মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
দলের অনেকেই বলেন, শিলিগুড়ি সহ দার্জিলিং জেলায় পদ্মশিবিরের পালে হাওয়া লেগেছিল অভিজিতের জমানাতেই। যুবক বয়েসেই তিনি দলের কাণ্ডারি হয়ে উঠেছিলেন। ২০১৪ সালে অভিজিৎ কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে আসেন। ২০১৮ সালে নিজের যোগ্যতায় দলের শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতির পদ কব্জা করেন। তাঁর নেতৃত্বেই এখানে বিজেপির গাঙে জোয়ার এসেছে। গত লোকসভা ভোটে এখানে উল্লেখযোগ্য ফল করে বিজেপি। এরপর মণ্ডল কমিটি গঠন সহ দলের বেশকিছু বিতর্ক কৌশলে সামাল দিয়েছেন তিনি। পুরসভা ও মহকুমা ভোটের দিকে তাকিয়ে তিনি ঘুঁটি সাজচ্ছিলেন। তাঁর অকাল মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে গেরুয়া শিবির।
দলের একাংশ বলেন, শিলিগুড়িতে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের জেলা সভাপতি, সম্পাদকদের বয়স ৪০ ঊর্ধ্বে। তুলনায় অভিজিৎ একেবারেই তরুণ। ৩৬ বছর বয়সি অভিজিৎ ছিলেন মিশুকে, সুবক্তা। দলের যুবক-যুবতী থেকে মাঝবয়সি, বয়স্ক সকলকেই সম্মান দিতেন। নিজের ব্যবসাবাণিজ্য ছেড়ে সর্বক্ষণ দলীয় কাজকর্মে ডুবে থাকতেন। আপদ-বিপদে সকলের পাশে দাঁড়াতেন। বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের সঙ্গেও ছিল তাঁর মধুর সম্পর্ক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের কিছু নেতা বলেন, দলীয় কিছু কর্মসূচি নিয়ে অভিজিতের সঙ্গে কয়েকজনের মতবিরোধ ছিল। ওই নেতাদের সঙ্গে তাঁর বিতর্কও হতো কিন্তু তাঁদের কোনওদিন অসম্মান করেননি অভিজিৎ। সর্বদা হাসিমুখে সকলের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। বিতর্কেরও অবসান ঘটাতেন। কয়েকদিন আগে শিলিগুড়িতে ৭ নম্বর মণ্ডলে সভাপতি নির্বাচন ঘিরে দলে গণ্ডগোল হয়। এলাকার কয়েকজন নেতা অভিজিতের বাড়িতে গিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অভিজিৎ ঠাণ্ডামাথায় ক্ষোভ প্রশমিত করেন। এভাবে অনেক সমস্যা মিটিয়েছেন। এহেন লোকের বিরুদ্ধেও দলের একাংশ সরব হয়েছিলেন। তাঁরা অভিজিৎকে পদ থেকে হটাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদেরও তিনি একজায়গায় আনেন।
দলের অনেকেরই বক্তব্য, এমন কর্মচঞ্চল ও দক্ষ সাংগঠনিক মুখ আর নেই। জোড়াভোটের আগে তাঁর শূন্যস্থান কীভাবে পূরণ হবে সেনিয়েই উদ্বেগ। কেউ বলছেন, পুরসভা-মহকুমা ভোটে অভিজিতের ভাবমূর্তিকে কাজে লাগাতে বা সহানুভূতি ভোট এককাট্টা করতে তাঁর ঘনিষ্ঠ কাউকে ওই পদে বসানো হতে পারে। আবার একাংশের বক্তব্য, শিলিগুড়িতে অবাঙালি লোকের বসবাস বাড়ছে। সেই ভোটব্যাঙ্ক মাথায় রেখে অবাঙালি কোনও নেতাকে ওই পদে আনা হতে পারে। বিজেপির রাজ্য নেতারা অবশ্য বলেন, দলে আলোচনা করেই সবকিছু করা হবে।