বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
লোকসভা ভোটের সবে দু’দফা হয়েছে। এখনও পাঁচ দফায় ৩৬ আসনে বাংলায় ভোট বাকি আছে। লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হওয়ার পর তৃণমূলের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, ৪২টি আসনে দল যাঁদেরকে প্রার্থী করেছে, তাঁদের বিপুল ভোটে জয়ী করার জন্য সর্বস্তরের কর্মীদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। দলের প্রার্থীকে জেতানোই মূল লক্ষ্য। কিন্তু বুধবার একটি রক্তদানের অনুষ্ঠানে গিয়ে উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। যে ঘটনাকে মোটেও ‘ভালো চোখে’ দেখেনি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কুণালের ওই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূলের তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। তাতে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের সই রয়েছে। ওই বিবৃতিতে জানিয়ে দেওয়া হয়, কুণাল ঘোষকে আগেই মুখপাত্র পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এবার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল। যদিও কুণাল জানান, মুখপাত্র ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ ছাড়ার জন্য তিনি নিজেই দলের কাছে আর্জি জানিয়ে ছিলেন। ঘটনাচক্রে দেখা গেল কুণালের বিরুদ্ধে বুধবারের কড়া পদক্ষেপের রেশ বজায় রইল বৃহস্পতিবারও। এদিন পঞ্চম দফা লোকসভা নির্বাচনের জন্য ৪০ জন স্টার ক্যাম্পেনার বা তারকা প্রচারের তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দেয় তৃণমূল। ওই তালিকায় নাম নেই কুণাল ঘোষের। যে সিদ্ধান্তের পর কুণালের সঙ্গে বেশ কয়েকজন কর্মী দেখা করতে যান। তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাতে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন কুণাল। কেঁদে ফেলেন। তবে কুণাল জানান, পদ না থাকলেও তৃণমূলের একজন কর্মী হিসেবেই থাকবেন।
এদিন কুণালের ঘটনা নিয়ে প্রকাশ্যেই বিবৃতি দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর বক্তব্য, কুণাল জানপ্রাণ দিয়ে দলের কাজ করেন। আমি আশা করি, সমঝোতার বন্দোবস্ত হবে। পাশাপাশি তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন বলেন, কুণালের অতীতের অবদান ভুলে গেলে চলবে না। জোড়াফুল শিবিরকে খোঁচা দিয়ে উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের বক্তব্য, তৃণমূলে গণতান্ত্রিকভাবে কথা বলা কঠিন।