বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
যদিও এবিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে যে লড়াই চলছে, তাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে ও ভবিষ্যতেও করবে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলায় বিজেপির এজেন্ট কংগ্রেস। কংগ্রেস যে প্রকারান্তরে বিজেপির হাত শক্ত করছে, অধীর চৌধুরীর মন্তব্যই তার প্রমাণ। তাই বিজেপির অপশাসন থেকে নিজেকে রক্ষা করতে জোড়াফুলের প্রার্থীদের ভোট দিয়ে সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত করুন।
জঙ্গিপুর লোকসভার লালগোলা বিধানসভায় কংগ্রেস প্রার্থী মর্তুজা হোসেন ওরফে বকুলের সমর্থনে অধীরবাবু একটি জনসভা করেন। সেই সভায় তিনি বলেন, ‘ইসবার চারশো পার। এখন মোদির আর সেই বাতেলা নেই। সার্ভে বলছে ১০০ সিট এই মুহূর্তে মোদির হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। আরও সিট কমার দিকে চলেছে। তাই ভুল করবেন না। কংগ্রেস এবং বামকে জেতানো জরুরি। কংগ্রেস এবং বাম না এলে ভারতবর্ষে ধর্মনিরপেক্ষতা থাকবে না। তৃণমূলকে ভোট দেওয়া মানে, তার থেকে ভালো বিজেপিকে ভোট দিয়ে দেওয়া। তৃণমূলকে ভোট দেওয়া মানে তার থেকে অনেক ভালো বিজেপিকে ভোট দিয়ে দেওয়া। তাই তৃণমূলকে নয়, বিজেপিকে নয়, সারা বছরের সুখ দুঃখের ভরসা বকুল (মুর্তজা হোসেন) আপনাদের পাশে থাকবে। বকুলকে ভরসা করে তাকে সমর্থন করুন।
বৃহস্পতিবার অধীরবাবুকে তাঁর বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি অবশ্যই একথা বলেছি। আমি প্রতিদিন বলছি, এই বাংলায় বিজেপি মানে তৃণমূল এবং তৃণমূল মানে বিজেপি। তাই বিজেপিকে ভোট দেওয়া আর তৃণমূলকে ভোট দেওয়া সমান। ধর্ম নিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক শক্তি হিসেবে কংগ্রেস ও বামেরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছে। আর এই বাংলায় মোদিকে সাহায্য করতে দিদি ইন্ডিয়া জোট ভেঙে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের দম আছে তাই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছি। আমি অবশ্যই বলেছি তৃণমূলকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপির হাত শক্ত করা। বহরমপুর লোকসভা এলাকায় তৃণমূল মুসলিমদের কাছে গিয়ে প্রচার করছে, এতদিন অধীর চৌধুরীকে ভোট দিয়েছেন, এবার ভাইকে ভোট দিন। আবার এই তৃণমূল হিন্দুদেরকে গিয়ে বোঝাচ্ছে, পাঠান হারছেন। বিজেপি জেতার সম্ভাবনা বেশি। তাই বিজেপিকে ভোট দাও হিন্দুরা। এই তৃণমূলের একটাই লক্ষ্য আমাকে হারানো। তাই আজকে তাদের মিথ্যার আশ্রয় নিতে হচ্ছে।