মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
উত্তর দিল্লির ঝাঁসি রোডের আনাজ মান্ডিতে রবিবার ভোরে ভয়াবহ আগুন লাগে। এলাকাটি ঘিঞ্জি হওয়ায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে দমকলবাহিনীকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। ভাগ্যক্রমে দমকলকর্মী রাজেশ গুপ্ত অন্যদের একটু আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। একার হাতে আগুনের গ্রাস থেকে বের করে আনেন ১১ জনকে। ধোঁয়ার কারণে তিনি নিজেও কাহিল হয়ে পড়েছিলেন। সামান্য চোটও লাগে তাঁর। দিল্লির লোকনায়ক হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে রাজেশ বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দু’তলায় বেশ কয়েকজন আটকে রয়েছেন। ভাগ্যক্রমে আমি স্যুট পরেই ছিলাম, তাই সঙ্গে সঙ্গে ভিতরে ঢুকে যাই। যেখানে লোকগুলোর আটকে থাকার কথা আমাকে বলা হয়েছিল, সেখানে পৌঁছে যাই। দেখি, সেখানে দু’জন সজ্ঞানে রয়েছে। আরও বেশ কয়েকজন অচেতন অবস্থায় মাটিতে পড়ে ধুঁকছেন।’ এরপর ওই দমকলকর্মী সজ্ঞানে থাকা দু’জনকে তাঁর পিছন পিছন নেমে আসতে বলেন। বাকিদের তিনিই কোলে-কাঁধে করে নীচে নামিয়ে আনেন। রাকেশের কথায়, উদ্ধার অভিযানের এই প্রথম পর্বেই অন্তত ১২ জন অচেতন মানুষকে বাইরে বের করে আনা সম্ভব হয়। কিন্তু, দমকলের গাড়ি ঢুকে সরু গলি কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অ্যাম্বুলেন্স ঢোকার জায়গা ছিল না। রাজেশ বলেন, ‘আমরাই ওই অচেতন ব্যক্তিদের বড় রাস্তা পর্যন্ত বয়ে নিয়ে আসি। অভিযানের প্রথম পর্বে উদ্ধার হওয়া প্রায় সকলেই প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।’
এদিকে, ওই বহুতলে আরও একাধিক মানুষের আটকে থাকার বিষয়ে জানতে পেরে দ্বিতীয়বার ওই বিল্ডিংয়ে ঢোকেন রাজেশ। এবার অবশ্য তাঁর সঙ্গে আলাদা অক্সিজেন মাস্ক ছিল। তাঁর কথায়, ‘ততক্ষণে আগুন বিল্ডিংয়ের মূল প্রবেশপথেও ছড়িয়ে পড়েছিল। তবুও আমরা ভিতরে ঢুকে যাই। তারপরই আমরা পাশের একটি ঘরে আরও ৩০ জনকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি এবং তাঁদের উদ্ধার করি।’ এই অকুতোভয় দমকলকর্মীর প্রশংসা করেছেন দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। হাসপাতালে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখাও করেন মন্ত্রী। ট্যুইটারে রাকেশের ছবি দিয়ে তিনি লেখেন, ‘দমকলকর্মী রাজেশ শুক্লাই হলেন প্রকৃত নায়ক। এই দমকলকর্মীই প্রথম আগুনের মধ্যে ঝাঁপিয়ে ১১ জনের প্রাণ রক্ষা করেন। নিজে জখম হলেও কর্তব্যে অবিচল ছিলেন তিনি। এমন সাহসী নায়ককে স্যালুট।’