কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
বিজেপির নির্দেশেই কমিশন বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়ার ছাড়পত্র দেয়নি বলেই সরব হয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘বিহুর আয়োজকদের টাকা দেওয়া হোক, তা নিয়ে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু অসমে বিজেপি সরকার আছে বলে টাকা দেওয়া যাবে, আর বাংলায় তৃণমূলের সরকার বলে প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়া যাবে না! এটা স্পষ্ট, মোদিজির আসল স্লোগান হল— ‘না ঘর বানায়ুঙ্গা, না বানানে দুঙ্গা’। আদর্শ আচরণবিধি থাকায় উত্তরবঙ্গর ঝঞ্ঝা বিধ্বস্ত ১৬০০ দুর্গত পরিবারকে মাথা গোঁজার ঠাঁই দিতে এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের কাছে। আংশিক ক্ষতি হওয়া বাড়ির জন্য পাঁচ হাজার এবং পুরো ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির জন্য জন্য ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে ইসি। বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়ার অনুমতি এবং এনআইএর এসপি ধনরাম সিংয়ের সঙ্গে বিজেপির আঁতাত ইস্যু নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যান অভিষেকের নেতৃত্বাধীন তৃণমূলের ন’জনের প্রতিনিধি দল। রাজভবন থেকে বেরিয়ে, অভিষেক বলেন, এই দুটি ইস্যু নিয়ে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরের যে সাংসদ নেতারা গিয়েছিলেন এবং হেনস্তার শিকার হয়েছেন, তাঁদের নিয়েই আমি জলপাইগুড়ির দুর্গতদের কাছে যাব। তাঁদের সামনে কেন্দ্রের বঞ্চনার সত্যিই ঘটনা তুলে ধরবেন এই নেতারা।
সোমবার রাজভবনে গিয়ে এই বিষয় রাজ্যোলের হস্তক্ষেপ দাবি করেছিল তৃণমূল। বুধবার রাজভবনে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, মুখ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সংবিধান অনুযায়ী ‘অর্ডার অব প্রিসিডেন্স’ অনুযায়ী রাজ্যপালের অনেক নীচের মর্যাদায় থাকা সত্ত্বেও, তাঁর সঙ্গে কথা বলেননি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। এই প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, ‘এটা বাংলা বিরোধিতার একটি নতুন উদাহরণ। আমি দুঃখিত যে ভাবে বিজেপি নির্বাচন কমিশনকেও ব্যবহার করছে।’ তবে, বিজেপি ফাঁকা মাঠে খেললেও গোল দিতে পারবে না বলেও প্রত্যয়ী তিনি।
অন্য দিকে, এনআইএ’র এসপির নিউটাউনের বাড়িতে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারির যাওয়া নিয়ে তাঁরা তিন চার দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন বলেও জানিয়েছেন অভিষেক। পাশাপাশি, এনআইএ’র এসপির বাড়িতে ওই বিজেপি নেতার ঢোকা এবং বের হওয়ার ফুটেজও শীর্ষ আদালতে জমা দেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।