বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
মূল্যবৃদ্ধি, বেহাল কর্মসংস্থান, মুদ্রাস্ফীতি, সুদের হার নিম্নমুখী হওয়ার মতো জ্বলন্ত সমস্যাগুলি এবারের নির্বাচনী পর্বে এড়িয়ে যাচ্ছে গেরুয়া শিবির। তারা বারবার প্রচারে আনছে ৩৭০ ধারা বিলোপ, মন্দির বানিয়ে ভগবান রামচন্দ্রকে ঠাঁই দেওয়া, জি-২০ সম্মেলনের সফল আয়োজন আর ‘বিশ্বগুরু’ হওয়ার গল্প। পেটোয়া উদ্যোগপতিদের হাতে রাষ্ট্রায়ত্ত সম্পদ বিক্রির বাস্তব চিত্র এড়িয়ে চলছে ‘অন্ধভক্ত’রাও। সেই সব প্রেক্ষিতকে সামনে এনে মোদি-শাহের নাম না করে মমতার কটাক্ষ—‘ছোটবেলায় পড়েছিলাম, আলিবাবা আর ৪০ চোর। এখন বিজেপির দুই নেতা, মধুবাবু আর বিধুবাবু সারা দেশটাকে লুট করে নিয়েছে। এ কথা আমি বললেই দোষ! এখন তো গোটা দেশ বলছে, জনগণ বলছে।’বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘মোদি মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রীর স্বামী নিজে বলছেন, দেশ লুট হয়ে গেল। দেশে আর নির্বাচন হবে না।’ এরপরই মমতার হুঙ্কার, ‘এই স্বৈরাচারী মনোভাব আর চলবে না। এদের হটাতেই হবে। যদি বাঁচতে চান, এদের হটান।’
এদিন কৃষ্ণনগরে রোড শো করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হুমকি দিয়েছেন, ‘এ রাজ্য থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হটাবই।’ তা পৌঁছে যায় তৃণমূল সুপ্রিমোর কানেও। মোক্ষম জবাব দিয়েছেন মমতা। সাঁইথিয়ার নির্বাচনী সভামঞ্চ থেকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন—‘ওরা (বিজেপি) ভাবছে, বাংলা থেকে মমতাকে হটাবে। জেনে রাখুন, যতদিন বেঁচে থাকব, আমিই থাকব। আমার একটা চুলও স্পর্শ করতে পারবেন না। অনেক প্রধানমন্ত্রী দেখেছি, এত মিথ্যাবাদী-হিংসুটে দেখিনি। এত ধাপ্পাবাজিও দেখিনি। সেই সব ধাপ্পা এখন গ্যাস বেলুন হয়ে আকাশে উড়ছে।’ সঙ্গে কটাক্ষও সংযোজন করেছেন মমতা, ‘ছিঃ ছিঃ ক্যায়া শরম কী বাত, দেশ কা প্রধানমন্ত্রী করে জুমলা কা বাত!’