কর্মোন্নতি ও কর্মের প্রসার। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি। শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা। ধনাগম মন্দ নয়। দাম্পত্যে চাপ, ... বিশদ
ছয়ঘরিয়ার বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের পুজো প্রায় ৩০০ বছরেরও বেশি পুরনো। শুরু করেছিলেন রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোট ঠাকুরদা গৌরহরি বন্দ্যোপাধ্যায়। নেপথ্যে ছিল স্বপ্নাদেশ। তাতে স্বয়ং দেবীই বলে দিয়েছিলেন, কোন রূপে পুজো করতে হবে। সেই রীতি, ঐতিহ্য এখনও বহমান। আজও এখানে দেবী পূজিত হন ‘বিড়ালহাত দুর্গা’ রূপে। এই নাম কেন? এখানে দেবীর দশটি হাত থাকলেও দু’টি হাত বড়। বাকি আটটি ছোট। দু’পাশের কাঁধে চারটি চারটি করে। অনেকটা বিড়ালের হাতের মতো। সেকারণেই দেবী এখানে পরিচিত ‘বিড়ালহাত দুর্গা’ নামে।
বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে কলকাতায় থাকেন। ছয়ঘরিয়ার বাড়িতে দু’জন থাকলেও, বয়সের ভারে তাঁরা ন্যুব্জ। কিন্তু পুজোর আয়োজনে কোনও খামতি নেই। কড়া নজর থাকে উপাচার, নিয়মরীতি সঠিকভাবে পালনের দিকে। বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের দুর্গা প্রতিমার কাঠামো তৈরি হয় আম কাঠ দিয়ে। জন্মাষ্টমীর দিন তাতে সিঁদুর পরিয়ে ঠাকুর দালানে প্রতিমা তৈরি শুরু হতো। মহালয়ার পরের দিন প্রতিপদে বেলতলায় পুজোর পর ঠাকুর দালানে ঘট বসিয়ে দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
দেবীকে প্রথম বরণ করেন ছেলেরাই। নবমী পর্যন্ত প্রতিদিন চলে চণ্ডীপাঠ। সেই ঐতিহ্য অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয় আজও। শুধু সময়ের সঙ্গে বন্ধ হয়েছে পশুবলি প্রথা। পরিবর্তে এখন নাড়ু ও চিনি দেওয়া হয়। প্রতিমা নিরঞ্জনেও রয়েছে প্রাচীন বৈশিষ্ট্য। দশমীর দিন সন্ধ্যায় নক্ষত্রের অবস্থান দেখে দেবীর বিসর্জন দেওয়া হয়। তার আগে স্থানীয় নাওভাঙা নদীতে দু’টি নৌকায় সাতপাক ঘোরানো হয় মাকে। রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির প্রতিমা নিরঞ্জনে এখনও উপচে পড়ে মানুষের ভিড়। আগের মতো পরম্পরা বজায় রেখেছেন মানুষও। নিজস্ব চিত্র