মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
যদিও তৃণমূলের ইটাহার ব্লক সভাপতি অমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের জমি দখল দল কখনই সমর্থন করে না। পূর্ব সাঁকোডাঙায় আমাদের দলীয় কোনও কার্যালয় তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়নি। কেউ ব্যক্তিগত স্বার্থে দলের পতাকা ব্যবহার করে এসব করতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইটাহারের বিডিও আবুল আলম মাবুদ আনসার বলেন, শীঘ্রই বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।
ইটাহারের দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উদয়পুর চিতোর গ্রামের বাসিন্দা রানি মুর্মু দুই বিঘা চাষের জমি স্থানীয় এক বাসিন্দার কাছে ১০ বছর আগে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে বন্ধক রেখেছিলেন। রানি মুর্মুর অভিযোগ, সেই টাকা দু’বছর আগে দিয়ে জমি ফেরত চাইলেও দেওয়া হয়নি। আদিবাসী ওই পরিবারকে জমির অধিকার থেকে বঞ্চিত করে মোটা টাকার বিনিময়ে ওই জমি অন্যদের কাছে বিক্রি করা হয়। গত ৮ জুলাই পরিবারটি নিজেদের জমি ফেরত পেতে উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেন।
বৃদ্ধা রানি মুর্মুর ছেলে লক্ষ্মীরাম হেমরম বলেন, আমাদের চাষের জমি মাত্র দুই বিঘা। জমি গত ১০ বছর আগে একজনকে বন্দক দেওয়া হয়েছিল। সেই জমি ফেরত নিতে গেলেও দেওয়া হয়নি। যিনি ওই জমি বন্ধক নিয়েছিলেন কিছুদিন আগে তিনি মারা গিয়েছেন। এরপর স্থানীয় কিছু মানুষ আমাদের ওই জমি দখল নিয়ে কেউ ঘরবাড়ি তৈরি করছে, কেউ চাষবাস করছে। ওরা বলছে জমি কিনেছে। কীভাবে ওই জমি বিক্রি হল আমরা কেউ বুঝে উঠতে পারছি না। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ লাহিড়ি বলেন, ইটাহারের গ্রামে আদিবাসী একটি পরিবারের জমি শাসক দলের স্থানীয় নেতারা দখল নিয়েছে। সেখানে পার্টি অফিস খুলে দলীয় পতাকা লাগানো হয়েছে। শাসক দলের দাদাগিরিতে একটি আদিবাসী পরিবার তাদের সামান্য চাষের জমি হারাতে বসেছে। ওই পরিবারটি জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। শাসক দলের মদত থাকায় প্রশাসন নীরব রয়েছে। আদিবাসী ওই পরিবারের পাশে থেকে লড়বে বিজেপি। ওই পরিবারের জমি দখল করতে আমরা প্রয়োজনে আদিবাসীদের সংগঠিত করে জমির দখল নিতে যাব। প্রশাসন শীঘ্রই আদিবাসী পরিবারকে ওই জমি ফেরত পাইয়ে না দিলে সেখানে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তারজন্য প্রশাসনই দায়ী থাকবে। রায়গঞ্জে ইতিপূর্বে আদিবাসী এক মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনার জেরে আদিবাসী আন্দোলন দেখেছেন শাসক দলের নেতারা। তাই শাসক দলের ক্ষমতা দেখিয়ে যারা ওই জমি বেআইনিভাবে দখলে রেখেছে তাদের সতর্ক হওয়া উচিত।
এদিন রায়গঞ্জে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎবাবু এদিন রানি মুর্মু ও তাঁর ছেলে লক্ষ্মীরাম হেমরমকে নিয়ে রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে চরম আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন। আদিবাসীদের জমি দখলকে কেন্দ্র করে বিজেপির ওই আন্দোলন প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের ইটাহার ব্লক সভাপতি অমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি নেতাদের এখন কাজ নেই, তাই ওরা অশান্তি পাকাতে চান।