কর্মোন্নতি ও কর্মের প্রসার। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি। শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা। ধনাগম মন্দ নয়। দাম্পত্যে চাপ, ... বিশদ
এ ধরনের পোর্টাল চালুর কথা আগেই সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে ৫০০টিরও বেশি কোর্সের সুলুক সন্ধান থাকবে এই পোর্টালে। কোন বিষয় কোথায় ভালো পড়ানো হয়, কোন পেশায় যেতে চাইলে কী কোর্স পড়তে হবে, কী পড়লে চাকরির সুযোগ সবচেয়ে বেশি প্রভৃতি তথ্য বিস্তারিতভাবে থাকবে পোর্টালে। এক ছাতার তলায় মিলবে সব তথ্য। সাইকোমেট্রি টেস্টের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। তার মাধ্যমে বুঝে নেওয়া যাবে, কোন পড়ুয়ার কোন পেশা বা কোর্সের দিকে ঝোঁক রয়েছে। সরাসরি কেরিয়ার কাউন্সেলর বা শিক্ষা এবং শিল্পজগতের লোকজনের সঙ্গেও কথা বলার সুযোগ পাবেন ছাত্রছাত্রীরা। এদিন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এনআইটি)-এর অধিকর্তা অনুপম বসু শিক্ষামন্ত্রীকে প্রস্তাব দেন, পেশার সুলুক সন্ধান দিতে ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি ওয়েবসাইট বা পোর্টাল চালু করুক সরকার। সেই প্রস্তাবের সঙ্গে সহমত পোষণ করে ব্রাত্যবাবু বলেন, ৫ অক্টোবর সেই পোর্টাল শিক্ষাদপ্তর খুলতে চলেছে। এ বিষয়ে আগেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
উচ্চশিক্ষায় তৃণমূল সরকারের অবদানের কথা এদিন তুলে ধরেন শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন। তিনি জানান, ২০১১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত উচ্চশিক্ষায় ৮০০ কোটি টাকা বাজেট বাড়ানো হয়েছে। উচ্চশিক্ষায় পড়ুয়া নথিভুক্তির সংখ্যা ১৩ লক্ষ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ লক্ষ। এই বিপুল সংখ্যক পড়ুয়ার কর্মসংস্থানের বিষয়টিও সরকারের ভাবনার মধ্যে রয়েছে। সে কারণেই এ ধরনের পোর্টাল চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনা থেকে ধীরে হলেও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি। তাই সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। পোর্টালটি তাঁদের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
স্কুলপড়ুয়া, মূলত একাদশ-দ্বাদশের ছাত্রছাত্রীদের আধার কার্ড তৈরির জন্য পাইলট প্রকল্প নিয়েছে রাজ্য সরকার। ১ অক্টোবর থেকে ৮ অক্টোবর তা চলার কথা। এর সঙ্গে কি পড়ুয়াদের টিকাকরণের কোনও সম্পর্ক রয়েছে? এই প্রশ্নে ইতিবাচক উত্তর দেন শিক্ষামন্ত্রী। যদিও, কেন্দ্রীয় সরকার এখনই স্কুল পড়ুয়াদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে ছাড়পত্র দেয়নি। তবে, তা দেওয়া হলে অবিলম্বে যাতে তা কার্যকর করা যায়, সেকথা মাথায় রেখেই আধার কার্ড তৈরি করে রাখা হচ্ছে। তবে মোট ছাত্রছাত্রীর অধিকাংশেরই আধার কার্ড রয়েছে। যাঁদের তা নেই, তাঁরা যাতে অবিলম্বে তৈরি করতে পারে, সেই ব্যবস্থা আধার কর্তৃপক্ষের (ইউআইডিএআই) সঙ্গে যৌথভাবে শুরু করতে চলেছে স্কুলশিক্ষা দপ্তর।