কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
২০১৯-এর তুলনায় ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে নিজেদের হারানো জমি অনেকটাই ফিরে পেয়েছে তৃণমূল। আসন্ন লোকসভা ভোটেও সেই ধারা অব্যাহত রাখতে কোমর বেঁধে নেমেছে জোড়াফুল শিবির। ফলে টক্কর চলছে সেয়ানে সেয়ানে। পাঁচ বছর আগে উত্তরবঙ্গের আটটি লোকসভা আসনের মধ্যে সাতটিতেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি। একটি জিতেছিল কংগ্রেস। ২০২১-এ বিধানসভা নির্বাচনের পর অনেক জল গড়িয়েছে তিস্তা-তোর্সা দিয়ে। একের পর এক দলীয় কর্মসূচি এবং বিজেপির বাংলার প্রতি ‘বঞ্চনা’কে হাতিয়ার করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রথম দফার নির্বাচনী প্রচারে, মমতা মানুষকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিয়েছিল বিজেপি। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে বড় ফ্যাক্টর রাজবংশী ভোট। তাঁদের দেওয়া কথাও যে বিজেপি রাখেনি, তা আগের নির্বাচনী সভাতে তুলে ধরেছেন তৃণমূল নেত্রী। সেই সঙ্গে রাজবংশীদের জন্য তাঁর সরকারের নেওয়া জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। এবারও মমতা সেই পথেই হাঁটবেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শুক্রবারের সভা থেকেই উত্তরবঙ্গে বিজেপি বিরোধিতার সুর সপ্তমে তুলতে প্রস্তুত হচ্ছে তৃণমূলও।
প্রসঙ্গত, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ির ভোট ১৯ এপ্রিল। তার পরের পর্যায়ে ২৬ এপ্রিল ভোট রয়েছে বালুরঘাট, রায়গঞ্জ এবং দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে। এই আবর্তে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং শিলিগুড়িতে আরও সাতটি সভা করবেন মমতা। শুক্রবার কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারের পর শনিবার তিনি জলপাইগুড়িতে একটি সভা করে ফিরবেন কলকাতায়। নববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রতি বছরের মতো এবারও সাধারণ মানুষের মঙ্গল কামনা করে তিনি পুজো দেবেন কালীঘাট মন্দিরে। পরের দিনই প্রচারে যাবেন উত্তরবঙ্গে।
১৫ এপ্রিল কোচবিহারের রাস মেলা ময়দানে তিনি সভা করবেন। ওই মাঠেই ৪ এপ্রিল সভা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে ভিড়ের বহরে বিজেপিকে টেক্কা দেওয়ার অঘোষিত চ্যালেঞ্জ রয়েছে তৃণমূলের সামনে। ওইদিন তাঁর দ্বিতীয় সভা রয়েছে আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়ায়। ১৬ এপ্রিল মমতা সভা করবেন জলপাইগুড়িতে। তারপরে শিলিগুড়িতে এসে যোগ দেবেন মেগা পদযাত্রায়। একই দিনে মোদি সভা করবেন রায়গঞ্জ এবং বালুরঘাটে। ১৭ তারিখ মমতা যাবেন অসমে। সেখান থেকে ফিরে দুই দিনাজপুর, মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে প্রচার করবেন তিনি।