গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
প্রকাশ্যে আসা ভিডিও’তে রেখা পাত্র এবং তাঁর ছায়াসঙ্গী পিয়ালি দাস সহ মোট তিন মহিলাকে দেখা যাচ্ছে। প্রশ্ন তুলেছেন এই তিন মহিলা—‘আন্দোলন করলাম আমরা, আর আমাদের বাদ দিয়ে নির্যাতিতাদের নামে কাদের রাষ্ট্রপতি ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল? বিজেপি নেতা পরিচয়ে অনুপ দাস নামে যে ব্যক্তি নির্যাতিতাদের নিয়ে গিয়েছিলেন, তিনিই বা কে?’ পদ্মপার্টির রাজনৈতিক পরিসরে ব্যাপক অস্বস্তিকর এই ভিডিও নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। তবে তাঁর সঙ্গী পিয়ালি দাসের কথায়, ‘এটা অনেক পুরনো ভিডিও। তাছাড়া অনুপ দাস বিজেপির কেউ নয়। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালায় মাত্র। এই ব্যক্তিই নির্যাতিতা সাজিয়ে কয়েকজনকে রাষ্ট্রপতি ভবনে নিয়ে গিয়েছিলেন।’ অনুপ দাস বিজেপির কেউ নয় বলে পিয়ালি দাস দাবি করলেও, বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির কাছে কে বা কারা, কাকে নিয়ে গিয়েছিল, তা আমার জানা নেই। তবে অনুপ দাসকে আমি দীর্ঘদিন চিনি। পুরনো বিজেপি কর্মী। রেখা পাত্র আন্দোলনে নতুন এসেছেন।’ অপরদিকে নিজেকে বসিরহাট লোকসভার বিজেপির নির্বাচনী কমিটির সদস্য দাবি করে অনুপবাবুর বিস্ফোরক মন্তব্য—‘আমি চক্রান্তের শিকার। রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়া নিয়ে পিয়ালি দাস যে মন্তব্য করেছেন, তা দলের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকারক। পিয়ালি এক সময়ে তৃণমূলের সঙ্গে থেকে আমাকে মারধর করেছে, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। সে এখন বিজেপি প্রার্থীর ছায়াসঙ্গী! এটা ভাবতেই অবাক লাগছে। আর জানবেন, রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়েছিলেন প্রকৃত নির্যাতিতারাই।’ আর তাই প্রশ্ন উঠছে নিজেদের নির্যাতিতা বলে টিভি চ্যানেলে যাঁরা মুখ দেখিয়ে শিরোনামে এলেন, তাঁরা কারা?
তবে অস্বস্তি শুধু রাজ্যের গণ্ডিতে আটকে নেই। জাতীয় স্তরে রীতিমতো মুখ পুড়ছে বিজেপির। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মুখপাত্র পবন খেরা, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার মতো বিরোধী দলগুলি তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিজেপির ভূমিকার নিন্দা করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন অভিনেতা প্রকাশ রাজ এবং প্রথম সারির ইউটিউবার ধ্রুব রাঠি। যদিও তাঁর সঙ্গে আলোচনা না করে তৃণমূলের পাশে দাঁড়ানোয় রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে পবন খেরার কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। কংগ্রেসের বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর এহেন তৃণমূল বিরোধিতা কার স্বার্থে, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।