মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
প্রতিবছর সহায়কমূল্যে ধান বিক্রয় কেন্দ্রের ফড়েদের দৌরাত্ম্য লক্ষ করা যায়। অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েত সহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের সহযোগিতায় কৃষকদের কাছ থেকে কমদামে ধান কিনে তা সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে বিক্রি করে ফড়েরা। ফলে প্রকৃত কৃষকরা কমদামে ধান বিক্রি করেন। এবার অভাবী বিক্রি ও ফড়েদের দাপট রুখতে সরকারের পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক করে খাদ্যদপ্তর। প্রশাসন সূত্রের খবর, বৈঠকে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহের জেলাশাসকরা উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্প চালু করেছেন। কৃষিদপ্তর নিয়ন্ত্রিত ওই প্রকল্পের অধীনে প্রায় ৪৮ লক্ষ কৃষকের নাম নথিভুক্ত হয়েছে। কৃষিদপ্তরের অনুমতি নিয়ে সেই তালিকা সামনে রেখে ধান কিনছি। তাই এবার ধান বিক্রির সময় ক্রয় কেন্দ্রে শুধু ভোটার কার্ড বা কার্ডের নম্বর আনতে হবে কৃষকদের। ফড়েদের রুখতে এবং ধান ক্রয়ে স্বচ্ছতা বাড়াতে এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে। ধান বিক্রির জন্য জমির পর্চা সহ কোনও নথি দেখাতে হবে না।
ভাগচাষি ও বর্গাদারদের চিহ্নিত করণের পদ্ধতিও সরলীকরণ হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ধান বিক্রির জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করবেন তাঁরা। আবেদনের সঙ্গে জমির যাবতীয় তথ্য সংবলিত একটি ঘোষণাপত্র দেবেন। তাতে মৌজার নাম, জমির জেএল নম্বর, দাগ নম্বর, খতিয়ান নম্বর উল্লেখ থাকবে। ওসব সরেজমিনে খতিয়ে দেখার পর তাঁদের চিহ্নিত করবেন বিডিওরা। তারপর সহায়কমূল্যে ধান বিক্রির ক্ষেত্রে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা হবে। এরজন্য জমির মালিকের বা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছ থেকে কোনও তথ্য নিতে হবে না।
গতবছরের চাইতে এবার সহায়কমূল্যও বাড়ানো হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, গতবছর সহায়কমূল্য ছিল ১৭৫০ টাকা প্রতি কুইন্টাল। এবার হয়েছে ১৮১৫ টাকা। কেন্দ্রীয় ক্রয় কেন্দ্র বা সিপিসিতে ধান নিয়ে গেলে উৎসাহ ভাতা কুইন্টাল প্রতি ২০ টাকা পাবেন চাষিরা। গতবছরের মতো এবারও ব্লকে ব্লকে করা হবে সিপিসি। যেসব ব্লকে ধানের উৎপাদন বেশি হয়েছে, সেখানে অতিরিক্ত একটি করে সিপিসি খোলা হবে। এছাড়া প্রয়োজন ভিত্তিতে বুথস্তরে নেমে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হবে। কৃষকদের দাবির ভিত্তিতে জেলাশাসকরা এই ক্যাম্প খোলার ব্যাপারে উদ্যোগী হবেন। ধান দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কৃষকরা চেক পাবেন। অনেক সময় কৃষকরা সঠিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিতে পারেন না। এনইএফটি করার ক্ষেত্রেও কিছু সমস্যা হয়। সেই সব ঝামেলা এড়াতেই এবার চেক দেওয়া হবে।
এবার ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রাও বেড়েছে। গতবছর খাদ্যদপ্তর ৪০ লক্ষ এবং এফসিআই ছ’লক্ষ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করেছিল। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এবার ধান সংগ্রহের টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৫২ লক্ষ মেট্রিকটন। যারমধ্যে খাদ্যদপ্তর ৪৬ লক্ষ এবং এফসিআই ছ’লক্ষ মেট্রিকটন সংগ্রহ করবে। ধান সংগ্রহের কাজে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ানো হবে। গতবার উত্তরবঙ্গে ৯০০টি গোষ্ঠী কাজ করেছে। এবার করা হবে ২২০০। কুইন্টাল পিছু ৩১ টাকা ২৫ পয়সা করে পাবে গোষ্ঠীগুলি।