কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
সুন্দরবনের নদী, সাগরের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে অজস্র খাল, ছোট নদী, নালা। কিন্তু সেগুলির বড় অংশ এখন মৃতপ্রায়। এখন বৃষ্টির জলের নিরবিচ্ছিন্ন স্রোত সুন্দরবনে পৌঁছয় না সেভাবে। তাই সুন্দরবনকে বাঁচাতে বুজে যাওয়া খাল-বিলের পুনরুজ্জীবন প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যেই আপার এবং লোয়ার ডেল্টা সুন্দরবন প্রকল্প হাতে নিয়েছে রাজ্য। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের সহযোগিতায় ৬০০০ কোটি টাকার প্রকল্পে ইতিমধ্যে ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। তাই নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেলেও এই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে কোনও অসুবিধা নেই বলে জানাচ্ছেন প্রশাসনের কর্তারা। ঠিক হয়েছে, প্রথমে প্রায় ১৩৫৮ কোটি টাকা খরচ করে আপার ডেল্টা প্রকল্পের অধীনে কলকাতা সংলগ্ন সমস্ত খাল সংস্কার করা হবে। এর মাধ্যমে বর্ষার জলের বাধাহীন প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে রূপায়িত হবে লোয়ার ডেল্টা প্রকল্প। সুন্দরবন এলাকার বহু খাল এবং ছোট নদীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিদ্যাধরী, ইছামতী, মাতলার মতো নদীগুলি। তবে অতিরিক্ত পলির কারণে খাল ও ছোট নদীগুলির জলবহন ক্ষমতা অনেক কমে গিয়েছে। এই ধরনের প্রায় ৪০টি খাল ও ছোট নদী সংস্কার হলে সুন্দরবনে মিষ্টি জলের জোগান বাড়বে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। দ্বিতীয় পর্যায়ের এই কাজের জন্য খরচ হবে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা।
সুন্দরবন ধ্বংস হলে ৩০০ বছরের বেশি পুরনো শহর কলকাতা প্রাকৃতিক দুর্যোগে তছনছ হয়ে যেতে পারে। তাই এই কাজ কলকাতার অস্তিত্বের সঙ্গেও সরাসরি যুক্ত। এই বিশাল কর্মযজ্ঞে নয়া প্রযুক্তির ব্যবহার সহ যাবতীয় আধুনিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতেই রাজ্যের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল নেদারল্যান্ডস যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। আগামী ১৩ এপ্রিল তাঁরা নেদারল্যান্ডসের উদ্দেশে উড়ে যাচ্ছেন। ফিরবেন ২১ এপ্রিল। সাতদিন ধরে সেই দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশেষজ্ঞ সংস্থার সঙ্গে প্রকল্প সংক্রান্ত নানা বিষয়ে আলোচনা করবেন তাঁরা। এক্ষেত্রে পৃথিবীর সব থেকে উন্নত প্রযুক্তির নেদারল্যান্ডসেই রয়েছে। সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চাইছে বাংলা। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ষষ্ঠ বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে রাজ্যের সেচদপ্তরের সঙ্গে বন্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়েও একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে নেদারল্যান্ডসের।