মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
ভেটাগুড়ির বাসিন্দা বিজেপির কোচবিহার জেলার সহ সভাপতি ব্রজগোবিন্দ বর্মন বলেন, শুক্রবার এলাকায় দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে মিছিল করে পথসভা থেকে তৃণমূল বিধায়ক বিজেপিকে হুমকি দেন। ওই হুমকির পরেই তাঁর দলের দুষ্কৃতীরা উৎসাহিত হয়ে আমাদের কর্মীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাট করেছে। ওই বাড়িতে থাকা এক মহিলাকে বেধড়ক মেরেছে ওরা।
এদিকে এদিন সকালে দিনহাটার বাসন্তীরহাটে শাসক দলের পার্টি অফিসের সামনে থেকে একটি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। সাত সকালে বাজার এলাকায় থাকা ওই পার্টি অফিসের সামনে বোমা দেখে আতঙ্কিত হন বাসিন্দারা। পরে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিস পৌঁছে বোমাটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। শনিবার রাতে ভেটাগুড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাইশগুড়ি গ্রামের বাসিন্দা দিলীপ বর্মনের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। দিলীপবাবুর স্ত্রী সীতা বর্মন বলেন, রাতে ১০-১২ জন আচমকা হামলা চালায়। ভাঙচুর করে ঘরে থাকা আসবাবপত্র। বাধা দেওয়ায় ওরা আমাকে প্রচণ্ড মারধর করে। ১৫ হাজার টাকা সহ আরও অনেক কিছু নিয়ে যায়।
যদিও বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। দলের ভেটাগুড়ি-২ অঞ্চল সভাপতি সুনীল রায় সরকার বলেন, ভিত্তিহীন অভিযোগ। ওই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কেউ যুক্ত নয়। বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধের ফলে এমন হয়েছে। বিজেপির লোকেরা নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল করে আমাদের নামে কুৎসা ছড়াচ্ছে।
উদয়ন গুহ বলেন, মিছিল করেছি ভেটাগুড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে। গণ্ডগোল হয়েছে ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। পরিকল্পিতভাবে আমার নামে কুৎসা রটনো হচ্ছে। কয়েকদিন আগে বাসন্তীরহাটে আমার সভা ভণ্ডুল করতে ওরা বোমাবাজি করে। বিজেপি সব জায়গায় গণ্ডগোল পাকিয়ে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপায়।
প্রসঙ্গত, বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে শুক্রবারই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন উদয়ন গুহ। তাঁর হুঁশিয়ারির পরেই শনিবার রাতে ভেটাগুড়ির বাইশগুড়িতে এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাট হয়। এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ আনে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, বিজেপির দুষ্কৃতীরা তাদের পার্টি অফিসের সামনে বোমাবাজি করে এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করতে চাইছে।
অন্যদিকে শনিবার রাতেই মাথাভাঙা-১ ব্লকের কেদারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশরীবাড়িতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে চার তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ির সামনেও বোমাবাজি হয়। যদিও বিজেপি তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, রাতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে হামলার ঘটনা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় কেদারহাট বাজারে তৃণমূলের পথসভাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। মাথাভাঙা থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এরপরে রাতে কেশরীবাড়িতে চার তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুমন রায় বলেন, শনিবার পথসভার পর কর্মীরা বাড়িতে যান। রাতে বিজেপির লোকজন আমাদের কর্মীদের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। আমরা পুলিসকে জানিয়েছি। বিজেপির ১০ নম্বর মণ্ডল সভাপতি লক্ষ্মী বর্মন বলেন, পথসভার নামে তৃণমূল আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। ওরা আমাদের হুমকিও দিয়েছিল। এখন আমাদের নাম জড়িয়ে নোংরা রাজনীতি করতে চাইছে।