মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
সাম্প্রতিককালে রাজধানীতে এত বড় অগ্নিকাণ্ড হয়নি। এই ঘটনার সঙ্গে একমাত্র ১৯৯৭ সালে রাজধানীতে হওয়া উপহার সিনেমার অগ্নিকাণ্ডের তুলনা করা যায়। ওই ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন ৫৭ জন। এদিনের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে এই টাকা দেওয়া হবে। ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি, অনুরাগ ঠাকুর, বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি এবং বিজয় গোয়েল। ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে দিল্লি সরকারও। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, নিহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ এবং আহতদের এক লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। শোকপ্রকাশ করে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ রানি ঝাঁসি রোডের ওই চারতলা কারখানাটির তিনতলায় আগুন লাগে। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারতলায়। সেসময় শ্রমিকরা কারখানার ভিতরেই ঘুমিয়ে ছিলেন। আগুন এবং ধোঁয়া দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারাই পুলিস ও দমকলে খবর পাঠান। দমকল বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভোর ৫টা ২২ মিনিট নাগাদ আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ৩০টি ইঞ্জিন। নামানো হয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় উদ্ধারকাজে বেগ পেতে হয়। উদ্ধারকাজে নেমে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন দমকল কর্মী। আহতদের আরএমএল হাসপাতাল, এলএনজিপি এবং হিন্দু রাও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা বিএসইএস যমুনা পাওয়ার লিমিটেডের একটি দল। তাঁরাই বহুতলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন, বহুতলের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাতেও গলদ ছিল। সেখানেই প্রথমে আগুন লাগে। বিদ্যুতের মিটার ছিল একতলায়। সেখানে কোনও সমস্যা দেখা যায়নি। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের জেরে প্রাণঘাতী কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসে ভরে গিয়েছিল গোটা বাড়ি। ডেপুটি কমান্ডার আদিত্য প্রতাপ সিং জানিয়েছেন, বাড়িটির বেশ কিছু জানলা সিল করা ছিল। অধিকাংশ শ্রমিক যেখানে ঘুমিয়ে ছিলেন, সেই ঘরে একটি ছাড়া বাতাস ঢোকার কোনও জায়গা ছিল না।