মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
পরিস্থিতি সামাল দিতে চলতি আর্থিক বছরে প্রায় ২ লক্ষ ১৬ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের টার্গেট নিয়েছে রেলমন্ত্রক। এই টার্গেট গতবারের থেকে ১৪ শতাংশ বেশি। ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে রেলের রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৯০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করতে নন-ফেয়ার রেভিনিউয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ যাত্রীভাড়া না বাড়িয়ে অন্য কোনওভাবে রাজস্ব বৃদ্ধি করা। মন্ত্রক জানাচ্ছে, এর মধ্যে অন্যতম পদক্ষেপ হিসেবে স্টেশন চত্বরে রেলের কিছু জমিকে দীর্ঘস্থায়ী মেয়াদে কোনও বেসরকারি বাণিজ্যিক সংস্থাকে লিজ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যাতে পিপিপি মডেলে ওই জমির বাণিজ্যিক ব্যবহার করা যায় এবং রেলের কোষাগারেও কিছু অর্থ আসে। একইসঙ্গে পাইলট প্রজেক্টে রেলের পার্সেলের কিছু অংশের দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার কথাও ভাবা হয়েছে।
রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ভারতীয় রেলকে এমন অনেক পরিষেবা দিতে হয়, যেগুলি আদতে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক নয়। তবুও সাধারণ মানুষের স্বার্থে সেইসব পরিষেবা রেলকে চালিয়ে যেতে হয়। আর সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে চালানো এই পরিষেবাগুলির ফলে কতটা আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে, তার বার্ষিক মূল্যায়নও করে রেলমন্ত্রক। সেই মূল্যায়ন থেকেই উঠে এসেছে ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে চলা ক্ষতির তত্ত্ব।
যেমন শহরতলিতে ইএমইউ ট্রেন পরিষেবার ক্ষেত্রে ২০১৭-১৮ সালে রেলের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৬ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা। অথচ ২০১৫-১৬ সালে ওই ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ১২৫ কোটি টাকার মতো। ২০১৬-১৭ সালে তা আরও একটু বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় প্রায় ৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকায়। একইভাবে কেটারিং পরিষেবা, পার্সেল, লাগেজ, পোস্টেজের ক্ষেত্রেও ক্ষতির পরিমাণ উল্লিখিত তিন বছরে ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ইস্যুতে ২০১৫-১৬ সালে রেলের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। অথচ ২০১৭-১৮ সালেই তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৭২৯ কোটি টাকা। যাত্রীভাড়ায় ছাড় বাবদ রেলের ২০১৫-১৬ সালে যেখানে খরচ হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা, তা ২০১৬-১৭ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। আর এই পরিমাণ ২০১৭-১৮ সালে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। রেলমন্ত্রক জানাচ্ছে, অন্যান্য আরও ক্ষেত্র মিলিয়ে কোচিং এবং গুডস সার্ভিসে ২০১৭-১৮ সালে রেলের মোট ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪৭ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। অথচ ২০১৫-১৬ সালে এই ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৫ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা। সম্প্রতি সংসদে পেশ করা রিপোর্টে ক্যাগও জানিয়েছে, যাত্রীভাড়ায় ছাড়ের কারণে রেলকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এমনকী এই ছাড়ের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই প্রচুর অনিয়মও হয়েছে।