Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আগামী ভোটেও বিজেপির গলার কাঁটা এনআরসি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির বিপর্যয় বিশ্লেষণ করতে গিয়ে যখন ওই প্রার্থীদের পরাজয়ের ব্যাপারে সকলেই একবাক্যে এনআরসি ইস্যুকেই মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তখনও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এনআরসিতে অটল। তিন বিধানসভা কেন্দ্রের বিপর্যয়ের পর আবারও অমিত শাহ এনআরসি কার্যকর করবার হুংকার ছেড়েছেন। চলছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক। বৈঠকের উদ্দেশ্য নাগরিকত্ব বিল এনে সারা দেশে এনআরসি চালু করার পটভূমি রচনা করা।
রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব—দিলীপ ঘোষ থেকে বিজয় বর্গীয় সকলেই এই বিপর্যয়ের কারণ বুঝলেও এনআরসি নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারছেন না। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বিরোধিতা করার মতন জায়গায় তাঁরা নেই। তাই দিলীপ ঘোষদের বলতে হচ্ছে, এনআরসি নিয়ে তাঁরা মানুষকে বোঝাতে পারেননি। উল্টো দিকে তাঁদের বক্তব্য, তৃণমূল এনআরসি নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও বিভ্রান্তি এমন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল, যার প্রভাবে মানুষ বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। রাজ্যে বিজেপি নেতৃবর্গ এনআরসি ইস্যুকে এইভাবে আড়াল করলেও বাস্তবে এনআরসির প্রভাবকে ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যাবে না’। কালিয়াগঞ্জে বিজেপির পরাজিত প্রার্থী কমলকুমার সরকার ভোটের ফল প্রকাশের পর প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, এনআরসির জন্যই তাঁকে পরাজয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে।
তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের বুথভিত্তিক ফলাফল বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট  ধরা পড়ে, কেন এই উপনির্বাচনে এনআরসি বিজেপির পরাজয়ের পিছনে মূল কারণ ছিল। অসমের অভিজ্ঞতা তো আছেই, বাংলার মানুষ এনআরসির হয়রানি কেবল প্রচারে শুনেছেন তা নয়, মিডিয়ার দৌলতে তা প্রতিনিয়ত প্রত্যক্ষ করতে পারছেন। এনআরসিতে নাম নথিভুক্তকরণের জন্য প্রতিনিয়ত অসমের মানুষকে একদিকে যেমন দুশ্চিন্তায় ও হয়রানিতে রেখেছে, তেমনি চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর ১২  লক্ষ হিন্দুর নাম বাদ পড়ায় হিন্দু ভোটারদের মনেও আতঙ্ক গ্রাস করেছে। অসম থেকে প্রতিনিয়ত খবর সামাজিক মাধ্যমের দৌলতে প্রত্যন্ত বাংলার গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে, তাঁরাও এনআরসি সম্পর্কে ধারণা তৈরি করতে পারছেন।
অসমে এনআরসি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই মোদি-অমিত শাহ-রা সারা দেশে এনআরসি চালু করার কথা ঘোষণা করেন। এনআরসি নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বের ঘোষণার পর বাংলার ঘরে ঘরে নাগরিকত্ব প্রমাণের নথি খোঁজার হিড়িক পড়ে যায়। আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন ওপার বাংলা থেকে আসা হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে কোটি কোটি মানুষ। বিগত দু-তিন মাস ধরে গ্রাম-শহরের সর্বত্র মানুষ নাগরিকত্বের সপক্ষে প্রমাণ খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য মানুষের দীর্ঘ লাইন দিয়ে অপেক্ষা করার ছবি সমস্ত ধরনের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। আতঙ্ক অনেকগুণ বেশি লক্ষ করা গেছে রাজ্যের মুসলমান বহু মানুষের মধ্যে। ওপার বাংলা থেকে আসা হিন্দুদের মধ্যেও এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক গ্রাস করেছে। ভোটার তালিকার সংশোধন প্রক্রিয়ার নতুন করে নাম তোলা, আধারের সঙ্গে ভোটার কার্ডের সংযোগ, ডিজিটাল রেশন কার্ড পাওয়ার বিষয়ে গ্রামের মানুষ মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আট ঘণ্টা, দশ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ানোর পর ভোটার-আধার কার্ডের সংযোগ, নথি যাচাইয়ের কাজ করতে গিয়ে মানুষের যে হয়রানি হয়েছে, সেই হয়রানিকে ন্যূনতম বোঝার চেষ্টা রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব কখনওই করেননি। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস তো মানুষের এই হয়রানি নিয়ে প্রশ্ন তুলবে, এটাই স্বাভাবিক।
মানুষ যখন হয়রানির শিকার হচ্ছেন, তখন রাজ্য বিজেপি নেতৃবর্গের মধ্যে দিলীপ ঘোষ হুংকার দিচ্ছেন—লাশের উপর দিয়ে আমরা এনআরসি করব। আবার রাজ্য স্তরের অনেক নেতাই বলছেন, মুসলমানদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ওপার বাংলায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। বিজেপি নেতৃত্বের এই অমানবিক হুংকার ও উদ্ধত আচরণ মানুষ যে পছন্দ করেনি তার ভোটের বুথভিত্তিক ফলাফল থেকে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে। এনআরসি নিয়ে বিজেপি নেতৃবর্গ যত হুংকার ছুড়েছেন ততই বিজেপিকে ঠেকাতে সংখ্যালঘু মুসলমান ভোটারদের অনেকে অন্য সমস্ত রাজনৈতিক দল ছেড়ে তৃণমূলকেই একমাত্র ভরসাস্থল বলে মনে করেছেন।
এই উপনির্বাচনের তিনটি কেন্দ্রেই বাম-কংগ্রেসের অবশিষ্ট সংখ্যালঘু কর্মী সমর্থকরাও পুরোপুরিভাবে তৃণমূলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। একদিকে সংখালঘু ভোটের পূর্ণ মেরুকরণ তৃণমূলের পক্ষে যেমন হয়েছে, অন্যদিকে ওপার বাংলা থেকে আসা উদ্বাস্তুরাও এবার বিজেপিকে ছেড়ে তৃণমূলকে সমর্থন জানিয়েছে। কালিয়াগঞ্জ এবং করিমপুরের ফলাফলে স্পষ্ট ধরা পড়েছে উদ্বাস্তু মানুষের রায় এবার বিজেপির পক্ষে ছিল না।
এনআরসি কিন্তু বিজেপির জন্য ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও গলার কাঁটা হয়ে রইল। এমন এক কাঁটা, যা বিজেপি না পারবে গিলতে আবার না পারবে উগরে দিতে। বিজেপি নেতৃত্ব যদি এখন গলায় গামছা দিয়ে করজোড়ে এনআরসি থেকে সরে আসার কথাও বলে, তৃণমূল কিন্তু তার পরেও বিজেপির এই ঘোষণার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকবে। আবার যতই নাগরিকত্ব বিল সামনে আনা হোক না কেন এনআরসিকে কেন্দ্র করে মুসলমান এবং উদ্বাস্তু হিন্দুদের মধ্যে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, তাতে আগামীদিনে মুসলমান ভোটারদের একাংশের সমর্থন পাওয়ার যেমন  বিজেপির পক্ষে সম্ভাবনা থাকছে না, তেমনি উদ্বাস্তু হিন্দুদের মন জয় করাও বিজেপির পক্ষে কঠিন হবে বলে মনে হয়।
সংখ্যালঘু ভোটারদের কোনও একটি দলের পক্ষে মেরুকরণ সবসময়ই নির্বাচনে জয়-পরাজয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোটারদের মেরুকরণ এই তিনটি উপনির্বাচনের মতন ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও যদি তৃণমূলের পক্ষে থাকে, তবে ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের থেকেও আরও অনেক বেশি আসন নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারে।
রাজ্যে যত দিন এনআরসির খাঁড়া ঝুলতে থাকবে, ততদিন সংখ্যালঘু মুসলমানদের ভোট শাসক তৃণমূলের পক্ষেই থাকবে। হিন্দু ভোটারদের তরফ থেকেও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, এনআরসিতে নাম তুলতে গিয়ে একজন নাগরিককে কেন লাইনে দাঁড়াতে হবে? কেন প্রমাণপত্র নিয়ে রাষ্ট্রের দরজায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হবে নাগরিক তালিকায় নাম ওঠানোর জন্য? যাঁদের পূর্বপুরুষ হাজার বছর ধরে এই বাংলা তথা ভারতে বাস করছেন তাঁদের এনআরসির ইস্যু কিন্তু আত্মসম্মানের ইস্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত। আর যাঁরা ওপার বাংলা থেকে ভিটেমাটি ছেড়ে উদ্বাস্তু হয়ে এসেছেন, তাঁরাও পারবেন তো সঠিক সময়ে লাইনে দাঁড়িয়ে সরকারি আধিকারিকদের সঠিক নথি দিতে?
আপাতত পুরনো ট্রাঙ্ক থেকে বাড়ির দলিল বের করে বার বার চোখ বুলাচ্ছেন অনেকেই। কেউ আবার পঞ্চাশ,ষাট, সত্তরের দশকের ভোটার তালিকা খুঁজতে ব্যস্ত। আর রাষ্ট্র যখন নাগরিকত্ব বিল নিয়ে মুসলমান এবং অবশিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন টানে, তখন মুসলমান কৌমের মানসিক অবস্থা কোন পর্যায়ে যায় তার নতুন কোনও ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সুযোগ ছিল বর্তমান সরকারের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যর্থতার কারণগুলিকে সামনে রেখে বিকল্প সরকার দেবার। কিন্তু এনআরসি আপাতত বিজেপির অগ্রগতির পথে কাঁটা হয়ে রইল বলা যায়।
 লেখক  রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক 
03rd  December, 2019
আর ক’জন ধর্ষিতা হলে রামরাজ্য পাব
সন্দীপন বিশ্বাস 

রাত অনেক হল। মেয়েটি এখনো বাড়ি ফেরেনি। কোথাও আটকে গিয়েছে। অনেক লড়াই করে, পুরুষের সঙ্গে পাশাপাশি ঘাম ঝরিয়ে তাকে বেঁচে থাকতে হয়। বাড়িতে বাবা-মা অস্থির হয়ে ওঠেন।  বিশদ

অর্থনীতিবিদদের ছাড়াই অর্থনীতি
পি চিদম্বরম

প্রত্যেকেই অর্থনীতিবিদ। যে গৃহবধূ পরিবার সামলানোর বাজেট তৈরি করেন, তাঁকে থেকে শুরু করে একজন ডেয়ারি মালিক যিনি দুধ বিক্রির জন্য গোদোহন করেন এবং একজন ছোট উদ্যোগী যিনি বড় নির্মাণ ব্যবসায়ীর জন্য যন্ত্রাংশ তৈরি করেন, সকলেই এই গোত্রে পড়েন।  বিশদ

বাজার আগুন, বেকারত্ব লাগামছাড়া,
শিল্পে মন্দা, সরকার মেতে হিন্দুরাষ্ট্রে
হিমাংশু সিংহ

 দেশভাগ, শরণার্থীর ঢল, বার বার ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে উদ্বাস্তু হওয়ার তীব্র যন্ত্রণা আর অভিশাপের মাশুল এই বাংলা বড় কম দেয়নি। ইতিহাস সাক্ষী, সাবেক পূর্ববঙ্গের শত শত নিরাশ্রয় মানুষকে নিজের বুকে টেনে নিতে গিয়ে প্রতি মুহূর্তে তৈরি হয়েছে নতুন নতুন সঙ্কট। বদলে গিয়েছে গোটা রাজ্যের জনভিত্তি।
বিশদ

08th  December, 2019
বাঙালি হিন্দু উদ্বাস্তুর প্রাপ্য অধিকার
জিষ্ণু বসু

 কয়েকদিন আগেই রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের কথা বলেছেন। চলতি অধিবেশনেই হয়তো পাশ হবে ঐতিহাসিক নাগরিকত্ব সংশোধনী। এটি আইনে রূপান্তরিত হলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে আসা হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ, খ্রিস্টান ও পারসিক সম্প্রদায়ের মানুষেরা এদেশের পূর্ণ নাগরিকত্ব পাবেন।
বিশদ

08th  December, 2019
কর্পোরেটদের যথেষ্ট সুবিধা দিলেও অর্থনীতির বিপর্যয় রোধে চাহিদাবৃদ্ধির সম্ভাবনা ক্ষীণ
দেবনারায়ণ সরকার

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘ক্ষণিকা’ কাব্যগ্রন্থে ‘বোঝাপড়া’ কবিতায় লিখেছিলেন, ‘ভালো মন্দ যাহাই আসুক সত্যেরে লও সহজে।’ কিন্তু কেন্দ্রের অন্যান্য মন্ত্রীরা থেকে শুরু করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ভারতীয় অর্থনীতির চরম বেহাল অবস্থার বাস্তবতা সর্বদা চাপা দিতে ব্যস্ত। 
বিশদ

07th  December, 2019
অণুচক্রিকা বিভ্রাট
শুভময় মৈত্র

সরকারি হাসপাতালে ভিড় বেশি, বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় সুবিধে হয়তো কম। তবে নিম্নবিত্ত মানুষের তা ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই। অন্যদিকে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে রাজ্যে এখনও অত্যন্ত মেধাবী চিকিৎসকেরা সরকারি হাসপাতালে কাজ করেন। 
বিশদ

06th  December, 2019
সার্ভিল্যান্স যুগের প্রথম পরীক্ষাগার উইঘুর সমাজ
মৃণালকান্তি দাস

চীনের সংবাদ মানেই তো যেন সাফল্যের খবর। সমুদ্রের উপর ৩৪ মাইল লম্বা ব্রিজ, অতিকায় যাত্রী পরিবহণ বিমান তৈরি, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নয়া উদ্ভাবন, চাঁদের অপর পিঠে অবতরণ...। মিহিরগুল তুরসুনের ‘গল্প’ সেই তালিকায় খুঁজেও পাবেন না। ১৪১ কোটি জনসংখ্যার চীনে মিহিরগুল মাত্র সোয়া কোটি উইঘুরের প্রতিনিধি। 
বিশদ

06th  December, 2019
আর ঘৃণা নিতে পারছে না বাঙালি
হারাধন চৌধুরী

 এটাই বোধহয় আমার শোনা প্রথম কোনও ছড়া। আজও ভুলতে পারিনি। শ্রবণ। দর্শন। স্পর্শ। প্রথম অনেক জিনিসই ভোলা যায় না। জীবনের উপান্তে পৌঁছেও সেসব অনুভবে জেগে থাকে অনেকের। কোনোটা বয়ে বেড়ায় সুখানুভূতি, কোনোটা বেদনা। এই ছড়াটি আমার জীবনে তেমনই একটি। যখন প্রথম শুনেছি তখন নিতান্তই শিশু। বিশদ

05th  December, 2019
সিঁদুরে মেঘ ঝাড়খণ্ডেও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভারতের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একটা কথা বেশ প্রচলিত... এদেশের ভোটাররা সাধারণত পছন্দের প্রার্থীকে নয়, অপছন্দের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে থাকেন। ২০১৪ সালে যখন নরেন্দ্র মোদিকে নির্বাচনী মুখ করে বিজেপি আসরে নামল, সেটা একটা বড়সড় চমক ছিল। 
বিশদ

03rd  December, 2019
আচ্ছে দিন আনবে তুমি এমন শক্তিমান!
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সঙ্গে কলেজে পড়ত ঘন্টেশ্বর বর্ধন। ওর ঠাকুর্দারা ছিলেন জমিদার। আমরা শুনেছিলাম ওদের মাঠভরা শস্য, প্রচুর জমিজমা, পুকুরভরা মাছ, গোয়ালভরা গোরু, ধানভরা গোলা সবই ছিল। দেউড়িতে ঘণ্টা বাজত। ছিল দ্বাররক্ষী। কিন্তু এখন সে সবের নামগন্ধ নেই। ভাঙাচোরা বাড়ি আর একটা তালপুকুর ওদের জমিদারির সাক্ষ্য বহন করত। 
বিশদ

02nd  December, 2019
বিজেপির অহঙ্কারের পতন
হিমাংশু সিংহ

সবকিছুর একটা সীমা আছে। সেই সীমা অতিক্রম করলে অহঙ্কার আর দম্ভের পতন অনিবার্য। সভ্যতার ইতিহাস বারবার এই শিক্ষাই দিয়ে এসেছে। আজও দিচ্ছে। তবু ক্ষমতার চূড়ায় বসে অধিকাংশ শাসক ও তার সাঙ্গপাঙ্গ এই আপ্তবাক্যটা প্রায়শই ভুলে যায়।  বিশদ

01st  December, 2019
উপনির্বাচনের ফল ও বঙ্গ রাজনীতির অভিমুখ
তন্ময় মল্লিক

জনতা জনার্দন। ফের প্রমাণ হয়ে গেল। মাত্র মাস ছয়েক আগে লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসন দখল করে গেরুয়া শিবির মনে করেছিল, গোটা রাজ্যটাকেই তারা দখল করে নিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদায় শুধু সময়ের অপেক্ষা। সেই বঙ্গেই তিন বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে একেবারে উল্টো হওয়া বইয়ে দিল মানুষ।
বিশদ

30th  November, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, তারকেশ্বর: তারকেশ্বর নতুন বাসস্ট্যান্ডে নির্মিত পুরসভার প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষাগার বেসরকারিকরণ হতে চলেছে। ‌বোর্ড মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গেছে। এই বিষয়ে ...

বিএনএ, সিউড়ি ও সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন: লাভপুরে একই পরিবারের তিন ভাইয়ের হত্যা মামলায় নতুন করে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিল পুলিস। নতুন করে চার্জশিটে নাম জুড়ল বিজেপি নেতা মনিরুল ইসলামের।  ...

সিওল, ৮ ডিসেম্বর (এএফপি): পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রশ্নে আমেরিকার উপর চাপ বাড়াল উত্তর কোরিয়া। ফের শক্তিশালী অস্ত্রের পরীক্ষা করল কিম জং উনের দেশ। শনিবার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ’ এই পরীক্ষাটি চালায় পিয়ংইয়ং।  ...

প্রসেনজিৎ কোলে, কলকাতা: এক সপ্তাহের মাথায় দেশজুড়ে টোলপ্লাজাগুলিতে কেবলমাত্র একটি করে লেনে ছাড় দিয়ে বাধ্যতামূলকভাবে চালু হতে যাচ্ছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল সংগ্রহের ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থা চালু করতে গেলে গাড়িতে থাকতেই হবে ফাস্ট্যাগ।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৮৩: অন্ধকবি সুরদাসের জন্ম
১৮৯৮: বেলুড় মঠ প্রতিষ্ঠিত হল
১৬০৮: ইংরেজ কবি জন মিলটনের জন্ম
১৯৪৬: কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর জন্ম
১৯৪৬: অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহার জন্ম
২০১১: আমরি হাসপাতালে আগুন 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৯ টাকা ৭২.১৯ টাকা
পাউন্ড ৯২.২০ টাকা ৯৫.৫৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৭৫ টাকা ৮০.৭৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
07th  December, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮, ৩৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬, ৪২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬, ৯৬৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৩, ৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৩, ৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
08th  December, 2019

দিন পঞ্জিকা

২২ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯, সোমবার, দ্বাদশী ৯/২৩ দিবা ৯/৫৪। ভরণী ৫৭/৯ শেষ রাত্রি ৫/০। সূ উ ৬/৮/৫৩, অ ৪/৪৮/২৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৮ গতে ১১/৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ১১/২ মধ্যে পুনঃ ২/৩৫ গতে ৩/৩০ মধ্যে, বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৮ মধ্যে পুনঃ ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৯/৪৮ গতে ১১/২৮ মধ্যে। 
২২ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯, সোমবার, দ্বাদশী ৭/১০/১১ দিবা ৯/২/২২। ভরণী ৫৭/৩১/১০ শেষরাত্রি ৫/১০/২৬, সূ উ ৬/১০/১৮, অ ৪/৪৯/১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ৯/৪ গতে ১১/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩১ গতে ১১/৫ মধ্যে ও ২/৪০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে, কালবেলা ৭/৩০/৮ গতে ৮/৪৯/৫৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৯/৪৯/৩০ গতে ১১/২৯/৪০ মধ্যে।
১১ রবিয়স সানি 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। বৃষ: কারও সঙ্গে পুরানো সম্পর্ক থাকলে তা ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৪৮৩: অন্ধকবি সুরদাসের জন্ম১৮৯৮: বেলুড় মঠ প্রতিষ্ঠিত হল১৬০৮: ইংরেজ কবি ...বিশদ

07:03:20 PM

এটিএম জালিয়াতির ঘটনায় দিল্লিতে গ্রেপ্তার রোমান নাগরিক 

06:22:00 PM

ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে জেএনইউ পড়ুয়াদের মিছিলে লাঠিচার্জ করল পুলিস 

04:29:13 PM

ডোপিংয়ের অভিযোগে ওলিম্পিক থেকে চার বছরের জন্য নির্বাসিত রাশিয়া 

04:12:10 PM

কর্ণাটক বিধানসভা উপনির্বাচনে কংগ্রেসের হার, পরিষদীয় দলনেতার পদ থেকে পদত্যাগ সিদ্দারামাইয়ার

03:56:19 PM