Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিজেপির অহঙ্কারের পতন
হিমাংশু সিংহ

সবকিছুর একটা সীমা আছে। সেই সীমা অতিক্রম করলে অহঙ্কার আর দম্ভের পতন অনিবার্য। সভ্যতার ইতিহাস বারবার এই শিক্ষাই দিয়ে এসেছে। আজও দিচ্ছে। তবু ক্ষমতার চূড়ায় বসে অধিকাংশ শাসক ও তার সাঙ্গপাঙ্গ এই আপ্তবাক্যটা প্রায়শই ভুলে যায়। ঔদ্ধত্য থেকে চরম আত্মতুষ্টি। আর তার থেকেই ক্রমে দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারের পাঁকে জড়িয়ে পড়া। কথায় আছে ‘অ্যাবসলিউট পাওয়ার করাপ্টস অ্যাবসলিউটলি’। আর সেই থেকেই ধীরে ধীরে পতনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার শুরু। গত দু’সপ্তাহের মহারাষ্ট্র রাজনীতির উত্থান-পতন ও পশ্চিমবঙ্গের তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপির শূন্যপ্রাপ্তি আবারও সেই অমোঘ সত্যটাকেই পুনঃপ্রতিষ্ঠা করল।
বিগত লোকসভা নির্বাচনের পর পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ১৮টি আসন জিতেই বিজেপি নেতাকর্মীরা এমন একটা ভাব দেখাচ্ছিলেন যেন এরাজ্যে ক্ষমতা দখল নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। যা নিয়ে ভিন রাজ্যের কিছু অবাঙালি নেতার দাপাদাপি বড্ড দৃষ্টিকটুও লাগছিল। যাঁদের বাংলার শিক্ষা সংস্কৃতির সঙ্গেই তেমন যোগ নেই, তাঁরা প্রতি সপ্তাহে একবার বিমানবন্দরে নেমে শহরে ঢুকেই জননেত্রীকে আস্তিন গুটিয়ে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছেন। আবার অনুষ্ঠান ফুরোলেই লোটাকম্বল নিয়ে পগার পার। এঁদের হাতে রাজ্যের ভবিষ্যৎ? সেইসঙ্গে চলছিল টাকা আর নানা প্রলোভন ছড়িয়ে তৃণমূল ভাঙার হীন চক্রান্ত। কিছু কাউন্সিলারকে ম্যানেজ করে পুরসভা দখল। বিকেল হতেই দিল্লিতে ঘটা করে সাংবাদিক সম্মেলন। তারপরই কলকাতায় ফিরে আবার পুরনো দলে খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন! তবু আয়োজনের কোথাও কোনও অভাব ছিল না। কিন্তু, বৃহস্পতিবার রাজ্যের তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফল এক নিমেষে সব আস্ফালনকেই থামিয়ে দিয়েছে। এরও আগে বারাকপুর সাবডিভিশনের অধীন একের পর এক পুরসভা পুনরুদ্ধার চলছিল। নৈহাটি, হালিশহর, গারুলিয়া সর্বত্রই ভুল বুঝতে পেরে কাউন্সিলাররা দলে দলে ফিরছিলেন তৃণমূলে। আর সদ্য প্রকাশিত উপনির্বাচনের ফল রাজ্য রাজনীতির অভিমুখটাকেই যেন ১৮০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে দিল। ফলে সাড়ে তিনদশক টানা সিপিএমের হার্মাদদের চোখে চোখ রেখে লড়াই করা এক অবিসংবাদিত নেত্রীকে একুশের ভোটে ঘায়েল করার গৈরিক স্বপ্ন আপাতত দুঃস্বপ্ন হয়েই রয়ে গেল। বাংলার মানুষ লোকসভা ভোটের পর প্রথম পরীক্ষাতে তিন কেন্দ্রেই বিজেপিকে হারিয়ে মোক্ষম জবাব দিয়েছে। লোকসভা ভোটের পাশা উল্টে দিয়ে উপনির্বাচনে কালিয়াগঞ্জে বিরাট জয় পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী তপন দেব সিংহ। ২০১১ সালের ঐতিহাসিক পরিবর্তনের ভোটেও কালিয়াগঞ্জ জিততে পারেনি জোড়াফুল। আর বিগত লোকসভা ভোটের নিরিখে ওই কেন্দ্রে তৃণমূল ৫৭ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিল। আত্মসন্তুষ্টি আর অহঙ্কারে বিভোর বিজেপি স্বপ্নেও ভাবেনি এত দ্রুত ওই লিড টপকে তৃণমূল আসনটি ছিনিয়ে নিতে পারবে। তার উপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও তাঁর লোক-লস্কর সব নামিয়ে জয় নিশ্চিত করার পথে কোনও ত্রুটি রাখেনি গেরুয়া দল।
কিন্তু, বৃহস্পতিবার ভোটের গণনা কিছু দূর এগতেই সব হিসেবনিকেশ উল্টে গেল। দেখা গেল, সব হিসেবকে মিথ্যা প্রমাণ করে জোড়াফুলই ফুটেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরই আস্থা রেখেছে উত্তর দিনাজপুরের এই ছোট্ট জনপদের মানুষ। ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কমল সরকার হতাশ মুখে নিজেই জানালেন, এনআরসি ইস্যুতে এলাকার মানুষ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। অনেক চেষ্টা করেও বিজেপি স্থানীয় মানুষকে এনআরসির আসল উদ্দেশ্য নাকি বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে। আসলে গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়েই দিলীপ ঘোষ, অমিত শাহদের এনআরসি-হুঙ্কার প্রচণ্ড ভয়ভীতি ও আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। যে উত্তরবঙ্গের মানুষ গেরুয়া দলকে বিকল্প ভেবে গত লোকসভা নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছিল তাঁদের কয়েক মাসেই মোহভঙ্গ হয়ে গিয়েছে। এনআরসির নামে স্থানীয় মানুষকে নিজ ভূমে পরবাসী করে রাখার পরিকল্পনা যে দীর্ঘমেয়াদে সফল হতে পারে না কালিয়াগঞ্জের ফল তারই অকাট্য প্রমাণ। একদিকে মমতার উন্নয়ন আর অন্যদিকে এনআরসির ভয়াবহ আতঙ্ক। মানুষে মানুষে, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে বিভেদ সৃষ্টির রাজনীতি বাংলায় পরাজিত হতে বাধ্য, হচ্ছেও তাই।
ওই যে বললাম, ২০১১ ও ২০১৬ সালে যখন তৃণমূলের অত্যন্ত সুসময় তখনও কালিয়াগঞ্জে তূণমূল কিন্তু দাঁত ফোটাতে পারেনি। জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস। আজ দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে উত্তর দিনাজপুরের এই গুরুত্বপূর্ণ আসনটি তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে এল। সেইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের রাজনীতির সামনে হার মানল বিজেপির বিভেদকামী এনআরসি-রাজনীতি। প্রশ্ন উঠেছে, এনআরসি দিয়ে ঠিক কোন উদ্দেশ্যটা চরিতার্থ করতে চাইছে কেন্দ্রের শাসক দল? ধর্ম, সম্প্রদায় ও শরণার্থী বনাম অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিভাজন ঘটিয়ে ভোটের বাক্সে লাভ তোলার সঙ্কীর্ণ রাজনীতি দীর্ঘমেয়াদে কখনওই সফল হতে পারে না। কালিয়াগঞ্জের ফল আবার সেটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। লোকসভা নির্বাচনের বিশাল ভোটের ব্যবধান ঘুচিয়ে কালিয়াগঞ্জে ২৪১৪ ভোটে তৃণমূল প্রার্থীর জয়লাভ তাই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
কালিয়াগঞ্জ একদিকে যেমন এরাজ্যে বিজেপির গ্রহণযোগ্যতাকে তলানিতে ঠেলে দিয়েছে, তেমনি খড়্গপুরে তৃণমূলের জয় আরও বড় তাৎপর্যকে সামনে এনেছে। খড়্গপুরে বেশকিছুদিন ধরেই রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ জমিয়ে বসেছিলেন। এমনও শোনা যাচ্ছিল, আর চাচা নয়, খড়গপুর এখন দিলীপবাবুরই খাসতালুক। বিধানসভায় জিতেছিলেন, গত লোকসভা ভোটেও বিরাট জয় পেয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। উপরন্তু এই সময়ে খড়্গপুর শহরে অবাঙালিদের আধিপত্যও দ্রুত বেড়েছে। বৃহৎ রেল স্টেশন ও নানা কর্মকাণ্ডের দৌলতে সেখানে নানা ভাষা ও সম্প্রদায়ের মানুষ ভিড় জমিয়েছেন। সেই অবাঙালি প্রধান ‘কসমোপলিটন’ খড়্গপুরেও ৪৪ হাজার ভোটের ব্যবধান ঘুচিয়ে তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকারের জয়লাভ নিশ্চিতভাবে গেরুয়া শিবিরের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস, ঔদ্ধত্য আর অহঙ্কারেরই উচিত জবাব। রাজনীতিতে নম্র হওয়াই যে কোনও ক্ষমতাসীন দল ও তার নেতাদের আদর্শ হওয়া উচিত। তার অন্যথা হলে জনগণের আদালতে চরম ধাক্কা খেতেই হবে। আজ নয় কাল মানুষ সবক শেখাবেই। গণতন্ত্রের এটাই সার কথা। যুগে যুগে ভোটের জয় পরাজয়ের অঙ্ক এই কঠিন শিক্ষাই দিয়েছে। তবু দোর্দণ্ডপ্রতাপ শাসকের হুঁশ ফেরেনি।
রাজ্যের তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচনে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে সীমান্তবর্তী কেন্দ্র করিমপুরের ফল। করিমপুরের যে বুথে বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারের উপর হামলা হয়েছিল, তিনি নিগ্রহের শিকার হয়েছিলেন সেই বুথে বিজেপি মাত্র দুটি ভোট পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এককালে সীমান্তবর্তী নদীয়ায় বিজেপির ভোট বাড়ছে বলে একটা প্রচার ছিল। কিন্তু উপনির্বাচনে জয়প্রকাশবাবুকে দাঁড় করিয়েও আসনটি ছিনিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। ফলে তিনটি কেন্দ্রেই উপনির্বাচনে বিজেপি কার্যত ধরাশায়ী হয়েছে। সেইসঙ্গে এই উপনির্বাচনের ফল আগামী ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে তৃতীয় বার জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকারের প্রত্যাবর্তনকেও অনেকটাই নিশ্চিত করে দিয়েছে। যদি তৃণমূলের নীচের তলার নেতানেত্রীরা আগামী দেড় বছর সংযত থেকে মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মা-মাটি-মানুষের দৈনন্দিন জীবনযুদ্ধে নিজেদের মিশিয়ে দিতে পারেন তাহলে আর একবার রাজ্যে জোড়াফুল যে ফুটবেই তা বলতে আর দ্বিধা নেই। তৃতীয়বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য বাংলা শাসনের সিংহাসন তাই কার্যত প্রস্তুত।
লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত ক্যারিশমা ও হিন্দু জাতীয়তাবাদের প্রচার উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের একটা বৃহৎ অংশে কাজ করেছিল। হিন্দু জাতীয়তাবাদের নামে সবাইকে দেশের শত্রু বা পাকিস্তানি বলে দেগে দেওয়ার রাজনীতি বিধানসভা ভোটে আর কোনও ইস্যু হতে পারে না। সেখানে সরাসরি লড়াই মমতার সঙ্গে। তার উপর এ রাজ্যে বিজেপি এখনও ষোলো আনা বাংলা ও বাঙালিয়ানার দল বলে নিজেদের তুলে ধরতে পারেনি। উল্টে মাত্র ১৮টা আসন জিতেই ঔদ্ধত্য আর অহঙ্কারের চূড়ায় গিয়ে বসেছে। মানুষের সব সমস্যার সমাধান করতে না পারলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারংবার প্রমাণ করেছেন উন্নয়নের রাজনীতিতে তিনি কোনও রকম আপস করতে রাজি নন। পাশাপাশি ধারে ও ভারে এখনও এই বঙ্গে তাঁকে ছাড়িয়ে যেতে পারে এমন নেতা বা নেত্রী নেই। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ সর্বত্র মানুষ যেভাবে ডিটেনশন ক্যাম্পের অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন তাতে বিজেপির উপর মোহভঙ্গ হওয়া স্বাভাবিক। সুপ্রিম কোর্টই অসমে এনআরসি করতে নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু অমিত শাহরা বিশেষ উদ্দেশে তা সারা দেশে কার্যকর করতে মরিয়া। গত বৃহস্পতিবার যখন রাজ্যে দলের ভরাডুবির খবর আসছে তখনও একটি সাক্ষাৎকারে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গোটা দেশে তো বটেই, পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসি হবেই। বিজেপির এই হুঙ্কার ও গোটা দেশকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পরিণত করার চেষ্টার বিরুদ্ধে মানুষ ঐক্যবদ্ধ হতে চাইছে। অনুপ্রবেশকারী ও শরণার্থীর বিভেদ করে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করতে সেই কারণে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনার চেষ্টাও চলছে সংসদের চলতি শীতকালীন অধিবেশনেই। এই অনিশ্চয়তা থেকে রাজ্যের আপামর জনসাধারণকে মুক্তি দিতে পারেন, বাঁচাতে পারেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। বাংলার মানুষের গত তিন দশকের প্রতিদিনের লড়াইয়ে তিনি সামনের সারি থেকে নেতৃত্ব দিয়ে গিয়েছেন। এনআরসির বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়াতে গেলে সামনে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই যে দরকার তা রাজ্যের মানুষ বিলক্ষণ জানেন। তিনি ইতিমধ্যেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলার একজনেরও গায়ে এনআরসির নাম করে হাত দেওয়া যাবে না। আপাতত তাঁর এই বরাভয়কে রাজ্যের মানুষ বিশ্বাস করছে, তার উপর আস্থা রাখছে। মানুষের এই আস্থাই নেত্রীর শক্তি। যা ২০২১ সালে ব্যাপক জনসমর্থন হয়ে নবান্নের সামনে লাল গালিচা বিছিয়ে দেবে।
বিজেপির এই হঠকারী রাজনীতি শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয়, গোটা দেশের মানুষকেই ক্রমশ খেপিয়ে তুলছে। কী দরকার ছিল প্রয়োজনীয় সমর্থন নেই জেনেও রাতের অন্ধকারে যাবতীয় সাংবিধানিক রীতিনীতিকে বিসর্জন দিয়ে ওইভাবে মহারাষ্ট্রে ৭২ ঘণ্টার জন্য একটা সরকারকে খাড়া করা? সংবিধানের ৭০ বছরের ইতিহাসে এমন কলঙ্কজনক ঘটনা তো খুব বেশি ঘটেনি। কথায় কথায় নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহরা যে কংগ্রেস আমলের অগণতান্ত্রিক কাজকর্মের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মহারাষ্ট্রের ঘটনা তাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। এমনিতে দেশের মানুষ আর্থিক সঙ্কট, মন্দা, জিএসটি এবং ২০১৬ সালের নোটবন্দির ক্ষতই এখনও সারিয়ে উঠতে পারেননি। তার উপর বিজেপির এই নেতিবাচক রাজনীতি এবং কথায় কথায় দেশপ্রেমের ধ্বজা উড়িয়ে শত্রুকে দেশদ্রোহী বলে দেগে দেওয়ার বিরুদ্ধে একজোট হচ্ছে। এই কারণেই গতবছর থেকে একের পর এক বড় রাজ্য হাতছাড়া হয়েছে অমিত শাহদের। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় যেমন হাতছাড়া হয়েছে তেমনি অতি সম্প্রতি মহারাষ্ট্রও গেরুয়া রং হটিয়ে নয়া জোটের হাতে পড়েছে। সামনে ঝাড়খণ্ডের নির্বাচন তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি ঝাড়খণ্ডেও বিজেপির সরকার গড়ার স্বপ্ন ধাক্কা খায় তাহলে ‘কংগ্রেস-মুক্ত’ ভারত গড়া তো দূরের কথা মোদি-অমিত শাহকে বড় রাজনৈতিক সঙ্কটের মুখোমুখি হতে হবে। এমনও শোনা যাচ্ছে, গোয়ার একটি বড় দলও নাকি শিবসেনার সঙ্গে যোগাযোগ করছে। নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহকে লোকসভা ভোটের পর মনে হয়েছিল এককথায় অপ্রতিরোধ্য। কিন্তু গত কয়েক মাসের রাজনীতি প্রমাণ করছে, রাজনীতিতে শেষকথা বলে কিছু হয় না। জরুরি অবস্থার সময় ইন্দিরা গান্ধীও নিজেকে অপরাজেয় ভাবতে শুরু করেছিলেন। ’৭৭-এর নির্বাচনে দেশের মানুষ তার মোক্ষম জবাব দিয়েছিলেন। তাই সময় থাকতে মোদি-অমিত শাহেরও উচিত সাবধান হওয়া। সংবিধানের অবমাননা বন্ধ করা। 
01st  December, 2019
আর ক’জন ধর্ষিতা হলে রামরাজ্য পাব
সন্দীপন বিশ্বাস 

রাত অনেক হল। মেয়েটি এখনো বাড়ি ফেরেনি। কোথাও আটকে গিয়েছে। অনেক লড়াই করে, পুরুষের সঙ্গে পাশাপাশি ঘাম ঝরিয়ে তাকে বেঁচে থাকতে হয়। বাড়িতে বাবা-মা অস্থির হয়ে ওঠেন।  বিশদ

অর্থনীতিবিদদের ছাড়াই অর্থনীতি
পি চিদম্বরম

প্রত্যেকেই অর্থনীতিবিদ। যে গৃহবধূ পরিবার সামলানোর বাজেট তৈরি করেন, তাঁকে থেকে শুরু করে একজন ডেয়ারি মালিক যিনি দুধ বিক্রির জন্য গোদোহন করেন এবং একজন ছোট উদ্যোগী যিনি বড় নির্মাণ ব্যবসায়ীর জন্য যন্ত্রাংশ তৈরি করেন, সকলেই এই গোত্রে পড়েন।  বিশদ

বাজার আগুন, বেকারত্ব লাগামছাড়া,
শিল্পে মন্দা, সরকার মেতে হিন্দুরাষ্ট্রে
হিমাংশু সিংহ

 দেশভাগ, শরণার্থীর ঢল, বার বার ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে উদ্বাস্তু হওয়ার তীব্র যন্ত্রণা আর অভিশাপের মাশুল এই বাংলা বড় কম দেয়নি। ইতিহাস সাক্ষী, সাবেক পূর্ববঙ্গের শত শত নিরাশ্রয় মানুষকে নিজের বুকে টেনে নিতে গিয়ে প্রতি মুহূর্তে তৈরি হয়েছে নতুন নতুন সঙ্কট। বদলে গিয়েছে গোটা রাজ্যের জনভিত্তি।
বিশদ

08th  December, 2019
বাঙালি হিন্দু উদ্বাস্তুর প্রাপ্য অধিকার
জিষ্ণু বসু

 কয়েকদিন আগেই রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের কথা বলেছেন। চলতি অধিবেশনেই হয়তো পাশ হবে ঐতিহাসিক নাগরিকত্ব সংশোধনী। এটি আইনে রূপান্তরিত হলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে আসা হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ, খ্রিস্টান ও পারসিক সম্প্রদায়ের মানুষেরা এদেশের পূর্ণ নাগরিকত্ব পাবেন।
বিশদ

08th  December, 2019
কর্পোরেটদের যথেষ্ট সুবিধা দিলেও অর্থনীতির বিপর্যয় রোধে চাহিদাবৃদ্ধির সম্ভাবনা ক্ষীণ
দেবনারায়ণ সরকার

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘ক্ষণিকা’ কাব্যগ্রন্থে ‘বোঝাপড়া’ কবিতায় লিখেছিলেন, ‘ভালো মন্দ যাহাই আসুক সত্যেরে লও সহজে।’ কিন্তু কেন্দ্রের অন্যান্য মন্ত্রীরা থেকে শুরু করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ভারতীয় অর্থনীতির চরম বেহাল অবস্থার বাস্তবতা সর্বদা চাপা দিতে ব্যস্ত। 
বিশদ

07th  December, 2019
অণুচক্রিকা বিভ্রাট
শুভময় মৈত্র

সরকারি হাসপাতালে ভিড় বেশি, বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় সুবিধে হয়তো কম। তবে নিম্নবিত্ত মানুষের তা ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই। অন্যদিকে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে রাজ্যে এখনও অত্যন্ত মেধাবী চিকিৎসকেরা সরকারি হাসপাতালে কাজ করেন। 
বিশদ

06th  December, 2019
সার্ভিল্যান্স যুগের প্রথম পরীক্ষাগার উইঘুর সমাজ
মৃণালকান্তি দাস

চীনের সংবাদ মানেই তো যেন সাফল্যের খবর। সমুদ্রের উপর ৩৪ মাইল লম্বা ব্রিজ, অতিকায় যাত্রী পরিবহণ বিমান তৈরি, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নয়া উদ্ভাবন, চাঁদের অপর পিঠে অবতরণ...। মিহিরগুল তুরসুনের ‘গল্প’ সেই তালিকায় খুঁজেও পাবেন না। ১৪১ কোটি জনসংখ্যার চীনে মিহিরগুল মাত্র সোয়া কোটি উইঘুরের প্রতিনিধি। 
বিশদ

06th  December, 2019
আর ঘৃণা নিতে পারছে না বাঙালি
হারাধন চৌধুরী

 এটাই বোধহয় আমার শোনা প্রথম কোনও ছড়া। আজও ভুলতে পারিনি। শ্রবণ। দর্শন। স্পর্শ। প্রথম অনেক জিনিসই ভোলা যায় না। জীবনের উপান্তে পৌঁছেও সেসব অনুভবে জেগে থাকে অনেকের। কোনোটা বয়ে বেড়ায় সুখানুভূতি, কোনোটা বেদনা। এই ছড়াটি আমার জীবনে তেমনই একটি। যখন প্রথম শুনেছি তখন নিতান্তই শিশু। বিশদ

05th  December, 2019
আগামী ভোটেও বিজেপির গলার কাঁটা এনআরসি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির বিপর্যয় বিশ্লেষণ করতে গিয়ে যখন ওই প্রার্থীদের পরাজয়ের ব্যাপারে সকলেই একবাক্যে এনআরসি ইস্যুকেই মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তখনও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এনআরসিতে অটল। তিন বিধানসভা কেন্দ্রের বিপর্যয়ের পর আবারও অমিত শাহ এনআরসি কার্যকর করবার হুংকার ছেড়েছেন।  
বিশদ

03rd  December, 2019
সিঁদুরে মেঘ ঝাড়খণ্ডেও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভারতের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একটা কথা বেশ প্রচলিত... এদেশের ভোটাররা সাধারণত পছন্দের প্রার্থীকে নয়, অপছন্দের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে থাকেন। ২০১৪ সালে যখন নরেন্দ্র মোদিকে নির্বাচনী মুখ করে বিজেপি আসরে নামল, সেটা একটা বড়সড় চমক ছিল। 
বিশদ

03rd  December, 2019
আচ্ছে দিন আনবে তুমি এমন শক্তিমান!
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সঙ্গে কলেজে পড়ত ঘন্টেশ্বর বর্ধন। ওর ঠাকুর্দারা ছিলেন জমিদার। আমরা শুনেছিলাম ওদের মাঠভরা শস্য, প্রচুর জমিজমা, পুকুরভরা মাছ, গোয়ালভরা গোরু, ধানভরা গোলা সবই ছিল। দেউড়িতে ঘণ্টা বাজত। ছিল দ্বাররক্ষী। কিন্তু এখন সে সবের নামগন্ধ নেই। ভাঙাচোরা বাড়ি আর একটা তালপুকুর ওদের জমিদারির সাক্ষ্য বহন করত। 
বিশদ

02nd  December, 2019
উপনির্বাচনের ফল ও বঙ্গ রাজনীতির অভিমুখ
তন্ময় মল্লিক

জনতা জনার্দন। ফের প্রমাণ হয়ে গেল। মাত্র মাস ছয়েক আগে লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসন দখল করে গেরুয়া শিবির মনে করেছিল, গোটা রাজ্যটাকেই তারা দখল করে নিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদায় শুধু সময়ের অপেক্ষা। সেই বঙ্গেই তিন বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে একেবারে উল্টো হওয়া বইয়ে দিল মানুষ।
বিশদ

30th  November, 2019
একনজরে
সিওল, ৮ ডিসেম্বর (এএফপি): পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রশ্নে আমেরিকার উপর চাপ বাড়াল উত্তর কোরিয়া। ফের শক্তিশালী অস্ত্রের পরীক্ষা করল কিম জং উনের দেশ। শনিবার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ’ এই পরীক্ষাটি চালায় পিয়ংইয়ং।  ...

প্রসেনজিৎ কোলে, কলকাতা: এক সপ্তাহের মাথায় দেশজুড়ে টোলপ্লাজাগুলিতে কেবলমাত্র একটি করে লেনে ছাড় দিয়ে বাধ্যতামূলকভাবে চালু হতে যাচ্ছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল সংগ্রহের ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থা চালু করতে গেলে গাড়িতে থাকতেই হবে ফাস্ট্যাগ।  ...

সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ : যে আমবাগান থেকে দিন তিনেক আগে উদ্ধার করা হয়েছে দগ্ধ মহিলার দেহ, তার এক প্রান্তে রয়েছে আড়াপুর জোত টিপাজানি আহ্লাদমণি ঘোষ ...

বিএনএ, সিউড়ি ও সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন: লাভপুরে একই পরিবারের তিন ভাইয়ের হত্যা মামলায় নতুন করে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিল পুলিস। নতুন করে চার্জশিটে নাম জুড়ল বিজেপি নেতা মনিরুল ইসলামের।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৮৩: অন্ধকবি সুরদাসের জন্ম
১৮৯৮: বেলুড় মঠ প্রতিষ্ঠিত হল
১৬০৮: ইংরেজ কবি জন মিলটনের জন্ম
১৯৪৬: কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর জন্ম
১৯৪৬: অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহার জন্ম
২০১১: আমরি হাসপাতালে আগুন 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৯ টাকা ৭২.১৯ টাকা
পাউন্ড ৯২.২০ টাকা ৯৫.৫৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৭৫ টাকা ৮০.৭৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
07th  December, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮, ৩৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬, ৪২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬, ৯৬৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৩, ৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৩, ৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
08th  December, 2019

দিন পঞ্জিকা

২২ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯, সোমবার, দ্বাদশী ৯/২৩ দিবা ৯/৫৪। ভরণী ৫৭/৯ শেষ রাত্রি ৫/০। সূ উ ৬/৮/৫৩, অ ৪/৪৮/২৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৮ গতে ১১/৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ১১/২ মধ্যে পুনঃ ২/৩৫ গতে ৩/৩০ মধ্যে, বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৮ মধ্যে পুনঃ ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৯/৪৮ গতে ১১/২৮ মধ্যে। 
২২ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯, সোমবার, দ্বাদশী ৭/১০/১১ দিবা ৯/২/২২। ভরণী ৫৭/৩১/১০ শেষরাত্রি ৫/১০/২৬, সূ উ ৬/১০/১৮, অ ৪/৪৯/১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ৯/৪ গতে ১১/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩১ গতে ১১/৫ মধ্যে ও ২/৪০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে, কালবেলা ৭/৩০/৮ গতে ৮/৪৯/৫৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৯/৪৯/৩০ গতে ১১/২৯/৪০ মধ্যে।
১১ রবিয়স সানি 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। বৃষ: কারও সঙ্গে পুরানো সম্পর্ক থাকলে তা ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৪৮৩: অন্ধকবি সুরদাসের জন্ম১৮৯৮: বেলুড় মঠ প্রতিষ্ঠিত হল১৬০৮: ইংরেজ কবি ...বিশদ

07:03:20 PM

এটিএম জালিয়াতির ঘটনায় দিল্লিতে গ্রেপ্তার রোমান নাগরিক 

06:22:00 PM

ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে জেএনইউ পড়ুয়াদের মিছিলে লাঠিচার্জ করল পুলিস 

04:29:13 PM

ডোপিংয়ের অভিযোগে ওলিম্পিক থেকে চার বছরের জন্য নির্বাসিত রাশিয়া 

04:12:10 PM

কর্ণাটক বিধানসভা উপনির্বাচনে কংগ্রেসের হার, পরিষদীয় দলনেতার পদ থেকে পদত্যাগ সিদ্দারামাইয়ার

03:56:19 PM