্কিত। বহু উর্দিতে লেগে আছে অনেক কলঙ্কের দাগ। লক আপে ধর্ষিত হওয়ার ঘটনাও আমাদের দেশে কম ঘটেনি। সুতরাং আজ পুলিস পুষ্পবৃষ্টিতে অভিনন্দিত হলেও, ক্ষমতা তাকে বিপথে নিয়ে যাবেই। এই রক্ষকই যে ভক্ষক হয়ে ওঠে এটা আমরা কমবেশি সকলেই জানি। তাই সব ক্ষেত্রে এনকাউন্টার শেষ কথা হতে পারে না।
কিন্তু গণরোষ ফিরে ফিরে আসবেই। কারও শক্তি নেই তাকে থামানোর। যুগে যুগে প্রমাণ হয়েছে মানুষের শক্তিই সবথেকে বড়। এই গণরোষ দেখেছিল নাগপুর। ২০০৪ সালে ধর্ষিতা মেয়েরা একত্রিত হয়ে কোর্টেই মেরে ফেলেছিলেন আক্কু যাদবকে। দিনের পর দিন কস্তুরবা বস্তির মেয়েরা আক্কুর শিকার হয়ে উঠছিলেন। প্রভাবশালী হওয়ায় আইন তাকে ছুঁতেও পারছিল না। এর মধ্যেই সমাজকর্মী ঊষা নারায়ণের নেতৃত্বে বস্তির মেয়েরা ফুঁসে ওঠেন। সেদিন কোর্টে হাজির করা হয় আক্কুকে। কোর্ট চত্বরে উপস্থিত মেয়েদের দেখে সে বলে ওঠে। ‘আজই জামিন পাব, বেরিয়ে এসে তোদের দেখে নেব।’ সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ২০০ মেয়ে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। কারও হাতে চাকু, কারও হাতে লাঠি, কারও হাতে লঙ্কাগুঁড়ো। বিধাতার শাস্তি গণরোষ হয়ে নেমে আসে। সেখানেই খতম হয় আক্কু যাদব। পরিস্থিতি আবার সেইদিকেই এগচ্ছে।
একটা কথা আমার গত কয়েকদিন ধরেই মনে হচ্ছে, যে দেশে সীতাদের ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারা হয়, সে দেশেই আবার ঘটা করে রামমন্দির নির্মাণ করা হয়। এতেই বোঝা যায় এই রামমন্দির নির্মাণ আসলে রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা ছাড়া আর কিছু নয়। অযোধ্যা থেকে প্রায় দুশো কিলোমিটার দূরে উন্নাওয়ে দুটি মেয়ে লাঞ্ছনার শিকার। তাদের একজনকে অভিযুক্তরা গাড়ি দিয়ে পিষে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল আর একজনকে অভিযুক্তরা পুড়িয়ে মেরে দিয়েছে। একটি ঘটনায় স্বয়ং বিজেপি বিধায়ক অভিযুক্ত। এ কোন বর্বরতার দিকে হাঁটছি আমরা! সেটাও কি আর এক রামরাজ্য? আর কতজন মেয়ে ধর্ষিতা হলে আমরা সেই রামরাজ্য পাব?
যোগীর রাজ্যে দেখেছি গোরক্ষকরা খুব তৎপর। কেউ গোমাংস নিয়ে গেলেই বেদম গণপিটুনি দিয়ে তাদের ‘অপরাধের’ শাস্তি দেওয়া হয়। অনেক সময় তাদের প্রাণবায়ুও বেরিয়ে যায়। তাই উত্তরপ্রদেশের এমন অন্ধকার সময়ে আমরা শরণাপন্ন হতে পারি, সেই সব গোরক্ষকদের। বলতে পারি, হে গোরক্ষকগণ, তোমাদের রাজ্যের মেয়েরা কী দোষ করল? এমন প্রয়োজনীয় সময়ে গোমাংস ধরার চেয়ে ধর্ষণকারীদের ধরা অনেক মহৎ ও পুণ্যের কাজ। তোমরাই বিচার করে দেখ, একটা গোরুর থেকে মানুষের প্রাণের দাম কিংবা একজন নারীর শ্লীলতার দাম কম না বেশি?
হায়দরাবাদের ঘটনা আমাদের দেশের মানুষের ভিতরে একটা আগুন জ্বেলে দিয়েছিল। এই ক্রোধটা স্বাভাবিক। কিন্তু দিকে দিকে ধর্ষণের উল্লম্ফন দেখে যে সুশীল সমাজ, ছাত্রসমাজ কিংবা সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন, তাঁদেরই কারও কারও লালসার কলুষিত স্পর্শে বিব্রত হন বাসের মহিলা যাত্রী, হাটে বাজারে বা মলে কোনও মেয়ে। কিংবা কোনও স্কুলের শিক্ষকের বা পুলকারের চালকের ‘ব্যাড টাচ’ লেগে যায় বালিকার অঙ্গে। ফেসবুকে কেউ আপলোড করে দেয় বান্ধবীর অশ্লীল ছবি! তাদের শাস্তি দেবে কে? মানসিকতা না বদলালে মেয়েরা নিত্যদিন সমাজে অপমানিত, লাঞ্ছিত হতেই থাকবে। একটা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মেয়েরা বেশি লাঞ্ছিত হয় তাদের পরিচিত জনের কাছ থেকেই। কে দেবে তাদের শাস্তি? কিংবা শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত রাজনৈতিক নেতা, প্রভাবশালী ধর্মীয় গুরু, পুলিস কর্তা, শিল্পপতি, আইনজীবী এই ধরনের মানুষদের এনকাউন্টারে ওড়াবেন কোন পুলিসকর্তা?
এর মধ্যে আবার দেখি ফোঁস করে ওঠেন মানবাধিকারবাদীরা। এইসব নৃশংস পশুদের ফাঁসি দেওয়ার কথা বললে তাঁরা মানবাধিকারের কথা বলেন। কার জন্য মানবাধিকার! ওই পশুদের জন্য? মানুষের দেহ ধারণ করলেই কী মনুষ্য পদবাচ্য হয়? মানবাধিকার অবশ্যই মানুষের জন্য থাকুক। মানুষের দেহধারী পশুদের জন্য সেই মানবাধিকার প্রয়োগ করে যদি তাদের সোহাগ করা হয়, তবে সেই রাতের অন্ধকারে যন্ত্রণায় কুঁকড়ে যাওয়া মেয়েটা, দাউ দাউ আগুনে জ্বলতে থাকা মেয়েটা কি আমাদের গোটা সমাজটার মুখেই ঘৃণায় থুথু ছিটিয়ে দেবে না? বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, যেমন কুকুর তেমন মুগুর। অপরাধীকে যথোপযুক্ত শাস্তি দিতেই হবে। এবং সেটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।
১৯৯৮ সালে পরমাণু বিজ্ঞানী এ পি জে আব্দুল কালাম একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। তখনও তিনি রাষ্ট্রপতি হননি। সেই বক্তৃতার শেষে একটি নয়-দশ বছরের মেয়ে তাঁর কাছে অটোগ্রাফ নিতে এলে তিনি মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘তুমি কী স্বপ্ন দেখো?’ মেয়েটি হাসিমুখে বলেছিল, ‘আমি উন্নত ভারতবর্ষের স্বপ্ন দেখি।’ উত্তরটা শুনে চমৎকৃত হয়েছিলেন কালাম সাহেব। সেই মেয়েটির স্বপ্ন আর এক রকমের স্বপ্ন এঁকে দিয়েছিল কালাম সাহেবের চোখে। তিনিও স্বপ্ন দেখলেন, টোয়েন্টি টোয়েন্টি। অর্থাৎ তখন তিনি স্বপ্ন দেখলেন আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ভারত কীভাবে উন্নত দেশ হয়ে উঠতে পারে। লিখেছিলেন, ‘ইন্ডিয়া ২০২০: আ ভিশন ফর দ্য নিউ মিলেনিয়াম’। আর কয়েকদিন পরেই আমরা পৌঁছে যাব ২০২০ সালে। আজ কালাম বেঁচে থাকলে দেখতেন কীভাবে তাঁর স্বপ্ন ভূলুণ্ঠিত। শিক্ষায়, স্বাস্থ্যে, অর্থনীতিতে, ক্ষুধায়, নারীদের লাঞ্ছনায় দেশ আজ পিছন দিকে হাঁটছে। আর রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে চলছে ক্ষমতার পিঠে ভাগাভাগি। শত ধিক বললেও হবে না কোনও কাজ। কেননা ক্ষমতাই একমাত্র সত্য তাহার উপরে নাই। সত্য সেলুকাস, কী বিচিত্র এই দেশ!
অর্থনীতিবিদদের ছাড়াই অর্থনীতি
পি চিদম্বরম

প্রত্যেকেই অর্থনীতিবিদ। যে গৃহবধূ পরিবার সামলানোর বাজেট তৈরি করেন, তাঁকে থেকে শুরু করে একজন ডেয়ারি মালিক যিনি দুধ বিক্রির জন্য গোদোহন করেন এবং একজন ছোট উদ্যোগী যিনি বড় নির্মাণ ব্যবসায়ীর জন্য যন্ত্রাংশ তৈরি করেন, সকলেই এই গোত্রে পড়েন।  বিশদ

বাজার আগুন, বেকারত্ব লাগামছাড়া,
শিল্পে মন্দা, সরকার মেতে হিন্দুরাষ্ট্রে
হিমাংশু সিংহ

 দেশভাগ, শরণার্থীর ঢল, বার বার ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে উদ্বাস্তু হওয়ার তীব্র যন্ত্রণা আর অভিশাপের মাশুল এই বাংলা বড় কম দেয়নি। ইতিহাস সাক্ষী, সাবেক পূর্ববঙ্গের শত শত নিরাশ্রয় মানুষকে নিজের বুকে টেনে নিতে গিয়ে প্রতি মুহূর্তে তৈরি হয়েছে নতুন নতুন সঙ্কট। বদলে গিয়েছে গোটা রাজ্যের জনভিত্তি।
বিশদ

08th  December, 2019
বাঙালি হিন্দু উদ্বাস্তুর প্রাপ্য অধিকার
জিষ্ণু বসু

 কয়েকদিন আগেই রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের কথা বলেছেন। চলতি অধিবেশনেই হয়তো পাশ হবে ঐতিহাসিক নাগরিকত্ব সংশোধনী। এটি আইনে রূপান্তরিত হলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে আসা হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ, খ্রিস্টান ও পারসিক সম্প্রদায়ের মানুষেরা এদেশের পূর্ণ নাগরিকত্ব পাবেন।
বিশদ

08th  December, 2019
কর্পোরেটদের যথেষ্ট সুবিধা দিলেও অর্থনীতির বিপর্যয় রোধে চাহিদাবৃদ্ধির সম্ভাবনা ক্ষীণ
দেবনারায়ণ সরকার

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘ক্ষণিকা’ কাব্যগ্রন্থে ‘বোঝাপড়া’ কবিতায় লিখেছিলেন, ‘ভালো মন্দ যাহাই আসুক সত্যেরে লও সহজে।’ কিন্তু কেন্দ্রের অন্যান্য মন্ত্রীরা থেকে শুরু করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ভারতীয় অর্থনীতির চরম বেহাল অবস্থার বাস্তবতা সর্বদা চাপা দিতে ব্যস্ত। 
বিশদ

07th  December, 2019
অণুচক্রিকা বিভ্রাট
শুভময় মৈত্র

সরকারি হাসপাতালে ভিড় বেশি, বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় সুবিধে হয়তো কম। তবে নিম্নবিত্ত মানুষের তা ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই। অন্যদিকে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে রাজ্যে এখনও অত্যন্ত মেধাবী চিকিৎসকেরা সরকারি হাসপাতালে কাজ করেন। 
বিশদ

06th  December, 2019
সার্ভিল্যান্স যুগের প্রথম পরীক্ষাগার উইঘুর সমাজ
মৃণালকান্তি দাস

চীনের সংবাদ মানেই তো যেন সাফল্যের খবর। সমুদ্রের উপর ৩৪ মাইল লম্বা ব্রিজ, অতিকায় যাত্রী পরিবহণ বিমান তৈরি, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নয়া উদ্ভাবন, চাঁদের অপর পিঠে অবতরণ...। মিহিরগুল তুরসুনের ‘গল্প’ সেই তালিকায় খুঁজেও পাবেন না। ১৪১ কোটি জনসংখ্যার চীনে মিহিরগুল মাত্র সোয়া কোটি উইঘুরের প্রতিনিধি। 
বিশদ

06th  December, 2019
আর ঘৃণা নিতে পারছে না বাঙালি
হারাধন চৌধুরী

 এটাই বোধহয় আমার শোনা প্রথম কোনও ছড়া। আজও ভুলতে পারিনি। শ্রবণ। দর্শন। স্পর্শ। প্রথম অনেক জিনিসই ভোলা যায় না। জীবনের উপান্তে পৌঁছেও সেসব অনুভবে জেগে থাকে অনেকের। কোনোটা বয়ে বেড়ায় সুখানুভূতি, কোনোটা বেদনা। এই ছড়াটি আমার জীবনে তেমনই একটি। যখন প্রথম শুনেছি তখন নিতান্তই শিশু। বিশদ

05th  December, 2019
আগামী ভোটেও বিজেপির গলার কাঁটা এনআরসি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির বিপর্যয় বিশ্লেষণ করতে গিয়ে যখন ওই প্রার্থীদের পরাজয়ের ব্যাপারে সকলেই একবাক্যে এনআরসি ইস্যুকেই মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তখনও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এনআরসিতে অটল। তিন বিধানসভা কেন্দ্রের বিপর্যয়ের পর আবারও অমিত শাহ এনআরসি কার্যকর করবার হুংকার ছেড়েছেন।  
বিশদ

03rd  December, 2019
সিঁদুরে মেঘ ঝাড়খণ্ডেও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভারতের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একটা কথা বেশ প্রচলিত... এদেশের ভোটাররা সাধারণত পছন্দের প্রার্থীকে নয়, অপছন্দের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে থাকেন। ২০১৪ সালে যখন নরেন্দ্র মোদিকে নির্বাচনী মুখ করে বিজেপি আসরে নামল, সেটা একটা বড়সড় চমক ছিল। 
বিশদ

03rd  December, 2019
আচ্ছে দিন আনবে তুমি এমন শক্তিমান!
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সঙ্গে কলেজে পড়ত ঘন্টেশ্বর বর্ধন। ওর ঠাকুর্দারা ছিলেন জমিদার। আমরা শুনেছিলাম ওদের মাঠভরা শস্য, প্রচুর জমিজমা, পুকুরভরা মাছ, গোয়ালভরা গোরু, ধানভরা গোলা সবই ছিল। দেউড়িতে ঘণ্টা বাজত। ছিল দ্বাররক্ষী। কিন্তু এখন সে সবের নামগন্ধ নেই। ভাঙাচোরা বাড়ি আর একটা তালপুকুর ওদের জমিদারির সাক্ষ্য বহন করত। 
বিশদ

02nd  December, 2019
বিজেপির অহঙ্কারের পতন
হিমাংশু সিংহ

সবকিছুর একটা সীমা আছে। সেই সীমা অতিক্রম করলে অহঙ্কার আর দম্ভের পতন অনিবার্য। সভ্যতার ইতিহাস বারবার এই শিক্ষাই দিয়ে এসেছে। আজও দিচ্ছে। তবু ক্ষমতার চূড়ায় বসে অধিকাংশ শাসক ও তার সাঙ্গপাঙ্গ এই আপ্তবাক্যটা প্রায়শই ভুলে যায়।  বিশদ

01st  December, 2019
উপনির্বাচনের ফল ও বঙ্গ রাজনীতির অভিমুখ
তন্ময় মল্লিক

জনতা জনার্দন। ফের প্রমাণ হয়ে গেল। মাত্র মাস ছয়েক আগে লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসন দখল করে গেরুয়া শিবির মনে করেছিল, গোটা রাজ্যটাকেই তারা দখল করে নিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদায় শুধু সময়ের অপেক্ষা। সেই বঙ্গেই তিন বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে একেবারে উল্টো হওয়া বইয়ে দিল মানুষ।
বিশদ

30th  November, 2019
একনজরে
বিএনএ, সিউড়ি ও সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন: লাভপুরে একই পরিবারের তিন ভাইয়ের হত্যা মামলায় নতুন করে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিল পুলিস। নতুন করে চার্জশিটে নাম জুড়ল বিজেপি নেতা মনিরুল ইসলামের।  ...

সিওল, ৮ ডিসেম্বর (এএফপি): পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রশ্নে আমেরিকার উপর চাপ বাড়াল উত্তর কোরিয়া। ফের শক্তিশালী অস্ত্রের পরীক্ষা করল কিম জং উনের দেশ। শনিবার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ’ এই পরীক্ষাটি চালায় পিয়ংইয়ং।  ...

সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ : যে আমবাগান থেকে দিন তিনেক আগে উদ্ধার করা হয়েছে দগ্ধ মহিলার দেহ, তার এক প্রান্তে রয়েছে আড়াপুর জোত টিপাজানি আহ্লাদমণি ঘোষ ...

বিএনএ, চুঁচুড়া: খো খো প্রতিযোগিতায় দেশকে জিতিয়ে ঘরে ফিরলেন চুঁচুড়ার সোনার মেয়ে ঈশিতা। ঈশিতা বিশ্বাস সাউথ এশিয়ান গেমসের সোনাজয়ী ভারতীয় খো খো দলের সদস্য ছিলেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৮৩: অন্ধকবি সুরদাসের জন্ম
১৮৯৮: বেলুড় মঠ প্রতিষ্ঠিত হল
১৬০৮: ইংরেজ কবি জন মিলটনের জন্ম
১৯৪৬: কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর জন্ম
১৯৪৬: অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহার জন্ম
২০১১: আমরি হাসপাতালে আগুন 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৯ টাকা ৭২.১৯ টাকা
পাউন্ড ৯২.২০ টাকা ৯৫.৫৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৭৫ টাকা ৮০.৭৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
07th  December, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮, ৩৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬, ৪২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬, ৯৬৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৩, ৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৩, ৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
08th  December, 2019

দিন পঞ্জিকা

২২ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯, সোমবার, দ্বাদশী ৯/২৩ দিবা ৯/৫৪। ভরণী ৫৭/৯ শেষ রাত্রি ৫/০। সূ উ ৬/৮/৫৩, অ ৪/৪৮/২৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৮ গতে ১১/৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ১১/২ মধ্যে পুনঃ ২/৩৫ গতে ৩/৩০ মধ্যে, বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৮ মধ্যে পুনঃ ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৯/৪৮ গতে ১১/২৮ মধ্যে। 
২২ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯, সোমবার, দ্বাদশী ৭/১০/১১ দিবা ৯/২/২২। ভরণী ৫৭/৩১/১০ শেষরাত্রি ৫/১০/২৬, সূ উ ৬/১০/১৮, অ ৪/৪৯/১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ৯/৪ গতে ১১/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩১ গতে ১১/৫ মধ্যে ও ২/৪০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে, কালবেলা ৭/৩০/৮ গতে ৮/৪৯/৫৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৯/৪৯/৩০ গতে ১১/২৯/৪০ মধ্যে।
১১ রবিয়স সানি 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। বৃষ: কারও সঙ্গে পুরানো সম্পর্ক থাকলে তা ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৪৮৩: অন্ধকবি সুরদাসের জন্ম১৮৯৮: বেলুড় মঠ প্রতিষ্ঠিত হল১৬০৮: ইংরেজ কবি ...বিশদ

07:03:20 PM

এটিএম জালিয়াতির ঘটনায় দিল্লিতে গ্রেপ্তার রোমান নাগরিক 

06:22:00 PM

ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে জেএনইউ পড়ুয়াদের মিছিলে লাঠিচার্জ করল পুলিস 

04:29:13 PM

ডোপিংয়ের অভিযোগে ওলিম্পিক থেকে চার বছরের জন্য নির্বাসিত রাশিয়া 

04:12:10 PM

কর্ণাটক বিধানসভা উপনির্বাচনে কংগ্রেসের হার, পরিষদীয় দলনেতার পদ থেকে পদত্যাগ সিদ্দারামাইয়ার

03:56:19 PM